ঢাকা, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

সেই চিকিৎসককে এখনও ভুলেননি রিজওয়ান

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২১ নভেম্বর ১৪ ১৩:৪২:১৩
সেই চিকিৎসককে এখনও ভুলেননি রিজওয়ান

প্রশংসা করার পাশাপাশি হতবাক হয়ে গেছেন রিজওয়ানের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডা. সাহের সাইনাল আবদিন। দুবাইয়ের মেডিওর হাসপাতালের এই বিশেষজ্ঞ পালমোনোলজিস্ট জানান, আমি অবাক হয়েছি পাকিস্তানের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের দৃঢ় মনোবল ও দেশপ্রেম দেখে। আইসিইউতে থাকাকালে রিজওয়ান কেবল বলছিলেন, আমি খেলতে চাই এবং দলের সঙ্গে থাকতে চাই।

তার আত্মবিশ্বাস দেখে সাইনাল আবদিন রীতিমতো চমকে যান। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দেশের হয়ে খেলার প্রবল ইচ্ছা ছিল রিজওয়ানের। তিনি শক্তিশালী, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও আত্মবিশ্বাসী। তিনি যেভাবে দ্রুত সেরে উঠলেন, তাতে আমি চমকে গেছি।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে থেকে জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন রিজওয়ান। সে অনুযায়ী ওষুধ দেওয়া হয়। সাইনাল আবদিন বলেন, ভর্তি হওয়ার সময় তার সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যথা ছিল। অবস্থার অবনতি দেখে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় রিজওয়ানকে। চিকিৎসকরা কখনো ভাবতেই পারেননি, সেমিফাইনাল ম্যাচে খেলতে পারবেন রিজওয়ান।

সাইনাল আবদিন আরও বলেন, রিজওয়ানের সংক্রমণ যে পর্যয়ে পৌঁছেছিল, তাতে সাধারণ যে কারো সুস্থ হতে ৫ থেকে ৭ দিনের বেশি সময় লাগত। আইসিইউতে দুই রাত থাকার পর রিজওয়ানের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলেও খেলার মতো ফিটনেসের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন না চিকিৎসক। তবে রিজওয়ানকে খুব মনোযোগী এবং বিশ্বাসী বলে মনে হয়েছিল।

৩৫ ঘণ্টা আইসিইউতে থাকার পর খেলার দিন দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান রিজওয়ান। এর আগে এত দ্রুত কোনো খেলোয়াড়কে হাসপাতালে ছাড়তে দেখেননি ওই চিকিৎসক, ‘খেলার সময় আমরা খেলোয়াড়দের চোট নিয়ে আসতে দেখেছি। তবে এই প্রথম এত গুরুতর অসুস্থতার পরও কোনো খেলোয়াড় এত দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলেন।’

নিজের সর্বোচ্চটা নিংড়ে দিলেও দল জয় পায়নি। কিন্তু তাকে মাঠে নামতে সহায়তা করা চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে মোটেও ভুলেননি রিজওয়ান। ম্যাচশেষে সাইনাল আবদিনকে ধন্যবাদ জানান এবং অটোগ্রাফসহ নিজের একটি জার্সিও উপহার দেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ