ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২

ধবল ধেলাই থেকে বাঁচতে ইংল্যান্ডকে লড়াকু টার্গেট দিল বাংলাদেশ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৩ মার্চ ০৬ ১৫:৩৪:৩১
ধবল ধেলাই থেকে বাঁচতে ইংল্যান্ডকে লড়াকু টার্গেট দিল বাংলাদেশ

টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ৪৮.৫ ওভার শেষেসব কয়টি উইকেট হারিয়ে২৪৬ রান স্কোর বোর্ডে জমা করে বাংলাদেশ। ফলে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ২৪৭ রান।

বাংলাদেশের ইনিংস বিবরণ:

আগের ম্যাচে আউট হয়েছিলেন প্রথম বলেই। এবার ৩ বল খেলে লিটন দাস ফিরলেন শূন্যতেই। ক্যারিয়ারে প্রথমবার টানা দুই ইনিংসে কোনো রান না করেই আউট হলেন লিটন। তিন ম্যাচ সিরিজটা লিটনের গেল ভুলে যাওয়ার মতোই—৭, ০ ও ০। স্যাম কারেনের অফ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে এবার ফিরেছেন লিটন। প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

৪, ৫, ৪—কারেনের ওভারটা শুরু হয়েছিল এভাবে। নাজমুল হোসেন মেরেছিলেন দুই চার, মাঝে ওভারথ্রোয়ে এসেছিল ৫ রান। তবে সে ওভারের শেষে তামিম ইকবালকে ফেরালেন কারেন। প্যাডের ওপর থেকে ফ্লিক করতে গিয়ে লিডিং-এজড হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, পয়েন্টে সহজ ক্যাচ গেছে জেমস ভিন্সের কাছে। শুরুতেই আরেকবার এলোমেলো বাংলাদেশের ব্যাটিং, ৩ ওভারের মধ্যেই নেই দুই ওপেনার। দুজনই কারেনের শিকার।

জুটিটা জমেছিল বেশ। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেওয়ার পরের ওভারেই আউট হয়ে গেছেন নাজমুল। রান আউট হওয়ার আগে ৭১ বলে ৫৩ রান করে যান তিনি।

লেগ সাইডে খেলেছিলেন নাজমুল, মুশফিকের ডাকে সাড়া দিতে দেরি করে ফেলেন। শেষ মুহূর্তে ডাইভ দিয়েও নিজেকে বাঁচাতে পারেননি, বাটলারের থ্রো তার আগেই পৌঁছে গেছে বোলার রেহানের কাছে।

আগের বলটি অফ স্টাম্প লাইনে পড়ে ঘুরেছিল বেশ, লেগ স্পিনিং ডেলিভারিটি জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে নাগাল পাননি মুশফিক। পরের বলটি পড়ল কাছাকাছি লাইনে, এবার ঢুকল ভেতরের দিকে। সুইপের চেষ্টায় ব্যর্থ মুশফিক, আদিল রশিদের গুগলিতে হলেন বোল্ড। থিতু হয়েছিলেন, সেঞ্চুরিটাও নাগালের মধ্যে ছিল। তবে মুশফিককে থামতে হলো ৯৩ বলে ৭০ রান করেই।

এ ওভারেই ডাউন দা গ্রাউন্ডে এসে ছক্কা মেরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ, তবে ফিরলেন এর পরপরই। বড় লেগ স্পিনিং ডেলিভারির পর সোজা করেছিলেন রশিদ, মাহমুদউল্লাহ মিস করে গেছেন সেটি। মুশফিকের পর মাহমুদউল্লাহকেও বোল্ড করলেন রশিদ, ৯ বলে ৮ রান করেই থামলেন মাহমুদউল্লাহ।

ক্রিস ওকসের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন, তবে কাভারে মঈন আলীর হাতে ধরা পড়লেন আফিফ। সাকিবের সঙ্গে তাঁর জুটি থামলো ৪৯ রানেই। ৯.৫ ওভার, ৬২ রান, ০ উইকেট। শেষ বলের আগে রেহান আহমেদের ফিগার ছিল এমন। ১০ ওভার শেষে সেটিই হয়ে গেল ১০-০-৬২-১। তাঁর শেষ বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বেশ বড়সড় গুগলিতে ধরা পড়েছেন মিরাজ। আগের বলটিও গুগলি ছিল, তবে ব্যাটের ফেস ওপেন করে ভালো একটা শটে চার পেয়েছিলেন মিরাজ। আর্চারের ধীরগতির বাউন্সারে খাড়া ওপরে তুললেন তাইজুল।

টেনে মেরেছিলেন, লং অনের ফিল্ডার ছিলেন বেশ ওয়াইডে। সেখান থেকেই ছুটে এসে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নিলেন জেসন রয়, জফরা আর্চারের বলে সাকিবকে থামতে হলো ৭৫ রানেই। ৭১ বলের ইনিংসে সাকিব মেরেছেন ৭টি চার।

তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের একাদশ:

তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন, তাইজুল ইসলাম।

একাদশ: 1 জেসন রয়, 2 ফিল সল্ট, 3 ডেভিড মালান, 4 জেমস ভিন্স, 5 স্যাম কুরান, 6 জস বাটলার (ক্যাপ্টেন/উইকেটকিপার), 7 মঈন আলী, 8 ক্রিস ওকস, 9 রেহান আহমেদ, 10 আদিল রশিদ, 11 জোফরা আর্চার।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ