দুই খাতের চাপে বাজারের বড় উত্থানে বাধা

ব্যাংক ও ইন্স্যুরেন্সের ‘নিরাশা’তে হারিয়ে গেল ‘আশার আলো’
নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা ছয় কার্যদিবসের দরপতনের পর অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকার শেয়ারবাজারে সূচকের ঘুরে দাঁড়ানোর একটা স্বস্তির ইঙ্গিত মিলেছিল। দিনের শুরুটা ছিল অস্বস্তির, ডিএসইএক্স সূচক ২৭ পয়েন্ট নিচে নেমে লেনদেন শুরু করে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের আশা আবারও জাগে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে—সাড়ে ১২টার দিকে সূচক ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রায় ৪৭ পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়ে যায়।
কিন্তু সেই আশার আলো বেশি দূর এগোতে পারেনি। বাজারের চাকা গড়াতে গড়াতে হোঁচট খেয়েছে দুই পুরনো যাত্রী—ব্যাংক ও ইন্স্যুরেন্স খাতের দুর্বল পারফরম্যান্সে। সূচকের সম্ভাব্য বড় উত্থানকে থামিয়ে দিয়েছে এ দুই খাতের হতাশাজনক ভূমিকা।
ডিএসইর তথ্য বলছে, আজ ব্যাংক খাতে ২৫.৭১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও ৪২.৮৬ শতাংশ কোম্পানির দর কমেছে। ইন্স্যুরেন্স খাতের চিত্র তো আরও বিষণ্ন—মাত্র ২৪.৩৯ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে, অথচ ৫৮.৫৪ শতাংশ কোম্পানির দর নেমে গেছে নিচে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীরা এখন আর শুধু প্রাইজ মুভমেন্ট নয়, কোম্পানির মৌলভিত্তি, আয় ও ডিভিডেন্ডের দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। ব্যাংক ও ইন্স্যুরেন্স খাতের বেশ কিছু কোম্পানি এবার প্রত্যাশার চেয়ে কম ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বিশেষ করে ব্যাংক খাতে এক ধরনের ‘ডিভিডেন্ড শক’ এসেছে। এই হতাশায় অনেকেই ওই খাতের শেয়ার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, যার ফলশ্রুতিতে বেড়েছে বিক্রির চাপ।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেসব বড় মূলধনী কোম্পানির পারফরম্যান্স ভালো, তাদের সক্রিয়তায় সূচক খানিকটা বাড়লেও ব্যাংক ও ইন্স্যুরেন্স খাতের নেতিবাচক প্রবণতা পুরো বাজারকে টেনে ধরেছে।
এই দুই খাতের দুর্বলতায় শুধু সূচকের গতি কমেনি, বরং বিনিয়োগকারীদের মনোবলেও পড়েছে ছায়া। এক ব্রোকারহাউস কর্মকর্তা বললেন, “বাজারের ভিত্তি মজবুত করতে হলে প্রধান খাতগুলোতে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। না হলে বাজার বারবারই এমনভাবে থমকে যাবে।”
ছয় দিনের পতনের পর যে সামান্য আশার আলো দেখা দিয়েছিল, তা আজকের বিকেলে এসে আবার ম্লান হয়ে গেল। যতক্ষণ না ব্যাংক ও ইন্স্যুরেন্স খাত আত্মবিশ্বাস নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে, ততক্ষণ শেয়ারবাজারের এই দোদুল্যমানতা থেকে মুক্তি পাওয়াটা কঠিন বলেই মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা।
বাজারের ঘুরে দাঁড়ানোর এই লড়াই তাই এখন মূলত মনোবলের—নগদ ডিভিডেন্ড আর বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে একটানা ছুটতে চায় সূচক। তবে পথটা সহজ হবে না, যতদিন না ব্যাংক ও ইন্স্যুরেন্স খাত ফিরে পায় হারিয়ে ফেলা আস্থা।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- নকল অ্যাপ, ভুয়া ব্রোকারেজ: শেয়ারবাজারের বড় প্রতারণা উন্মোচন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা: ৩,০০০ সদস্যের প্রতারক চক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬৪% ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ: কখন, কোথায় ও কিভাবে লাইভ দেখবেন
- শেয়ারবাজারে আলোড়ন: ৯ স্টকে বাই সিগন্যাল, নতুন সুযোগ?
- সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর: নতুন পে-স্কেল, কার কত বেতন বাড়বে
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করলো ৮ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে নতুন মোড়: ফিরছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা!
- বিনিয়োগকারীদের চিন্তা দুর করলো ৯ কোম্পানির শেয়ার
- ২,৩০০ কোটি টাকার বন্ডে শেয়ারবাজারে আলোড়ন: বিএসইসি'র অনুমোদন
- পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- উদ্যোক্তা পরিচালকের ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার বিক্রি: বিনিয়োগকারীদের আস্থা কি ঝুঁকিতে?
- আগামীকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে ৪ পরিবর্তন
- ইন্টার মায়ামি বনাম শিকাগো ফায়ার: শেষ ৮ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচ
- রেকর্ড চাহিদা: বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ২৪ কোম্পানির শেয়ার