ঢাকা, রবিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২

রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে তোলপাড়, নীরব বিদায়ের ইঙ্গিত?

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৭ ১৪:৩২:০৪
রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে তোলপাড়, নীরব বিদায়ের ইঙ্গিত?

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের সকল বৈদেশিক কূটনৈতিক মিশন থেকে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের ছবি সরিয়ে ফেলার এক আকস্মিক ও নজিরবিহীন নির্দেশে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, যা নিয়ে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে।

এই নির্দেশনা কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানো হয়নি। বরং, মন্ত্রণালয় থেকে মোবাইল ফোনে মৌখিকভাবে রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের এ বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যেন তারা অন্যান্য মিশনগুলোতেও এই বার্তা দ্রুত পৌঁছে দেন। এমনকি, ছবিটি সরানো হয়েছে কিনা তা তদারকি করার জন্যও একজন রাষ্ট্রদূতকে বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই পদক্ষেপের ফলে এখন থেকে বিদেশে বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক মিশনে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানের ছবি থাকছে না। সাধারণত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত দূতাবাসগুলোতে রাষ্ট্রপতির ছবি সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হঠাৎ এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

বিদেশে কর্মরত একাধিক কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাদের কেউ কেউ সরাসরি বার্তা পেয়েছেন, আবার কেউ এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানিয়েছেন। তবে সকলেই একমত যে, এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে না পাঠিয়ে মৌখিকভাবে জানানোটা অস্বাভাবিক।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভিন্ন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই এটিকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ব্যক্তির "নীরব বিদায়ের" ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। প্রশ্ন উঠেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নিলো? এর পেছনে কি কোনো বিশেষ মহলের চাপ রয়েছে, যারা রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে তার পদ থেকে সরাতে চাইছে?

এদিকে, প্রবাসী সাংবাদিক ও ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেন এই ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। তিনি রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের একটি ছবি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের টাইমলাইনে শেয়ার করে লিখেছেন, "টাটা বাই বাই খতম, পরের ধাক্কা ক্যান্টনমেন্টে।" তার এই পোস্টটি চলমান জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছে এবং অনেকেই এর মধ্যে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত খুঁজে পাচ্ছেন।

এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা, তা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মো: রাজিব আলী/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ