পেসারদের খারাপ করার কারণ জানালেন ফাহিম

তাইতো আজ রোববার প্রথম দিন শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ১ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯। তা না হয় মানা গেল; কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের বোলিং অ্যাপ্রোচ কি ঠিক ছিল?
যে এবাদত, তাসকিন, শরিফুল আর মেহেদি মিরাজরা মাউন্ট মাঙ্গানুইয়ে বল হাতে কারিশমা দেখিয়েছেন, যাদের খেলতে রীতিমত কষ্ট হয়েছে কিউই ব্যাটারদের, তারা কী আজ রোববার কাজের কাজটি করতে পেরেছেন?
হ্যাগলি ওভালের এ পিচে যে লাইন ও লেন্থে বোলিং করা দরকার ছিল, টাইগার বোলাররা কি তা করতে পেরেছেন? এক কথায় বাংলাদেশের বোলারদের বোলিংটা কি ঠিক উইকেট উপযোগী ছিল?
এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সবাই। মিলিয়ে নিন, নামী ক্রিকেট প্রশিক্ষক ও বিশেষজ্ঞ নাজমুল আবেদিন ফাহিম এ প্রশ্নর যে উত্তর খুঁজে বের করেছেন, তার সঙ্গে।
ফাহিম মনে করেন, ‘মাঠে নেমে উইকেটের আচরণ ও গতি-প্রকৃতি ভিন্ন হওয়ায় নিশ্চিতভাবেই আমাদের বোলাররা বিপাকে পড়েছে। তারা দেখলো যে উইকেটের আচার আচরণ সম্পূর্ন ভিন্ন। তখন তাদের পুরো প্ল্যান পাল্টে ফেলা ছাড়া কোনো উপায়ই ছিল না।’
‘কিন্তু মাঠে নেমে আসলে প্ল্যান পাল্টানো কঠিন। তখন সরাসরি প্ল্যান ‘এ’ থেকে প্ল্যান ‘বি’তে চলে যেতে হয়েছে। বোলাররা হয়তো ভেবে বসেছিলেন, বল সুইং করবে, এই করবে সেই করবে। ওটা যখন একদম হয়নি, তখন প্ল্যান ‘বি’তে চলে যেতে হয়েছে। সে কাজটি করে দেখানো সহজ কাজ নয়। এছাড়া উইকেট এমন যে, লাইন ও লেন্থ একটু গড়বড় হলেই বিপদ। খুব মেপে বল করতে হবে। একটু খারাপ জায়গায় বল করলে রান আটকানোও মুশকিল। সমস্যাটা এখানেই হয়েছে।’
সে সঙ্গে ল্যাথামের দু’ দুবার আউট হয়েও ডিআরএস-এ বেঁচে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ফাহিম বলেন, ‘কিছুটা দুর্ভাগ্যও ছিল। দুটি সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে আসেনি। উল্টো ওভার থ্রো’তে কিছু রান অতিরিক্ত দিয়েছি।’
‘এর বাইরে আমার মনে হয় আমরা আরও একটু ডিসিপ্লিন্ড বোলিং করতে পারতাম। যখন দেখলাম বল সুইং করছে না। ন্যাচারাল আর সীম ম্যুভমেন্টেও তেমন কিছু হচ্ছে না। তখন মনে হয় লাইন ও লেন্থ আর একটু টাইট করায় মনোযোগী হওয়া যেত।’
এর বাইরে বাংলাদেশ দল আরও একটি কৌশল মিস করেছে বলে মনে করেন ফাহিম। তার অনুভব, ‘উইকেটে যখন কিছুই হচ্ছে না, ব্ল্যাক ক্যাপ্সরাও অনায়াসে স্বচ্ছন্দে রান করে যাচ্ছে, তখন একটু নেতিবাচক মানসিকতায় নেগেটিভ বোলিং করতে পারতাম আমরা।’
তবে সে নেতিবাচক বোলিংটাও কেন হয়নি? সে ব্যাখ্যাও আছে তার কাছে, ‘আমি বুঝতে পারছি, সমস্যাটা কোথায় হয়েছে। গত ম্যাচে আমাদের বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। তাদের বল খেলতে রীতিমত কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে কিউইদের। ওই বোলিং সাফল্য এ ম্যাচেও এনে দিয়েছে বাড়তি সাহস। একটা পজিটিভ ফ্রেম অফ মাইন্ড তৈরি হয়েছে। তাই আমরা খুব পজিটিভ মানসিকতায় শুরু করেছি।’
পজিটিভ মাইন্ডসেটের কারণে এই ম্যাচে মুমিনুলের দলকে আরও বেশি আক্রমণাত্মক করে তুলেছে বলে মত ফাহিমের। প্রথম ম্যাচের হিরো এবাদত দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিন প্রচুর রান দিয়েছেন। সেটা কেন?
কোচ ফাহিমের ব্যাখ্যা, ‘এ কন্ডিশনে এবাদত অনেক বেশি অ্যাটাক করেছে। উইকেটে হেল্প পাবে, বল সুইং করবে- ভেবে বেশি ওপরে বল করেছে। আর কিউইরা সেগুলো থেকে বেশি রান তুলে নিয়েছে।’
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ: কখন, কোথায় ও কিভাবে লাইভ দেখবেন
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ: লাইভ দেখার উপায় ও সময়সূচি
- নকল অ্যাপ, ভুয়া ব্রোকারেজ: শেয়ারবাজারের বড় প্রতারণা উন্মোচন
- কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা: ৩,০০০ সদস্যের প্রতারক চক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬৪% ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর: নতুন পে-স্কেল, কার কত বেতন বাড়বে
- শেয়ারবাজারে আলোড়ন: ৯ স্টকে বাই সিগন্যাল, নতুন সুযোগ?
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করলো ৮ কোম্পানি
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ: বাংলাদেশ একাদশে ৪ পরিবর্তন
- শেয়ারবাজারে নতুন মোড়: ফিরছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা!
- বিনিয়োগকারীদের চিন্তা দুর করলো ৯ কোম্পানির শেয়ার
- পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- ২,৩০০ কোটি টাকার বন্ডে শেয়ারবাজারে আলোড়ন: বিএসইসি'র অনুমোদন
- উদ্যোক্তা পরিচালকের ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার বিক্রি: বিনিয়োগকারীদের আস্থা কি ঝুঁকিতে?