সাত কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের বড় ধরনের লোকসান

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের শেয়ারবাজারে চলমান দরপতনের ধারাবাহিকতায় বিনিয়োগকারীরা উল্লেখযোগ্য আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বাজার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গত এক মাসে সাতটি কোম্পানির শেয়ারে ১৮ শতাংশ থেকে ২৩.৮৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যহ্রাস হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করেছে।
দরপতনের চিত্র
নাম প্রকাশিত সাতটি কোম্পানির মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে উত্তরা ফাইন্যান্সে, যেখানে এক মাসে শেয়ারের মূল্য কমেছে ২৩.৮৫ শতাংশ। এই পরিমাণ মূল্যহ্রাস প্রতিষ্ঠানটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থায় বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে:
দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স: ১৯.৫৩% দরপতন
বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট: ১৮.৮৭%
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক: ১৮.৬৯%
এনআরবিসি ব্যাংক: ১৮.৬৭%
ব্যাংক এশিয়া: ১৮.৪৮%
ইসলামী ফাইন্যান্স: ১৭.৭৮%
এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, পতনের প্রভাব শুধুমাত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও লিজিং কোম্পানিগুলিতে সীমাবদ্ধ না থেকে ব্যাংকিং খাতেও বিস্তৃত হয়েছে, যা বাজারের সামগ্রিক ভারসাম্যের জন্য উদ্বেগজনক।
বিনিয়োগকারীদের প্রতিক্রিয়া ও প্রভাব
ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ মূলধনের উল্লেখযোগ্য অংশ হারিয়েছেন। অনেকে এখন নতুন করে বিনিয়োগে অনাগ্রহী, যা বাজারে তারল্য সংকট ও ট্রেডিং ভলিউমে নিম্নগতি সৃষ্টি করছে।
এছাড়া, বাজারের এই অব্যাহত দুর্বলতা আর্থিক খাতের ওপর আস্থা সংকট তৈরি করছে, যার প্রভাব ভবিষ্যতের নতুন ইক্যুইটি ও বন্ড ইস্যুর ক্ষেত্রেও নেতিবাচক হতে পারে।
নীতিনির্ধারকদের জন্য করণীয়
বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সমন্বিত নীতিগত পদক্ষেপ জরুরি। শেয়ারের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে বাজারে প্রণোদনা, স্বচ্ছ তথ্যপ্রকাশ, কোম্পানি পারফরম্যান্স যাচাই এবং নিরপেক্ষ তদারকি কাঠামো প্রয়োজন।
বিশেষভাবে, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য নীতিগত স্থিতিশীলতা, রেগুলেটরি স্বচ্ছতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
একটি সুস্থ পুঁজিবাজার নিশ্চিত করতে হলে বাজার-ভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গঠনে গুরুত্ব দিতে হবে। সাতটি প্রতিষ্ঠানে নজরকাড়া এই মূল্যপতন স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, সময়মতো কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ক্ষতির মাত্রা আরও বিস্তৃত হতে পারে।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬৪% ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ার দর বৃদ্ধি: ডিএসইর কড়া সতর্কবার্তা জারি
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা: ৩,০০০ সদস্যের প্রতারক চক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
- শেয়ার কারসাজি: বিএসইসি’র কড়া তদন্তের নির্দেশ, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক
- শেয়ারবাজারে আলোড়ন: ৯ স্টকে বাই সিগন্যাল, নতুন সুযোগ?
- ২,৩০০ কোটি টাকার বন্ডে শেয়ারবাজারে আলোড়ন: বিএসইসি'র অনুমোদন
- বিনিয়োগকারীদের চিন্তা দুর করলো ৯ কোম্পানির শেয়ার
- দুই কোম্পানির ডিভিডেন্ডে হতাশ বিনিয়োগকারীরা
- এইচএসসি রেজাল্ট ২০২৫: ফল নিয়ে যা জানা গেল
- শেয়ারবাজারে আতঙ্ক! ১৪ প্রতিষ্ঠানের রদবদলে অন্ধকারে বিনিয়োগকারীরা
- রেকর্ড চাহিদা: বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ২৪ কোম্পানির শেয়ার
- পুঁজি সংগ্রহে ব্যর্থ শেয়ারবাজার: দায়ী কারা? ফাঁস করলেন বিশেষজ্ঞরা
- সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা নিয়মে যুগান্তকারী পরিবর্তন
- ইন্টার মায়ামি বনাম শিকাগো ফায়ার: শেষ ৮ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচ
- সরকারি বেতন কাঠামো ২০২৫ নিয়ে আসলো নতুন সিদ্ধান্ত