ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২

জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটারদের দায়িত্বে প্রশ্নবিদ্ধ বিসিবির আচরণ, আর কতকাল চলবে এসব অনিয়ম

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ নভেম্বর ১৬ ২০:২৫:০৪
জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটারদের দায়িত্বে প্রশ্নবিদ্ধ বিসিবির আচরণ, আর কতকাল চলবে এসব অনিয়ম

দেশের ক্রিকেটের নামকরা দুই কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম এবং মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বরাবরই বলে এসেছেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ক্রিকেটারদের দিকে বিশেষ নজর রাখা উচিত বিসিবির। কারণ সেই সময় বিসিবিকে সবচেয়ে প্রয়োজন হয় ক্রিকেটারদের। সঠিকভাবে ঘষামাজ করা হলে সেই বাদ পড়া ক্রিকেটাররাই ফেরে আরও দুর্দান্ত ভাবে। তবে নিজেদের দায়িত্বের প্রতি যত অনীহা বিসিবির।

মাসখানেক আগেও বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় থাকা সাব্বির রহমান কিনা সুযোগই পেলেন না বিসিএল খেলার। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ মনে করা সাইফুদ্দিনও খেলছেন না টুর্নামেন্টে। অথচ বিসিএলে দল গুলো তত্ত্বাবধানে থাকে খোদ বিসিবি। অর্থাৎ বিসিবির পক্ষ থেকেই এই দুই ক্রিকেটারকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে তেমন কোনো আগ্রহ দেখানো হয়নি। দিনশেষে লিগগুলো তো ক্রিকেটারদের তৈরি করে রাখার একটি মঞ্চ।

সেই মঞ্চেই যদি দেশের শীর্ষ সারির ক্রিকেটাররা সুযোগ না পেয়ে থাকে তাহলে তারা জাতীয় দলে খেলে কিভাবে? জাতীয় দলে দিন কয়েক আগেও খেলেছেন এই দুই ক্রিকেটার অর্থাৎ তারা নির্বাচকদের রাডারে রয়েছে। তাহলে কোন যুক্তিতে তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটার একটি আসরে সুযোগ দেওয়া হলো না? বিশ্বের অন্য কোনো দেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটে কিনা তা বলা মুশকিল।

তবে বিসিবি নিয়মিতই গণমাধ্যম কর্মী এবং দর্শকদের নানাভাবে নিজেদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড দিয়ে চমকে দিয়ে থাকে। এবারও তাই করল দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। আমাদের জাতীয় দল অন্যান্য বড় দল গুলোর মতো কেন পারফর্ম করতে পারেনা এই প্রশ্নটি সবাই করে থাকেন? বিসিবির কর্মকাণ্ডের দিকে একটু চোখ বুলালেই হয়তো উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে।

যে দেশে জাতীয় দলে সার্ভিস দিতে পারে এমন ক্রিকেটারদেরই ঘষামাজা করা হয় না সেই দেশ থেকে নতুন ক্রিকেটার বের হওয়াটাই তো অস্বাভাবিক। প্রায় ফুরিয়ে যাওয়া নাসির হোসেন ও সুযোগ পেয়েছে বিসিএলে। কিন্তু সুযোগ পাননি ভবিষ্যতের সার্ভিস দেওয়ার সম্ভাবনা রাখা দুই ক্রিকেটার সাব্বির রহমান এবং সাইফুদ্দিন। এখানেই পরিষ্কার বিসিবির পরিকল্পনা হীনতার নমুনা।

এভাবে ঘরোয়া লীগে অবহেলিত হতে থাকলে কোনো ক্রিকেটারের পক্ষেই জাতীয় দলে পারফর্ম করা সম্ভব নয়। বিগত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৭ নম্বর পজিশনে ব্যাট করে অষ্টম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাম ছিলেন সাব্বির। তার দল না পাওয়াটা সত্যিই হতাশা জনক। এছাড়া সাইফুদ্দিন ও ইনজুরির আগে বেশ ভালো ছন্দেই ছিলেন।

ইনজুরির পরে কিছুটা ছন্দপতন হলেও বিসিএল হতে পারতো তার ফিরে আসার মঞ্চ। তবে এখন দুই ক্রিকেটারেরই মাঠের বাইরে অবসর সময় কাটাতে হবে। কাটাতে হবে নিজেকে প্রমাণের আরও একটি সুযোগের অপেক্ষায়। পাবেন কিনা তা বোধ হয় তারা নিজেরাও জানেন না?

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ