ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২

MD Zamirul Islam

Senior Reporter

এক কোম্পানির শেয়ার ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত

শেয়ারনিউজ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৯ ১১:৫৫:৩৪
এক কোম্পানির শেয়ার ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জনতা ইন্স্যুরেন্স পিএলসি আজ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হয়েছে। অনুমোদিত ডিভিডেন্ড নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কঠোর নির্দেশনায় কোম্পানিটির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সতর্ক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কারণ ও প্রেক্ষাপট:

জনতা ইন্স্যুরেন্স ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৬ শতাংশ ক্যাশ এবং ৪ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল। এই ডিভিডেন্ড ২৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অনুমোদিত হয়। তবে, এজিএমে অনুমোদনের পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ডিভিডেন্ড বিতরণ করতে পারেনি। বিএসইসি-এর নিয়ম অনুযায়ী, ডিভিডেন্ড বিতরণে ব্যর্থতা কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের অন্যতম প্রধান কারণ।

বিনিয়োগকারীদের উপর প্রভাব:

বিএসইসি-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, জনতা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কেনার জন্য স্টক ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকাররা কোনো মার্জিন ঋণ বা ঋণ সুবিধা দিতে পারবেন না। এই পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করার জন্য এবং ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ারে অতিরিক্ত বিনিয়োগ থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানানো হয়েছে, ক্যাটাগরি পরিবর্তনের ফলে জনতা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার এখন থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে। ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতামত:

বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএসইসি-এর এই ধরনের কঠোর পদক্ষেপ শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে নিয়মকানুন মানতে বাধ্য করবে। যদিও প্রাথমিকভাবে জনতা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারমূল্যে এর চাপ পড়তে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে। এই পদক্ষেপ অন্যান্য কোম্পানিগুলোর জন্যও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে, যাতে তারা ডিভিডেন্ড বিতরণে আরও বেশি দায়বদ্ধ থাকে।

‘জেড’ ক্যাটাগরি কী?

শেয়ারবাজারে কোনো কোম্পানি অনুমোদিত ডিভিডেন্ড সময়মতো বিতরণে ব্যর্থ হলে অথবা স্টক এক্সচেঞ্জের নিয়ম অনুযায়ী অন্য কোনো বড় ধরনের সমস্যায় পড়লে তাকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামানো হয়। এই ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোকে সাধারণত দুর্বল বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এদের শেয়ার লেনদেনে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। জনতা ইন্স্যুরেন্সকে সেই নিয়ম অনুসারেই এই শ্রেণিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতি জনতা ইন্স্যুরেন্সের জন্য একটি বড় ধাক্কা, যা তাদের সুনাম এবং শেয়ারমূল্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কোম্পানিটিকে দ্রুত এই সমস্যা কাটিয়ে উঠে ডিভিডেন্ড বিতরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে, যাতে তারা আবার ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরে আসতে পারে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে।

আব্দুর রহিম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ