ঢাকা, শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২

পেসারদের ধুয়ে দিলেন সুজন

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২১ ডিসেম্বর ০৭ ২২:২১:১৯
পেসারদের ধুয়ে দিলেন সুজন

সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষত টেস্টে বাংলাদেশের পেসাররা একদমই নিস্প্রভ। তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম- হাতেগোনা কয়েকজন পেসার ছাড়া বাকিদের বোলিং নির্বিষ, নির্জীব। চলমান টেস্ট সিরিজে এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, এবাদত হোসেনরা প্রতিপক্ষ দলে ত্রাস ছড়াতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ।

এমন ব্যর্থতার কারণ কী? বাংলাদেশ কবে পাবে টেস্টের কাঙ্ক্ষিত পেসার? এমন প্রশ্নের জবাবে সুজন বলেন, ‘আল্লাহ যেদিন দেয়। এছাড়া কী বলব? ছেলেদের সর্বোচ্চ অনুশীলন সুবিধা দেওয়া হয়। ৬ ফুট লম্বা, ১৪০ গতিতে বল করে। তারপরও যদি উইকেট নিতে না পারে।’

সুজনের মতে, বুদ্ধিমত্তা না খাটানোর কারণেই পিছিয়ে আছেন বাংলাদেশের পেসাররা, ‘এটা হল কমন সেন্স। কোচ তো গুলিয়ে খাইয়ে দিতে পারবে না ওকে। কোচ প্র্যাকটিস করায়, কিন্তু চিবিয়ে খেতে হবে তো আপনাকেই। মাশরাফি কীভাবে উইকেট পেয়েছে? তাপস বৈশ্য কীভাবে উইকেট পেত? তখন তো আমরা আরও পারতাম না। এখন আলাদা পেস বোলিং কোচও আছে। এই প্রশ্ন বোলিং কোচকে করলে ভালো হত।’

সুজনের মতে, উইকেটের আচরণ অনুযায়ী বোলিং করতে পারছেন না পেসাররা। ঢাকা টেস্টে দলের সাথে নেই সুজন। টিম ডিরেক্টর হিসেবে দলকে তাই দেখভালও করা হচ্ছে না এই ম্যাচে।

দূর থেকে তাই তার মূল্যায়ন, ‘বোলারদের ভুল সেন্সে, প্রয়োগে। প্রথম ইনিংসে বল উইকেটে ধরছিল, তারপরও আমরা পেছনে বল করেছি। এই পরিকল্পনা তো বোলিং কোচ দিবে আর বোলাররা প্রয়োগ করবে। বোলাররা যদি না বুঝে এই উইকেটে কোথায় বল করতে হবে, স্ট্রং পয়েন্ট কোনটা, উইক পয়েন্ট কোনটা, তাহলে তো সমস্যা।’

সুজন তার সময়কার একটি ম্যাচের কথাও জানান, যে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া সোনালি প্রজন্মের মত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি।

সুজন বলেন, ‘একটা ম্যাচের কথা বলি। আমি তখন অধিনায়ক, ম্যাথু হেইডেন আর জাস্টিন ল্যাঙ্গার ব্যাট করছে। ডেভ হোয়াটমোর আমাদের পরামর্শ দিয়েছে আমরা যেন ওর স্ট্রং জোনে বল না করে উইক জোনে করি। এজন্য আমরা ওকে বাইরে বাইরে বল করে গেছি। বলের গতি আর স্কিল ভিন্ন ব্যাপার। স্কিল একেকজনের একেকরকম হয়। কিন্তু সেন্স ভিন্ন। ক্রিকেট জ্ঞানের খেলা। যার জ্ঞান থাকবে তার জন্য সহজ।’

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ