
MD Zamirul Islam
Senior Reporter
শেয়ারবাজারে রেকর্ড দরে ৯ শেয়ার: কেনার সুযোগ নাকি পতনের ইঙ্গিত?

শেয়ারবাজারের গতিপ্রকৃতিতে বিনিয়োগকারীদের চোখ থাকে সবসময়। বিশেষ করে যখন কোনো কোম্পানির শেয়ার ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ মূল্যে পৌঁছায়, তখন সেটি একইসঙ্গে প্রবল আগ্রহ এবং গভীর আলোচনার জন্ম দেয়। এই ঘটনা একদিকে যেমন কোম্পানির প্রতি বাজারের আস্থা ও ইতিবাচক মনোভাবের জানান দেয়, তেমনি অন্যদিকে নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি এক গুরুত্বপূর্ণ সতর্ক বার্তাও বটে। কারণ, উচ্চ দরে শেয়ার কেনা সব সময়ই কিছু নির্দিষ্ট ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এ তালিকাভুক্ত নয়টি কোম্পানি তাদের শেয়ারের ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন সম্পন্ন করেছে। স্টকনাওয়ের তথ্যমতে, এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি বিনিয়োগ মহলে নতুন করে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই উল্লম্ফনের পেছনে কি কোম্পানির প্রকৃত শক্তিশালী ভিত্তি কাজ করছে, নাকি এটি কেবল একটি কৃত্রিম চাহিদা তৈরির ফসল?
যে ৯ কোম্পানির শেয়ার এখন ‘হটকেক’:
আল মদিনা ফার্মা – ৪৪ টাকা
বিডি পেইন্টস – ৪১ টাকা ৯০ পয়সা
সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স – ৬৯ টাকা ১০ পয়সা
সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল – ১৭৯ টাকা ৫০ পয়সা
ফাইন ফুডস – ৩১৬ টাকা ৭০ পয়সা
কেঅ্যান্ডকিউ – ৪২০ টাকা ৯০ পয়সা
প্রগতি ইন্স্যুরেন্স – ৬৪ টাকা ৩০ পয়সা
রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স – ৬৮ টাকা
সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট-সাপোর্ট – ৪২ টাকা ৫০ পয়সা
উত্থানের পেছনের রহস্য: গুজব নাকি বাস্তব চিত্র?
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এই উল্লিখিত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দামে মূল্য সংবেদনশীল কোনো নতুন তথ্য ছাড়াই আকস্মিক ও অস্বাভাবিক উত্থান দেখা গেছে। অভিযোগ উঠেছে, একটি প্রভাবশালী বিনিয়োগকারী চক্র নির্দিষ্ট কিছু শেয়ারে কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে দাম বাড়িয়ে বাজারকে প্রভাবিত করছে।
তাদের পরামর্শ হলো, কেবল গুজব বা বাজারের ক্ষণস্থায়ী 'হাইপ'-এর উপর ভিত্তি করে এসব শেয়ারে নতুন বিনিয়োগ করা হলে তা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিটি বিনিয়োগকারীর উচিত কোম্পানির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন, লভ্যাংশ প্রদানের ইতিহাস এবং প্রকৃত ব্যবসায়িক অবস্থা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা। মনে রাখতে হবে, অতিমূল্যায়িত দরে শেয়ার কিনে অজানা ঝুঁকির মুখে পড়া কোনোভাবেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
বিনিয়োগকারীদের জন্য বার্তা:
শেয়ারবাজারের এই পরিস্থিতিতে বিচক্ষণতা অত্যন্ত জরুরি। হুজুগে বিনিয়োগের পরিবর্তে তথ্য-ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা দীর্ঘমেয়াদে সাফল্যের পথ প্রশস্ত করবে। কোম্পানিগুলোর মৌলিক শক্তি এবং বাজারের প্রকৃত অবস্থা বিবেচনা করে বিনিয়োগ করলে, তবেই এই ঊর্ধ্বমুখী বাজারে সঠিক কৌশল অবলম্বন করা সম্ভব।
তানভির ইসলাম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬৪% ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ার দর বৃদ্ধি: ডিএসইর কড়া সতর্কবার্তা জারি
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা: ৩,০০০ সদস্যের প্রতারক চক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
- শেয়ার কারসাজি: বিএসইসি’র কড়া তদন্তের নির্দেশ, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক
- শেয়ারবাজারে আলোড়ন: ৯ স্টকে বাই সিগন্যাল, নতুন সুযোগ?
- ২,৩০০ কোটি টাকার বন্ডে শেয়ারবাজারে আলোড়ন: বিএসইসি'র অনুমোদন
- বিনিয়োগকারীদের চিন্তা দুর করলো ৯ কোম্পানির শেয়ার
- দুই কোম্পানির ডিভিডেন্ডে হতাশ বিনিয়োগকারীরা
- এইচএসসি রেজাল্ট ২০২৫: ফল নিয়ে যা জানা গেল
- শেয়ারবাজারে আতঙ্ক! ১৪ প্রতিষ্ঠানের রদবদলে অন্ধকারে বিনিয়োগকারীরা
- রেকর্ড চাহিদা: বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ২৪ কোম্পানির শেয়ার
- পুঁজি সংগ্রহে ব্যর্থ শেয়ারবাজার: দায়ী কারা? ফাঁস করলেন বিশেষজ্ঞরা
- সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা নিয়মে যুগান্তকারী পরিবর্তন
- ইন্টার মায়ামি বনাম শিকাগো ফায়ার: শেষ ৮ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচ
- সরকারি বেতন কাঠামো ২০২৫ নিয়ে আসলো নতুন সিদ্ধান্ত