ঢাকা, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

এক ফোনকলে ভাগ্য খুললো রানার

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ০৫ ১৫:২০:৫০
এক ফোনকলে ভাগ্য খুললো রানার

বিপিএল দিয়েই ক্রিকেট ভক্তদের নজরে আসেন মেহেদী হাসান রানা। ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে দ্যুতি ছড়ানো এই পেস বোলার পরবর্তী সময়ে ইনজুরির কারণে আড়ালে চলে গিয়েছিলেন। শেষ দুই বছরে জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) খেলতে না পারলেও, সদ্য সমাপ্ত আসরের শেষ পর্যায়ে ফের খেলার সুযোগ পান রানা।

চট্টগ্রাম বিভাগে না খেলে খুলনা বিভাগের হয়ে খেলার সুযোগ পেলেও, এটি ছিল তার জন্য এক নতুন দিক। রংপুরের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের প্রথম ইনিংসে একাই ৭ উইকেট নেন রানা। এরপর শেষ দিনের দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ৪ উইকেট তুলে নিয়ে দুই ম্যাচে মোট ১৯ উইকেট দখল করেন, যা এক অতিমানবীয় কৃতিত্ব।

ঢাকা পোস্টের সঙ্গে এক আলাপকালে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে রানা বলেন, "যদি ম্যাচটা জিততে পারতাম, তবে আরও ভালো লাগতো। তবে ব্যক্তিগত দিক থেকে এটা আমার জন্য একটি বড় প্রাপ্তি।"

চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে দীর্ঘ দশ বছর খেলার পর খুলনা বিভাগের হয়ে খেলতে শুরু করার কারণ প্রসঙ্গে রানা বলেন, "চট্টগ্রাম বিভাগের পেস বোলারদের মধ্যে নতুন কিছু ভালো পেসার এসেছে, আর সেখানে তিনজন পেসার খুব ভালো। গত দুই বছর আমি ইনজুরির কারণে খেলতে পারিনি। চট্টগ্রাম ডিভিশন গত বছর টায়ার ওয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, তবে সেখানে আমি সুযোগ পাইনি। যখন খুলনার মিঠুন ভাই আমাকে ফোন দিলেন, তখন আমাকে খেলার প্রস্তাব দেন। ছাড়পত্র নিয়ে খুলনায় চলে আসি, এবং প্রথম ম্যাচেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ।"

খুলনার ড্রেসিংরুমে মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হয়েছিল কিনা, জানতে চাইলে রানা বলেন, "একজন ক্রিকেটার হিসেবে সব জায়গায় মানিয়ে নিতে হয়। এখানে এসে ভালো লাগছে, সবাই পরিচিত, তাই কোনো সমস্যা হয়নি।"

মেহেদী হাসান রানার এই সাফল্য তার জন্য একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেছে, এবং এটি তার ভবিষ্যতের জন্যও এক দারুণ সুযোগের আভাস হতে পারে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ