মুশফিকুর ৫২৩৫, তামিম ৫০৭৮, সাকিব ৪২৩৫

১.মুশফিকুর রহিম-ঃ তাকে বলা হয় মিঃ ডিপেন্ডেবল ২০০৫ সালে অভিষেক হয় তার ’বাংলাদেশের অনেক জয়ের সাক্ষী তিনি। তিনি অনেক ম্যাচ এ দলকে একাই জিতিয়েছেন। এশিয়া কাপে তার ১৪৪ রানের ইনিংস টি আজও চোখে লেগে আছে। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে তিনি দলের অন্যতম ভরশার নাম। দেশের পক্ষে এই ফরম্যাট এ তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এখন পরযন্ত দেশের হয়ে ৮২ টেস্ট ম্যাচে ১৫১ ইনিংসে তার মোট রান ৫২৩৫। সর্বোচ্চ ২১৯ যা এই ফরম্যাটে দেশের সেরা। মুলত উইকেট কিপার হলেও ইদানীং ব্যাটিং এ মনোযোগী হতে উইকেট এর পিছনে তাকে কমই দেখা যায়।৩৮ ছুঁই ছুঁই গড় আর ৯ সেঞ্চুরিতে তিনিই আছেন তালিকার ১ নম্বর এ
২.তামিম ইকবাল খান-ঃ তিনিই এযাবৎ কালে বাংলাদেশের সেরা ওপেনিং ব্যাটসম্যান এতে কোনো সন্দেহ নেই।২০০৮সালে তিনি দলে আসেন তার সাথে দলে অনেকেই এসেছে আবার হারিয়েও গেছেন।কিন্তুুু তিনি আছেন তার জায়গায় অবিচল। এখন অব্দি দেশের হয়ে ৬৯ টেস্টে ১৩১ ইনিংসে ৫০৭৮ রান সংগ্রহ করেছেন। ৩১ ফিফটির সাথে আছে ১০ টি সেঞ্চুরি। প্রায় ৪০ গড়ে রান তোলা এই খেলোয়ার ভবিষ্যতে ব্যাটিং এ দেশিয় সব রেকর্ড নিজের করে নিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না
৩.সাকিব আল হাসান-ঃতিনি নিসন্দেহে এই বঙ্গভুমিতে জন্ম নেয়া সর্ব কালের সেরা খেলোয়ার। অলরাউন্ডারের ১ নম্বর জায়গাটা তো নিজের সম্পত্তিই বানিয়ে ফেলেছেন। ব্যাট হাতে দলের অন্যতম। তবে সবার সাথে পার্থক্য হলো তিনি ব্যাট এবং বল হাতে সমান কার্যকর। ২০০৭ সালে অভিষেকের পর খেলেছেন ৬৩ টেস্ট। ১১৫ ইনিংসে ব্যাট করে ২৯ ফিফটি আর ৫ সেঞ্চুরিতে সংগ্রহ করেছেন ৪২৩৫ রান। গড় ৩৯ সর্বোচ্চ রান ২১৭ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে । তবে গত দুই তিন বছর যাবত এই ফরম্যাটে তাকে একটু কম দেখা যায়। আশার কথা হলো তিনি আবার সাদা বলের অধিনায়ক হয়ে ফিরে এসেছেন আাশা করা যায় এবার থেকে তিনি নিয়মিত টেস্ট খেলবেন দেশের হয়ে
৪.মনিনুল হক-ঃ সদ্য সাবেক হওয়া টেস্ট অধিনায়ক মমিনুল হক এই তালিকায় আছেন ৪ নম্বরে। কিছুদিন আগেও টেস্টে তিনিই ছিলেন দেশের সবচেয়ে ধরাবাহিক ব্যাটসম্যান। সময়টা এখন ভলো যাচ্ছে না মমিনুলের হারিয়েছেন অধিনায়কত্ব। সবশেষ টেষ্ট থেকে তো বাদই পরে গেলেন। ২০১৩ সালে অভিষেক হওয়া মমিনুল দেশের হয়ে খেলেছেন ৫৪ টি টেস্ট। এই ৫৪ টেস্টে ১০০ ইনিংসে মোট রান করেছেন ৩৫২৯। ১৫ টি পঞ্চাশ এর সাথে আছে ১১ টি শতক। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করা ১৮১ রান তার ক্যারিয়ার সেরা। খারাপ সময় পেরিয়ে আবার জাতিয় দলে ফিরবেন এই কামনা সকলেরই
৫.হাবিবুল বাশারঃ- বাংলাদেশের টেস্ট যুগের সূচনায় যে কজন ব্যাটসম্যান এর দিকে গোটা দেশ তাকিয়ে থাকতো হাবিবুল বাশার তাদেরই একজন। টেকনিক্যালি খুব সলিড না হলেও সেই সময় নিয়মিতই রান করতেন তিনি। হুক শট তার খুব প্রিয় ছিলো। এই হুক খেলতে গিয়েই তিনি অনেক বার আউট হয়েছেন।দেশের হয়ে টেস্টে প্রথম ফিফটি টি তারই। ২০০৮ সালে অবসর নেয়ার আগে খেলেছেন ৫০ টি টেস্ট। যাতে ৩০ গড়ে ২৪টি অর্ধ শতকের সাথে আছে ৩ টি শতরান। ছিলেন এই ফরম্যাট এ দলের অধিনায়ক। বর্তমানে নির্বাচন এর দায়িত্ব পালন করছেন।
টেস্ট ক্রিকেটে সফল হতে হলে দরকার ভালো মানের ব্যাটসম্যান। সব বড় বড় দলেই এমন অনেক খেলোয়াড় থাকে যাদের গড় ৫০-৬০ এর মধ্যে। তবে আমাদের ২২ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এমন একজনকেও পাওয়া যায় নি। তাই হয়তো এই ফরম্যাটে আমার এখনো নিজেদেরকে সেরাদের কাতারে নিয়ে যেতে পারিনি
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের রাজনীতি নতুন মোড়: সেনাপ্রধানের শঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম নেপালের মধ্যকার ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম পার্থ স্কর্চার্সের মধ্যকার ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- জামায়াত, বিএনপি, এনসিপি অনড়, সত্যি হতে চলেছে সেনা প্রধানের ভবিষ্যদ্বাণী
- প্রকৌশল খাতের ৫ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে চার কোম্পানির শেয়ার
- চমক দেখালো ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ার
- রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে তোলপাড়, নীরব বিদায়ের ইঙ্গিত?
- বিক্রেতা সংকট: সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি পেয়ে হল্টেড ৮ কোম্পানি
- বিক্রেতা সংকটে হল্ডেট ৩ কোম্পানি
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট(১৮ আগস্ট ২০২৫)
- ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারে চমক
- চলতি সপ্তাহে ৭ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে
- সাত কোম্পানির শেয়ার বছরের সর্বোচ্চ দামে লেনদেন
- বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ৮ কোম্পানির শেয়ার