বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে নতুন মাইলফলোকের সামনে দাড়িয়ে মুশফিক

বাংলাদেশের জার্সিতে দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকানো মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে আছেন শ্রীলঙ্কার হয়ে ব্যাটে-বলে দারুণ খেলা দুই লঙ্কান ক্রিকেটাররা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও আসিথা ফার্নান্দো। এর আগে গত বছর মে মাসের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম।
গতবছর লঙ্কান ক্রিকেট প্রবীন জয়াবিক্রমা এবং হাসান আলি কে পিছনে ফেলে সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে এবার যদি মুশফিকুর রহিম আবারো ‘আইসিসি প্লেয়ার অফ দ্যা মান্থ’ নির্বাচিত হন তাহলে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে দুইবার এই খেতাব জিতবেন তিনি। তবে সে ক্ষেত্রে তার প্রথম প্রতিদ্বন্দী লঙ্কান ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ।
চট্টগ্রামে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫ হাজার টেস্ট রান করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। ওই ম্যাচে তার ১০৫ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ ৬৮ রানের লিড নেয়। তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এসেছিল বিপদের মুহূর্তে। বাংলাদেশ ১৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ব্যাট করতে নামেন এবং দ্রুত স্কোরবোর্ড হয়ে যায় ২৫/৫।
সংশয় জাগে বাংলাদেশের দলীয় স্কোর পঞ্চাশ পার হওয়া নিয়েও। কিন্তু মুশফিক লিটন দাসকে নিয়ে দাঁড়িয়ে যান। ষষ্ঠ উইকেটে রেকর্ড ২৭২ রানের জুটি গড়েন। দুর্ভাগ্যবশত মুশফিককে থামতে হয় অপরাজিত ১৭৫ রানে, কারণ দলের সব ব্যাটসম্যানই আউট। দারুণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিতে আট ধাপ এগিয়ে ব্যাটসম্যান র্যাংকিংয়ে ১৭ নম্বরে তিনি।
এদিকে আসিথা এই সিরিজ শেষ করেছেন শীর্ষ উইকেটশিকারি হয়ে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার করা একমাত্র বোলিং ইনিংসে তিন উইকেট নেন। ঢাকায় দ্বিতীয় ম্যাচে পান ১০ উইকেট। বিদেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কান পেসারের টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা এটা। শেষ ইনিংসে ৫১ রান খরচায় নেন ৬ উইকেট। হন ম্যাচসেরা।
দুই টেস্টে ২ সেঞ্চুরিতে ৩৪৪ রান করে সিরিজের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন ম্যাথুজ। প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির পথে ছিলেন, কিন্তু ১ রানের জন্য পারেননি। ১৯৯ রানে আউট হন। তার অনবদ্য ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা ৩৯৭ রান করলেও বাংলাদেশ লিড নেয়। ম্যাচটি ড্রতে শেষ হয়।
একই সিরিজে রানের হিসেবে মুশফিককেও ছাড়িয়ে গেছেন ম্যাথিউজ। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৯৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। পরে দ্বিতীয় ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ১৪৫ রান। যার সুবাদে আইসিসি র্যাংকিংয়ে ছয় ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ১৫ নম্বরে।
মুশফিক-ম্যাথিউজের ব্যাট হাতে দাপট দেখানো সিরিজে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন শ্রীলঙ্কার পেসার আসিথা ফার্নান্দো। শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় পেসার হিসেবে ম্যাচে দশ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন তিনি। আসিথার তোপেই মূলত ঢাকা টেস্টে পরাজিত হয় বাংলাদেশ।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- শেষ হলো মেলবোর্ন স্টার্স বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড জায়গা পেলেন যারা
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বড় চমক, বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড চূড়ান্ত
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- মালয়েশিয়া প্রবাস: যেভাবে আবেদন করবেন সম্পূর্ণ বিনা খরচে
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: প্রথমার্ধের খেলা শেষ, জানুন সর্বশেষ ফলাফল
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি