ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ আশ্বিন ১৪৩২

Zakaria Islam

Senior Reporter

ডিভিডেন্ড পেল ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা

শেয়ারনিউজ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৬ ১৫:৩৬:০৪
ডিভিডেন্ড পেল ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা

দেশের শেয়ারবাজারে অবশেষে কিছুটা স্বস্তির বাতাস বইছে। গত সপ্তাহে তালিকাভুক্ত আটটি কোম্পানি তাদের বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে, যা বাজারের ইতিবাচক গতি ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হয়েছে। ক্যাশ ও স্টক ডিভিডেন্ডের এই সম্মিলিত প্রবাহ বিনিয়োগকারীদের হাতে নগদ অর্থ সরবরাহ বাড়িয়ে তাদের আস্থা পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

যে আটটি কোম্পানি ডিভিডেন্ড প্রদান করেছে, তারা হলো:

নিটল ইন্স্যুরেন্স

ম্যারিকো বাংলাদেশ

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স

গ্রামীণফোন

নাভানা সিএনজি

ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স

ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড

এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স

বিভিন্ন খাতের ডিভিডেন্ড চিত্র:

এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে নিটল ইন্স্যুরেন্স তার বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে ৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড রয়েছে। অন্যদিকে, ম্যারিকো বাংলাদেশ ৬০০ শতাংশ বিশাল ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়ে চমক দেখিয়েছে। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গ্রামীণফোন, নাভানা সিএনজি, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স এবং এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স প্রত্যেকেই ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করেছে। ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড তাদের বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩.৩০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

এই ডিভিডেন্ড প্রদানকারী কোম্পানিগুলো টেলিকম, ভোগ্যপণ্য, বীমা এবং মিউচুয়াল ফান্ডের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাত থেকে এসেছে, যা বাজারের বৈচিত্র্যময় সুস্থতার ইঙ্গিত দেয়। উল্লেখ্য, গ্রামীণফোন এবং ম্যারিকো চলতি অর্থবছরের প্রথম ভাগের আর্থিক ফলাফল পর্যালোচনার ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন ডিভিডেন্ড দিয়েছে, যা তাদের শক্তিশালী আর্থিক ভিত্তি প্রমাণ করে। অন্য কোম্পানিগুলো বিগত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

বাজারের স্থিতিশীলতায় ডিভিডেন্ডের ভূমিকা:

বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতার জন্য সংগ্রাম করছে, তখন কোম্পানিগুলোর সময়মতো ডিভিডেন্ড প্রদান বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। এটি কেবল বিনিয়োগকারীদের তাৎক্ষণিক আর্থিক লাভই দিচ্ছে না, বরং কোম্পানিগুলোর শক্তিশালী আর্থিক সক্ষমতার বার্তাও বহন করছে।

ক্যাশ ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা পরোক্ষভাবে বাজারে নতুন বিনিয়োগ প্রবাহকে উৎসাহিত করতে পারে। এই ডিভিডেন্ড বিতরণ সামগ্রিকভাবে শেয়ারবাজারের প্রতি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং বাজারের ইতিবাচক ধারা বজায় রাখতে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ