ঢাকা, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

৫ কোটির শেয়ার উপহার: পরিচালকের স্ত্রীর স্বামীকে শেয়ারদান!

শেয়ারনিউজ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১৬:১৮:১৭
৫ কোটির শেয়ার উপহার: পরিচালকের স্ত্রীর স্বামীকে শেয়ারদান!

শেয়ারবাজারের গতিপ্রকৃতিতে কোম্পানির ভেতরের খবর, বিশেষ করে পর্ষদ সদস্যদের ব্যক্তিগত আর্থিক লেনদেন, সবসময়ই বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। এবার মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের অভ্যন্তরে এমনই এক বিশেষ 'উপহারের' ঘটনা বাজারজুড়ে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। কোম্পানিটির একজন পরিচালক শারমিন নাসির, তার স্বামী নাসির উদ্দিন আহমেদকে, যিনি নিজেও একই কোম্পানির একজন পরিচালক, প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার উপহার হিসেবে প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘটনাটি এখন বিনিয়োগকারীদের আলোচনার প্রধান বিষয়।

লেনদেনের বিশদ বিবরণ:

ডিএসই (ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পরিচালক শারমিন নাসির তার স্বামী নাসির উদ্দিন আহমেদকে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মোট ৮,৫৬,৯৩৬টি (আট লাখ ছাপ্পান্ন হাজার নয় শত ছত্রিশ) শেয়ার হস্তান্তর করবেন। এই হস্তান্তর প্রক্রিয়াটি শেয়ারবাজারের নিয়মিত ট্রেডিং ব্যবস্থার বাইরে 'উপহার' হিসেবে সম্পন্ন হবে। উভয় পরিচালক দম্পতি ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এই শেয়ার হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

উপহারের আর্থিক গুরুত্ব:

বাজার বিশ্লেষকদের হিসাব অনুযায়ী, এই উপহারের আর্থিক মূল্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ এবং এটি বাজারে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রতিটি শেয়ারের বাজারদর ছিল ৫৭ টাকা ৮০ পয়সা। এই বাজারমূল্যকে ভিত্তি ধরলে, শারমিন নাসিরের কাছ থেকে তার স্বামী নাসির উদ্দিন আহমেদকে উপহার হিসেবে দেওয়া ৮,৫৬,৯৩৬টি শেয়ারের সম্মিলিত বাজার মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা দাঁড়ায়, যা প্রায় ৫ কোটি টাকার সমতুল্য।

বাজারের উপর সম্ভাব্য প্রভাব:

যদিও পরিচালক পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে ব্যক্তিগত শেয়ারের আদান-প্রদান সাধারণত শেয়ারবাজারে তাৎক্ষণিক কোনো বড় পরিবর্তন আনে না, তবে এই লেনদেনটি দুটি কারণে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে: প্রথমত, এটি একটি বিশাল অঙ্কের শেয়ারের মালিকানা পরিবর্তন; এবং দ্বিতীয়ত, যেহেতু শেয়ারগুলো কোম্পানির ভেতরের অর্থাৎ পরিচালক পর্ষদের সদস্যদের মধ্যেই হস্তান্তরিত হচ্ছে, তাই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা বা পরিচালনা কাঠামোতে কোনো ধরনের পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। এটিকে মূলত পারিবারিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাধারণত, পরিচালকদের মধ্যে এমন শেয়ার লেনদেন কোম্পানির প্রতি তাদের আস্থা এবং সুদৃঢ় প্রতিশ্রুতিরই পরিচায়ক। এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কোম্পানির স্থিতিশীলতা সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা দিতে পারে।

তানভির ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ