ঢাকা, শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২

ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর কোহলি ও অশ্বিনকে যে ভুমিকায় দেখতে চান টফেল

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ মে ২৯ ১৫:৫৭:৫১
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর কোহলি ও অশ্বিনকে যে ভুমিকায় দেখতে চান টফেল

তাই ক্রিকেটাররা সাবেক তকমা লাগানোর পর নানা ক্রিকেটীয় পেশায় জড়ালেও আম্পায়ারিংয়ে সচরাচর আসতে দেখা যায় না। তবে সাবেক খ্যাতিমান আম্পায়ার সাইমন টফেলের চাওয়া, দুই ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন যেন খেলোয়াড়ি জীবন শেষে হন আম্পায়ার।

খেলোয়াড় হন বা কোচ, ক্রিকেট জ্ঞান আপনার থাকা লাগবেই। তবে অনেকেই বলে থাকেন, আম্পায়ারিংয়ের ক্ষেত্রে ক্রিকেট জ্ঞান সবচেয়ে বেশি থাকা প্রয়োজন। আসলেই তাই! ক্রিকেটের হাজারটা নিয়মকানুন মস্তিস্কে সাঁটিয়ে রাখলেই শুধু হয় না, তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে সেসব আইন আর রীতিনীতির হিসেবনিকেশ কষতে হয় মুহূর্তের মধ্যে।

সেই সাথে আছে দীর্ঘক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। এতসব কারণে আম্পায়ারিংয়ে ক্রিকেটারদের আগ্রহটা কমই বলা চলে। তবে ক্রিকেটীয় জ্ঞান আর মেধা বিবেচনায় সাইমন টফেলের চাওয়া, বিরাট কোহলি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন যেন ভবিষ্যতে আম্পায়ার হন।

তিনি বলেন, ‘আমি চাইব বিরাট কোহলি অথবা রবিচন্দ্রন অশ্বিন আম্পায়ারিং করুক। ক্রিকেটের আইন, খেলার পরিস্থিতি খুব ভালো বোঝে ওরা ২ জন।’

টফেল মনে করেন, আম্পায়ার হওয়ার যোগ্যতা আছে কোহলি ও অশ্বিনের। কোহলির ক্রিকেটীয় মেধা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। অশ্বিনও কিন্তু কম যান না! ক্রিকেটীয় নানা কায়দাকানুন নিয়ে প্রায়শই আলোচনা করতে দেখা যায় তাকে। তবে টফেল এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, সবাইকে দিয়ে সব কিছু হয় না।

তিনি বলেন, ‘বীরেন্দর শেবাগকে আমি আম্পায়ারিং করতে বলেছিলাম। একবার ওকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম আম্পায়ারিং করার জন্য। কারণ স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে সর্বক্ষণ আমাকে বলে যাচ্ছিল কোনটা আউট, কোনটা আউট নয়। কিন্তু ও রাজি হয়নি। ও আম্পায়ারিং করতে চায় না।’

তবে ব্যতিক্রমী দৃশ্যও দেখেছেন টফেল। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বেশ কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম আম্পায়ারিং করার ব্যাপারে। মরনে মরকেল ক্ষুব উৎসাহী ছিল। কিন্তু এটা সবাই পারে না। একটা ব্যক্তিত্ব প্রয়োজন, সঙ্গে ইচ্ছাও থাকতে হবে আম্পায়ারিং করার।’

২০১২ সালে আম্পায়ারিংকে বিদায় জানানো এই তারকা ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব মনে করেন, উপভোগ করতে পারলে আম্পায়ারিং কঠিন কোনো কাজ নয়। টফেলের ভাষায়, ‘এটা মোটেই ক্লান্তিকর কাজ নয়, যদি না করাচি বা ওরকম কোনো শুকনো পরিবেশে আম্পায়ারিং করতে হয়। ওখানে উইকেটে তেমন কিছু হয় না। তবে আম্পায়ারিং সকলের জন্য নয়। খুব চ্যালেঞ্জিং কাজ। অনেকেই বলে এত দীর্ঘ সময় ধরে মনোযোগ কীভাবে রাখা সম্ভব? আমি বলব দীর্ঘ সময় ধরে নয়, ছোট ছোট ভাগে দেখতে হবে ম্যাচটাকে। তাহলেই এটা বেশ আনন্দের।’

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ