
Alamin Islam
Senior Reporter
দেশের রাজনীতি নতুন মোড়: সেনাপ্রধানের শঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে, তখন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের পুরোনো একটি বক্তব্য নতুন করে আলোচনায় এসেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেওয়া সেই বক্তব্যে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা দেশের বর্তমান উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
ফেব্রুয়ারিতে এক অনুষ্ঠানে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রাজনৈতিক নেতাদের সতর্ক করে বলেছিলেন, "যদি নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, মারামারি-কাটাকাটি করেন, তাহলে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে।" তার এই বক্তব্যটি এমন এক সময়ে দেওয়া হয়েছিল যখন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তীব্র মতবিরোধ এবং বাগ্বিতণ্ডায় উত্তপ্ত ছিল।
এদিকে, দেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন বলে ভিডিও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ২০২৬ সালে নতুন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আশা প্রকাশ করেছেন এবং এরপর সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে চান। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য তিনি সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর অনড় অবস্থান
নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। জামায়াতে ইসলামী পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। অন্যদিকে, এনসিপির ভাষ্য, বিচার বিভাগের সংস্কার ছাড়া দেশের মানুষ নির্বাচন মেনে নেবে না। দেশের অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপি-ও বর্তমান ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে তাদের অনড় অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও বিশ্লেষকের মত
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দেশজুড়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচন পর্যন্ত এই মোতায়েন বহাল থাকবে। এমনকি নির্বাচনের মাঠে ৮০ হাজার সেনা সদস্য নামানোর কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে।
এই সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল মনে করেন, সেনাপ্রধান যে কাদা ছোড়াছুড়ির আশঙ্কার কথা বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলো এখন সেই পথেই হাঁটছে। তবে তিনি এখনই দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখছেন না।
জনাব কামাল বলেন, "নির্বাচন হওয়া বা না হওয়া নিয়ে দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ চলছে। তবে আমি এটাকে কাদা ছোড়াছুড়ির পর্যায়ে ফেলব না। এটা তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ।"
তিনি আরও যোগ করেন, কোনো কারণে নির্বাচন পিছিয়ে গেলেও সেনাবাহিনী বিতর্কিত কোনো পদক্ষেপ নেবে না বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
আল-আমিন ইসলাম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ার দর বৃদ্ধি: ডিএসইর কড়া সতর্কবার্তা জারি
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬৪% ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- শেয়ার কারসাজি: বিএসইসি’র কড়া তদন্তের নির্দেশ, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা: ৩,০০০ সদস্যের প্রতারক চক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
- ২,৩০০ কোটি টাকার বন্ডে শেয়ারবাজারে আলোড়ন: বিএসইসি'র অনুমোদন
- বিনিয়োগকারীদের চিন্তা দুর করলো ৯ কোম্পানির শেয়ার
- দুই কোম্পানির ডিভিডেন্ডে হতাশ বিনিয়োগকারীরা
- এশিয়া কাপ শিরোপা নিলো না ভারত
- শেয়ারবাজারে আতঙ্ক! ১৪ প্রতিষ্ঠানের রদবদলে অন্ধকারে বিনিয়োগকারীরা
- এইচএসসি রেজাল্ট ২০২৫: ফল নিয়ে যা জানা গেল
- রেকর্ড চাহিদা: বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ২৪ কোম্পানির শেয়ার
- সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা নিয়মে যুগান্তকারী পরিবর্তন
- সরকারি বেতন কাঠামো ২০২৫ নিয়ে আসলো নতুন সিদ্ধান্ত
- পুঁজি সংগ্রহে ব্যর্থ শেয়ারবাজার: দায়ী কারা? ফাঁস করলেন বিশেষজ্ঞরা
- ডিভিডেন্ড পেল বিনিয়োগকারীরা