ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২

হাসপাতালেই স্বামীকে পেটালেন স্ত্রী, ভাইরাল ভিডিওতে চাঞ্চল্যকর দৃশ্য

সারাদেশ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ১২:৩৪:২৫
হাসপাতালেই স্বামীকে পেটালেন স্ত্রী, ভাইরাল ভিডিওতে চাঞ্চল্যকর দৃশ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটে গেছে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা, যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। হাসপাতালের হলওয়েতে এক তরুণী নিজের স্বামীকে মারছেন, মোবাইল ফোন কেড়ে নিচ্ছেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি দিচ্ছেন। উপস্থিত লোকজন ঘটনাটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।

ঘটনাটি ঘটে রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে। ভাইরাল হওয়া ৩৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা শার্ট পরা যুবকের কাছ থেকে তরুণী মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। ফোন হাতে নিয়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে যুবকের পিঠে কিল-ঘুষি মারেন, চুল টেনে ধরেন এবং লাথিও দেন। ভিডিওতে তরুণী বারবার বলতে শোনা যায়: “এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক।”

মারধরের শিকার যুবকের নাম ফারুক হোসেন। তিনি পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। অপরদিকে হামলাকারী তরুণী হলেন বিথি আক্তার ওরফে মিষ্টি। তার বাড়ি কালুখালী উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামে এবং বর্তমানে তিনি বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মরত।

স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফারুক হোসেন জানান, কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরির সময় বিথির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় বিথি তার বিরুদ্ধে রাজবাড়ী আদালতে মামলা করেন। জামিন পাওয়ার পরও তিনি আরও চারটি মামলা দায়ের করেন। ফারুক হোসেনের দাবি, বিথি শর্ত দেন, বিয়ে করলে মামলা প্রত্যাহার করবেন। যদিও বিয়ে হয়ে যায়, মামলাগুলো প্রত্যাহার না করে বিভিন্ন উপায়ে হয়রানি চালিয়ে যান।

অন্যদিকে বিথি আক্তারের দাবি, ফারুক হোসেন দীর্ঘদিন কোনো যোগাযোগ রাখেননি এবং তার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল করেছেন।

ঘটনার সময় হাসপাতালের চিকিৎসক এনামুল হক বলেন, “দুপুর সোয়া একটা নাগাদ বাইরে হৈচৈ শুনে বের হয়ে দেখি, ফারুক ও এক তরুণী তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতি করছেন। এক পর্যায়ে ওই তরুণী ফারুককে একাধিকবার আঘাত করেন। আমি তাদের হাসপাতালের বাইরে গিয়ে বলি, ঝগড়া না করে বাড়িতে গিয়ে সমাধান করুন।”

ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বিব্রত অবস্থায় পড়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে বাইরে থাকায় আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। তিনি ফিরে এলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

আল-আমিন ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ