ঢাকা, শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২

শেষ ওয়ানডেতে খেলানো হবে না বিজয়কে: কোচ ডমিঙ্গো

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ জুলাই ১৬ ১০:১৫:২৯
শেষ ওয়ানডেতে খেলানো হবে না বিজয়কে: কোচ ডমিঙ্গো

এই তিন ম্যাচের সিরিজটি আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ নয়। তাই পয়েন্টের ব্যাপার নেই। প্রথম দুই ম্যাচেই সিরিজ জিতে ফেলা বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ হেরে গেলেও ক্ষতি খুব বেশি নেই।

দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে অধিনায়ক তামিম বলেছিলেন, বাইরে থাকাদের পরখ করতে উপযুক্ত সুযোগ এটি। “এখন আমাদের সময় এসেছে ‘বেঞ্চ স্ট্রেংথ’ দেখে নেওয়ার। সাধারণত যখন পয়েন্টসের ব্যাপার থাকে, তখন সুযোগ থাকে না। কিন্তু এরকম সিরিজে যদি ২-০তে এগিয়ে যান, তখন যারা খেলেনি বা যাদেরকে নিয়ে আমরা অনেক দিন ধরে ঘুরছি, তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত। এটির জন্য আমারও এক-দুই ম্যাচ মিস করতে হলে, ইটস ফাইন। কোনো সমস্যা নেই।”

একই দিন ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপের সঙ্গে টিভিতে কথোপকথনে ডমিঙ্গোর কণ্ঠেও ছিল একই কথা।

“শেষ ম্যাচটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা দিক থেকে। এতদিন এত গুরুত্বপূর্ণ সব ওয়ানডে সিরিজ খেলেছি, যেখানে পয়েন্ট খুব জরুরি। দলে পরিবর্তনের কথা খুব একটা ভাবনায় আনা যায়নি। তবে এখানে সুযোগ আছে পরখ করার। কারণ ২০২৩ বিশ্বকাপে তাকিয়ে কিছু ক্রিকেটারকে দেখে নেওয়ার ব্যাপার আছে।”

সেদিন কোচ ও অধিনায়কের কথায় বেশ কিছু পরিবর্তনের আভাস ছিল স্পষ্ট। বিশেষ করে, এবার ঢাকা লিগে রেকর্ড রান করে জাতীয় দলে ফেরা এনামুল হক একাদশে সুযোগ পাবেন বলেই মনে হচ্ছিল।

কিন্তু একদিন পরই বদলে গেল কোচের ভাবনা। গায়ানার টিম হোটেলে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ডমিঙ্গো বললেন, টিম কম্বিনেশন তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। “ব্যাপারটি একটু ট্রিকি (বাইরে থাকাদের সুযোগ দেওয়া)। (এনামুল) বিজয়কে খেলাতে পারলে ভালো লাগবে আমার। তবে তাতে আরেকজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান বেড়ে যাবে। আমাদের এখানে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান প্রয়োজন। তাই ব্যাটিং লাইন আপে খুব বেশি পরিবর্তন সম্ভবত হবে না।”

“সে-ই একমাত্র ব্যাটসম্যান (স্কোয়াডের), যে এখানে ৫০ ওভারের সিরিজে এখনও ম্যাচ খেলেনি। তবে সে ডানহাতি। আমার মতে, আমাদের লাইন আপে দরকার দরকার যতটা বেশি সম্ভব বাঁহাতি রাখা। সেখানে নাড়াচাড়া করার সম্ভাবনা তাই কমই।”

এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড রান করে দলে ফিরলেও ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি এনামুল। তার বদলে আস্থা রাখা হয় নাজমুল হাসান শান্তর ওপর। ক্যারিয়ারের প্রথম ৮ ওয়ানডেতে ৯৩ রান করার পর দল থেকে বাদ পড়েছিলেন শান্ত। এই সিরিজে ফিরে দুই ম্যাচে করেছেন ৩৭ ও ২০।

এনামুলকে না খেলিয়ে শান্তকে খেলানোর কারণ হিসেবে অধিনায়ক তামিম ইকবাল প্রথম ওয়ানডে শেষে বলেছিলেন প্রক্রিয়া অনুসরণের কথা। সেই একই যুক্তি তুলে ধরলেন এবার কোচও।

“বিজয় (এনামুল) অসাধারণ করেছে (ঢাকা লিগে) এবং দলে ফিরে এসেছে। তবে কোচ হিসেবে আমি ন্যায্য কাজ করতে চাই। যে ক্রিকেটার স্কোয়াডে আগে থেকে ছিল, তারই আগে একাদশে সুযোগ পাওয়া উচিত। বাইরে থেকে যে স্কোয়াডে আসবে, তাকে সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে হবে।”

কোচের কথায় পরিষ্কার, শেষ ওয়ানডেতে এনামুলকে খেলানো সম্ভাবনা কম। তেমনি বোলিং কম্বিনেশনেও পরিবর্তন আনা কঠিন বলে মনে করেন কোচ।

প্রথম ওয়ানডেতে তিন পেসার খেলানো হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে তাসকিন আহমেদকে বাইরে রেখে স্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনকে আনা হয় একাদশে। শেষ ম্যাচেও বাড়তি স্পিনারই একাদশে রাখা হবে বলে ইঙ্গিত দিলেন কোচ।

“পিচ কন্ডিশন দাবি করে বাড়তি স্পিনারের। সেখানে আরেকজন পেসারকে সুযোগ দেওয়া কঠিন। কারণ উইকেটে তাদের জন্য কিছু নেই। বাড়তি স্পিনারই তাই হয়তো খেলাতে পারি আমরা।”

“তাসকিন ভীষণরকমের দুর্ভাগা, কারণ কন্ডিশন এরকম। এটা বোঝা মোটেও কঠিন নয়, এই উইকেটে যে পেসাররা কাটার করে এবং ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য বল বাইরে নিয়ে যায়, তারা শ্রেয়তর বিকল্প। তাসকিনের অফ কাটার ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য ভেতরে আসবে। বাঁহাতি পেসারের বল ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য বাইরে যাওয়া এখানে বেশি কার্যকর, এজন্যই আমরা দুজন বাঁহাতি পেসার খেলাচ্ছি।”

কোচের দাবি, একাদশে পরিবর্তন কিছু তিনি আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবতার খাতিরেই তা করা যাচ্ছে না।

“আমরা সবাইকে খেলাতে চাই, এটা বলা যতটা সহজ, করা ততই কঠিন। ভারসাম্য ঠিক রেখে এই কন্ডিশনে খেলার জন্য উপযুক্ত দল গড়তে হবে আমাদের। অনেক পরিবর্তনের কথা ভাবা হলেও তাই হয়তো ততটা সম্ভব হবে না।” সিরিজের শেষ ম্যাচে শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে একাদশে খুব একটা পরিবর্তনের জায়গা দেখেন না ডমিঙ্গো। বিশেষ করে যাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা, সেই এনামুল হকের জন্য এই ম্যাচের দুয়ার একরকম বন্ধ করেই দিলেন কোচ।

প্রথম ওয়ানডেতে তিন পেসার খেলানো হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে তাসকিন আহমেদকে বাইরে রেখে স্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনকে আনা হয় একাদশে। শেষ ম্যাচেও বাড়তি স্পিনারই একাদশে রাখা হবে বলে ইঙ্গিত দিলেন কোচ।

“পিচ কন্ডিশন দাবি করে বাড়তি স্পিনারের। সেখানে আরেকজন পেসারকে সুযোগ দেওয়া কঠিন। কারণ উইকেটে তাদের জন্য কিছু নেই। বাড়তি স্পিনারই তাই হয়তো খেলাতে পারি আমরা।”

“তাসকিন ভীষণরকমের দুর্ভাগা, কারণ কন্ডিশন এরকম। এটা বোঝা মোটেও কঠিন নয়, এই উইকেটে যে পেসাররা কাটার করে এবং ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য বল বাইরে নিয়ে যায়, তারা শ্রেয়তর বিকল্প। তাসকিনের অফ কাটার ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য ভেতরে আসবে। বাঁহাতি পেসারের বল ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য বাইরে যাওয়া এখানে বেশি কার্যকর, এজন্যই আমরা দুজন বাঁহাতি পেসার খেলাচ্ছি।”

কোচের দাবি, একাদশে পরিবর্তন কিছু তিনি আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবতার খাতিরেই তা করা যাচ্ছে না।

“আমরা সবাইকে খেলাতে চাই, এটা বলা যতটা সহজ, করা ততই কঠিন। ভারসাম্য ঠিক রেখে এই কন্ডিশনে খেলার জন্য উপযুক্ত দল গড়তে হবে আমাদের। অনেক পরিবর্তনের কথা ভাবা হলেও তাই হয়তো ততটা সম্ভব হবে না।”

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ