ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২

মাশরাফিদের বিপক্ষে ফাইনাল জেতার জন্য অভিনব কৌশলের কথা জানালেন ইমরুল কায়েস

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৩ ফেব্রুয়ারি ১৫ ১৯:১৮:০২
মাশরাফিদের বিপক্ষে ফাইনাল জেতার জন্য অভিনব কৌশলের কথা জানালেন ইমরুল কায়েস

ক্রিকেটের মাঠে প্রতিপক্ষকে হারাতে ব্যাটে-বলের সঙ্গে ক্রিকেটারদের লড়াই করতে হয়ে মানসিকভাবেও। বিশেষ করে ফাইনালের মত বড় ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে চাপ সামলানোর দক্ষতা। তাইতো বিপিএলের ফাইনালে মাইন্ড গেমের দিকে চোখ কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক মনে করেন, মাঠে যারা যত বেশি শান্ত থাকতে পারবে তাদেরই পক্ষেই ফলাফল হেলে যাবে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সবশেষ তিন আসরের দুটিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এর আগে ২০১৫ সালেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আরও একবার শিরোপার খুব কাছে তারা। ১৬ ফেব্রুয়ারি সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে কুমিল্লা। বিপিএলের এবারের আসরে সিলেটের বিপক্ষে নিজেদের তিন দেখায় শেষ দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে ইমরুলের দল। আগে বোলিং করলে ইমরুলের লক্ষ্য সিলেটকে ৫০ রানে অল আউট করা এবং আগে ব্যাটিং করলে দুইশর চেয়ে বেশি রান করা। যদিও চাওয়ার মাঝেই আটকে থাকতে চান না তিনি। বরং চাপ সামলে মাঠে প্রয়োগ করাতেই মনোযোগ তার।

এ প্রসঙ্গে ইমরুল বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি তো চাইবো যদি ওদেরকে ৫০ রানে অল আউট করতে পারি ভালো। যদি ব্যাটিং দল হই আমি তো চাইবো দুইশর বেশি রান করতে চাইবো। এটা তো আসলে চাওয়াতেই সব কিছু হবে না। কালকের খেলাটা পুরোটাই আসলে মাইন্ড গেম।’

‘হাইভোল্টেজ খেলাগুলো আসলে যে যত বেশি নার্ভ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, যে যত বেশি নিজেকে কাম রাখতে পারবে আমার মনে হয় তাদের দল তত বেশি ভালো হবে। কারণ আপনি দুইশ রান করেও জিতবেন এমন গ্যারান্টি নেই। সবশেষ ফাইনালে কিন্তু আমরা অলমোস্ট ১৮ ওভার পর্যন্ত আমরা হেরেছিলাম। ২ ওভারে আমরা খেলা জিতে গেছি। এটা ডিফরেন্ট বল গেম। মাঠে যত বেশি কাম থাকা যায়।’

এদিকে বিপিএলের এবারের আসরে তিনবারের দেখায় দুবার আগে বোলিং করেছে কুমিল্লা। সেই দুটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে তারা। অনুমেয়ভাবেন ফাইনালেও আগে বোলিং করতে চাইবে দলটি। যদিও এসব নিয়ে ভাবছেন না ইমরুল। কুমিল্লার অধিনায়ক মনে করেন, আগে বোলিং বা ব্যাটিং করা ম্যাটার করে না।

ইমরুল বলেন, ‘দেখুন, আমাদের দল তো সেটআপ হয়ে গেছে। আগে ব্যাটিং করি বা পরে ব্যাটিং করি এটা নিয়ে আমাদের ম্যাটার করে না। কারণ আমরা কাকে কখন বোলিং করাবো এটা ম্যাটার করে। শিশির থাকলে শুরুতে যে বোলিং করবে বা শেষে যে ফিল্ডিং করবে... এই জিনিসটা আসলে পুরোটা আমাদের ওপর নির্ভর করে। দুই দলেরই বোলিং শক্তিশালী আমি মনে করি। দুই দলের বোলিং শক্তিশালী না হলে তো ফাইনাল খেলতে পারতো না। এই সিদ্ধান্তটা আসলে মাঠেই হয়। এখানে বলা কঠিন।’

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ