হঠাৎ অবসরের ডাক এলো পিকের

গত কয়েক মৌসুম ধরেই ভালো সময় যাচ্ছে না পিকের। বেশিরভাগ সময়ই তাকে বেঞ্চে পার করতে হয় সময়। তারপরও কোনো গুঞ্জন ছিলো না তার অবসরে যাওয়ার। বৃহস্পতিবার কোনো আগাম বার্তা ছাড়াই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে পোস্ট করেন ২ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের এক ভিডিও। আর সেখানেই জানান অবসরের কথা।
ভিডিওতে ৩৫ বছর বয়সী এ ডিফেন্ডার বলেছেন, 'গত কয়েক সপ্তাহ, মাস ধরে অনেকেই আমাকে নিয়ে কথা বলছেন। এখন পর্যন্ত আমি কিছু বলিনি। তবে এখন আমিই আমাকে নিয়ে বলব। আপনাদের অনেকের মতোই আমিও সব সময়ই বার্সেলোনার ভক্ত ছিলাম, আমার জন্মও একটা ফুটবল পরিবারে। খুব অল্প বয়স থেকেই আমি ফুটবলার নয়, হতে চাইতাম বার্সেলোনার ফুটবলার।'
তিনি আরও বলেন, 'সে বাচ্চাটার কথা কদিন ধরেই ভাবছি। ছোট্ট জেরার্ডকে যদি বলা হতো, তার সব স্বপ্নই পূর্ণ হয়েছে, তাহলে সে কী ভাবত! সে বার্সেলোনার প্রথম একাদশে খেলবে, সম্ভাব্য সব শিরোপা জিতবে। একদিন ইউরোপিয়ান ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে, বিশ্বের সেরাদের সঙ্গে খেলবে। দলের অধিনায়কদের একজন হবে, আজীবনের জন্য বন্ধুত্ব হবে অনেকের সঙ্গে!'
'২৫ বছর হয়ে গেল আমার বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার। আমি চলে গিয়েছিলাম, আবার ফিরে এসেছি। ফুটবল আমাকে সবকিছু দিয়েছে। বার্সেলোনা আমাকে সবকিছু দিয়েছে। আপনারা, সমর্থকেরা, আমাকে সবকিছু দিয়েছেন। এখন যেহেতু সেই বাচ্চাটার সব স্বপ্ন সত্যি হয়েছে, আমি এখন আপনাদের বলতে চাই, এ যাত্রা শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। আমি সব সময়ই বলেছি, বার্সেলোনার পর কোনো দল থাকবে না, তেমনই হবে। এ শনিবার ক্যাম্প ন্যুতে আমার শেষ।'
পিকে বলেন, 'আমি আবার বার্সেলোনার সমর্থক হয়ে যাব। আগের মত ক্লাবটিকে সমর্থন দেব। বার্সেলোনার প্রতি ভালোবাসা আমার সন্তানদের মধ্য দিয়ে যাব। যেমন আমার মা-বাবা করেছিলেন। আপনারা আমাকে জানেন। আজ অথবা কাল আমি ফিরে আসব। আপনাদের সঙ্গে ক্যাম্প ন্যুতে দেখা হবে। বার্সা দীর্ঘজীবী হোক। সব সময়।'
১৯৮৭ সালে পিকে বার্সেলোনায় জন্মগ্রহণ করেন। যখন তার বয়স ১০ বছর, তখনই তিনি যোগ দেন বার্সেলোনা ক্লাবে। সাত বছর থাকার পর ২০০৪ সালে পারি জমান ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডে। তরুণ হওয়ায় সেখানে জায়গা পেতেন না সহজে, তাই বেশির ভাগ সময়ই কাটাতে হত বেঞ্চে। মাঝে এক মৌসুম কাটিয়েছিলেন স্পেনের আরেকটি ক্লাবে। তবে ২০০৮ সালে আবার ফিরে আসেন বার্সেলোনায়। এতে করেই শুরু হয় জীবনের নতুন এক অধ্যায়।
এ পর্যন্ত পিকে কাতালানদের হয়ে ৬১৫টি ম্যাচ খেলেছেন। বার্সার হয়ে তিনি করেছেন ৫২টি গোল। ইউরোপিয়ান কাপের ট্রেবল ছাড়াও, তিনি বার্সেলোনাকে আটটি স্প্যানিশ লিগ শিরোপা এবং সাতটি কোপা দেল রে মুকুট জিততে সাহায্য করেছিলেন। এছাড়া পিকে স্পেনের খেলোয়াড় হিসেবে তার দেশকে ২০১০ বিশ্বকাপ এবং ২০১২ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে সাহায্য করেছিলেন।
কাতালান এ কিংবদন্তি আগামীকাল (শনিবার) লা লিগার ম্যাচে আলমেরিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলতে নামবেন। সেই ম্যাচই হবে বার্সেলোনার জার্সি গায়ে পিকের শেষ পেশাদার ফুটবল ম্যাচ।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের রাজনীতি নতুন মোড়: সেনাপ্রধানের শঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম নেপালের মধ্যকার ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম পার্থ স্কর্চার্সের মধ্যকার ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- জামায়াত, বিএনপি, এনসিপি অনড়, সত্যি হতে চলেছে সেনা প্রধানের ভবিষ্যদ্বাণী
- প্রকৌশল খাতের ৫ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে চার কোম্পানির শেয়ার
- চমক দেখালো ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ার
- রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে তোলপাড়, নীরব বিদায়ের ইঙ্গিত?
- বিক্রেতা সংকট: সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি পেয়ে হল্টেড ৮ কোম্পানি
- বিক্রেতা সংকটে হল্ডেট ৩ কোম্পানি
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট(১৮ আগস্ট ২০২৫)
- ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারে চমক
- চলতি সপ্তাহে ৭ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে
- সাত কোম্পানির শেয়ার বছরের সর্বোচ্চ দামে লেনদেন
- বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ৮ কোম্পানির শেয়ার