আর যত দিন বিসিবির সভাপতি থাকছেন পাপন
২০১২ সালে মোস্তফা কামাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার পর থেকে নাজমুল হাসান পাপন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তবে, বিসিবির সভাপতি ছাড়াও তিনি এছাড়াও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের একজন সংসদ সদস্য। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী পাপন নতুন মন্ত্রী পদ পাবেন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেন রাষ্ট্রপতি। তারই অংশ হিসেবে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যে ২৫ জন সংসদ সদস্যকে মন্ত্রিসভায় শপথ গ্রহণের জন্য ফোন দেয়া হয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছেন পাপন। অর্থাৎ বড় একটি দায়িত্বই পাচ্ছেন তিনি। এখন প্রশ্ন আসছে মন্ত্রী হওয়ার পর তিনি বিসিবির দায়িত্বেও থাকবেন কি না?
অবশ্য মন্ত্রিত্ব পেলেও বিসিবির দায়িত্বে থাকতে বাধা নেই তার। মন্ত্রিত্বের সঙ্গে বোর্ড সভাপতি থাকার বিষয়টি সাংঘর্ষিক নয়। ক্রিকেট বোর্ডে তিনি চার বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি পদে মেয়াদ রয়েছে তার।
ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রীড়া আইনে মন্ত্রিত্ব পেলে কোনো ফেডারেশনের সভাপতিত্ব করা যাবে না— এমন কোনো নিয়ম নেই। ২০১৩ সাল থেকে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হচ্ছে। এর আগে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সরকার কর্তৃক মনোনীত ছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারের অনেক মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে ১৯৯৬ সালের ৪ জুলাই থেকে ২০০১ সালের ১৮ আগস্ট পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। সে সময় সংসদ সদস্য থাকা সাবের সাড়ে তিন বছর নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবেও ছিলেন।
নিয়ম না থাকার পরেও মন্ত্রিত্ব পেতে যাওয়া পাপন কি বিসিবির দায়িত্বে বহাল থাকবেন এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনে। উত্তরটা অনেকের কাছে না হতে পারে। বর্তমানে ক্রিকেটে জনসম্পৃক্ততা এবং আন্তর্জাতিক ব্যাপ্তি অনেক বেশি। তাই মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ক্রিকেট বোর্ডও সামলানোটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে পাপনের জন্য। দুটি বড় দায়িত্ব সামলানো কঠিন বিধায় তিনি বিসিবি সভাপতি থেকে পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা ক্রীড়াঙ্গনের সাথে যুক্তদের।
মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর পাপন বিসিবি সভাপতির পদ ছাড়লে কে পাবেন দায়িত্ব? এই প্রশ্নে অনেকেই হয়তো সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা কিংবা সাকিব আল হাসানের কথা ভাবছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তাদের বিসিবির সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আবারও এক লাফে কমলো সোনার দাম
- ব্যাপক হারে কমলো সোনার দাম, স্বর্ণের বাজার চাঙ্গা
- রেকর্ড নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করলো ওয়ালটন
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: ডিএলএস পদ্ধতিতে শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে দুই ব্রোকারেজ হাউসের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল করল ডিএসই
- স্বর্ণের দাম আজকের বাজার ২০২৫
- ১৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- আজ নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা, ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি কত করে
- মুনাফায় রেকর্ড: লভ্যাংশ ঘোষণা করলো বাটা শু
- আজ আবারো কমলো সোনার দাম, ভরিতে ১০,৪৭৪ টাকা কমালো বাজুস
- বোনাস ও নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা মনোস্পুল বাংলাদেশের
- ইজেনারেশনের লভ্যাংশ ঘোষণা
- নবম পে স্কেল: কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মূল বেতন ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি!
- নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করলো এসিআই ফর্মুলেশনস
- 'জেড' ক্যাটাগরিরতে স্থানান্তার দুই কোম্পানির শেয়ার