ঢাকা, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

সাত কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের বড় ধরনের লোকসান

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ২১ ১৪:৫৫:১১
সাত কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের বড় ধরনের লোকসান

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের শেয়ারবাজারে চলমান দরপতনের ধারাবাহিকতায় বিনিয়োগকারীরা উল্লেখযোগ্য আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বাজার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গত এক মাসে সাতটি কোম্পানির শেয়ারে ১৮ শতাংশ থেকে ২৩.৮৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যহ্রাস হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করেছে।

দরপতনের চিত্র

নাম প্রকাশিত সাতটি কোম্পানির মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে উত্তরা ফাইন্যান্সে, যেখানে এক মাসে শেয়ারের মূল্য কমেছে ২৩.৮৫ শতাংশ। এই পরিমাণ মূল্যহ্রাস প্রতিষ্ঠানটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থায় বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে:

দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স: ১৯.৫৩% দরপতন

বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট: ১৮.৮৭%

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক: ১৮.৬৯%

এনআরবিসি ব্যাংক: ১৮.৬৭%

ব্যাংক এশিয়া: ১৮.৪৮%

ইসলামী ফাইন্যান্স: ১৭.৭৮%

এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, পতনের প্রভাব শুধুমাত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও লিজিং কোম্পানিগুলিতে সীমাবদ্ধ না থেকে ব্যাংকিং খাতেও বিস্তৃত হয়েছে, যা বাজারের সামগ্রিক ভারসাম্যের জন্য উদ্বেগজনক।

বিনিয়োগকারীদের প্রতিক্রিয়া ও প্রভাব

ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ মূলধনের উল্লেখযোগ্য অংশ হারিয়েছেন। অনেকে এখন নতুন করে বিনিয়োগে অনাগ্রহী, যা বাজারে তারল্য সংকট ও ট্রেডিং ভলিউমে নিম্নগতি সৃষ্টি করছে।

এছাড়া, বাজারের এই অব্যাহত দুর্বলতা আর্থিক খাতের ওপর আস্থা সংকট তৈরি করছে, যার প্রভাব ভবিষ্যতের নতুন ইক্যুইটি ও বন্ড ইস্যুর ক্ষেত্রেও নেতিবাচক হতে পারে।

নীতিনির্ধারকদের জন্য করণীয়

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সমন্বিত নীতিগত পদক্ষেপ জরুরি। শেয়ারের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে বাজারে প্রণোদনা, স্বচ্ছ তথ্যপ্রকাশ, কোম্পানি পারফরম্যান্স যাচাই এবং নিরপেক্ষ তদারকি কাঠামো প্রয়োজন।

বিশেষভাবে, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য নীতিগত স্থিতিশীলতা, রেগুলেটরি স্বচ্ছতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

একটি সুস্থ পুঁজিবাজার নিশ্চিত করতে হলে বাজার-ভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গঠনে গুরুত্ব দিতে হবে। সাতটি প্রতিষ্ঠানে নজরকাড়া এই মূল্যপতন স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, সময়মতো কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ক্ষতির মাত্রা আরও বিস্তৃত হতে পারে।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

দাবি না মানলে রবিবার ‘ঢাকা ব্লকেড’

দাবি না মানলে রবিবার ‘ঢাকা ব্লকেড’

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্দোলন এখন আর শুধু ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীদের একক প্রতিবাদ নয়। এটি পরিণত হয়েছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর... বিস্তারিত