ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২

‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’ রাজনীতিতে নতুন মোড়

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৫ ১৬:৩৬:৩২
‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’ রাজনীতিতে নতুন মোড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যদি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন—এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে তিনি বলেন, অতীতের মতো এবারও নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও একতরফা হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি প্রবল। কারণ, বিএনপির ইতিহাসে এবারই প্রথম প্রতিটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেওয়ার মতো সক্ষমতা নেই। “সব দল এক হয়ে গেলেও বিএনপির পক্ষে ১০০ জন প্রার্থী দেওয়া কষ্টকর হবে,” উল্লেখ করেন তিনি।

বিএনপির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়েও ফুয়াদের উদ্বেগ স্পষ্ট—“১৩০-১৩৫ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে, যারা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছে। একতরফা হলেও এই নির্বাচন বিএনপির জন্য কতটা সম্মানজনক হবে, সেটিই বড় প্রশ্ন।”

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নারীদের আসন ৫০ থেকে ১০০-তে বাড়ানো, ন্যূনতম ৫ শতাংশ সিটে সরাসরি নমিনেশন এবং দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার প্রস্তাবের মতো বিষয়গুলো এখনই কার্যকর করা উচিত, ২০৩১ বা ২০৩২ পর্যন্ত অপেক্ষা কেন?”

তার মতে, সব দল নির্বাচনে গেলেও বিএনপির একক আধিপত্যের সম্ভাবনা তৈরি হবে না, বরং জামায়াত ও চরমোনাইয়ের মতো দলগুলো সংসদে পিআর (Proportional Representation) ব্যবস্থার দাবি তুলবে। যদি এনসিপি সংস্কার বিষয়ে একমত না হয়ে নির্বাচন বর্জন করে, তবে নির্বাচন একতরফা হওয়ার শঙ্কা আরও বাড়বে।

এবি পার্টির এই নেতা মনে করেন, এমন পরিস্থিতিতে সরকারের ও বিএনপির সামনে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে আসন বণ্টনের পথই খোলা থাকবে—যা রাজনৈতিক মর্যাদার প্রশ্নও হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ফুয়াদ বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের সব শক্তি যদি নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে তারা এর দায় নেবে না। তখন এমনও হতে পারে, প্রফেসর ইউনূস যিনি অতীতেও একাধিকবার দায়িত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন, এবারও নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পর দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন।”

তবে আশাবাদও দেখছেন তিনি—“জামায়াত, চরমোনাই ও এনসিপির উত্থাপিত দাবিগুলো সমাধান সম্ভব। কিন্তু এজন্য প্রয়োজন ত্যাগ ও নেতৃত্ব, যা বিএনপিকেই দেখাতে হবে। কারণ, শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা ঐতিহাসিকভাবেই বিএনপির হবে।”

মো: রাজিব আলী/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ