ঢাকা, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ সোনার দোকান

অর্থনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ২৯ ০১:৩২:০৭
সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ সোনার দোকান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলায় গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিস্ফোরিত হয়েছে ক্ষোভের স্ফুলিঙ্গ। প্রতিবাদস্বরূপ বাজুস ঘোষণা করেছে—সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে সব জুয়েলারি দোকান।

বুধবার (২৮ মে) রাতে বাজুসের পক্ষ থেকে জারি হওয়া এক জরুরি বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তাতে বলা হয়, রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী স্বর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র তাঁতীবাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রিপনুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন,

“সহ-সভাপতি রিপনুল হাসানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি শুধু একজন ব্যবসায়ীর ব্যক্তিগত অপমান নয়, বরং গোটা স্বর্ণ ব্যবসা খাতের ওপর সরাসরি আঘাত।”

তারা আরও জানান,

“তার নিঃশর্ত মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশের সব জুয়েলারি দোকান বন্ধ থাকবে। এই অবস্থান থেকে আমরা একচুলও নড়ব না।”

এই ঘোষণা যেন দেশের স্বর্ণবাজারে বাজ ফেলেছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর ফলে সোনার বাজারে দেখা দিতে পারে চরম অস্থিরতা। নতুন সোনা কেনাবেচা বন্ধ, অর্ডার স্থগিত এবং গ্রাহকদের আস্থাহীনতা—সবকিছু মিলিয়ে সংকট ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রিপনুল হাসান একজন পরিচ্ছন্ন ও জনপ্রিয় সংগঠক। তাঁকে হয়রানি করা হলে শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, ধস নামবে গোটা শিল্পেই।

বর্তমানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি। তবে বাজুসের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে—গ্রেপ্তারকৃত সহ-সভাপতির মুক্তি ছাড়া জুয়েলারি দোকান খুলবে না, আর এই আন্দোলন থামবে না।

এ যেন সোনার ঝলকে আগুনের আঁচ।

সামনের দিনগুলোতে কী ঘটবে, তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু আপাতত বাংলাদেশের জুয়েলারি খাত যেন শূন্যে ঝুলে থাকা এক বন্ধ ঘড়ির কাঁটা—যার চলা শুরু হবে কেবল একটাই শর্তে: রিপনুল হাসানের নিঃশর্ত মুক্তি।

আল-আমিন ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ