ঢাকা, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নজরে পাঁচ কোম্পানি

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ২৫ ১৭:৩৩:৫৬
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নজরে পাঁচ কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৫ সালের মে মাসে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি কোম্পানির শেয়ারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা চোখে পড়ার মতোভাবে বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে: সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, রেনেটা এবং সোনারগাঁও টেক্সটাইল। তথ্য অনুযায়ী, এই কোম্পানিগুলোর শেয়ার মালিকানা কাঠামোতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশ বেড়েছে, যা বাজারে আস্থা ও আগ্রহ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।

সিটি ব্যাংক

মে মাসে বিদেশি বিনিয়োগের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন দেখা গেছে সিটি ব্যাংকে। এপ্রিল শেষে যেখানে বিদেশিদের শেয়ার মালিকানা ছিল ৫.৭৭ শতাংশ, মে শেষে তা বেড়ে ৬.৭১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ সময় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও সক্রিয় ছিলেন; তারা ২.৫৭ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন, ফলে তাদের মালিকানা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২.৯৩ শতাংশে। বিপরীতে, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৩.৫১ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন।

ব্র্যাক ব্যাংক

ব্র্যাক ব্যাংকে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ১.০১ শতাংশ, যা এপ্রিলের ৩১.৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে মে শেষে ৩২.৫২ শতাংশ হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিক্রির প্রবণতা দেখা গেছে; যথাক্রমে ০.৭২ এবং ০.২৯ শতাংশ কমেছে তাদের মালিকানা।

প্রাইম ব্যাংক

প্রাইম ব্যাংকে বিদেশি বিনিয়োগের হার ৪.৮৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫.১২ শতাংশ হয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা উল্লেখযোগ্যভাবে সক্রিয় ছিলেন—তারা ১.৮০ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন। অন্যদিকে, উদ্যোক্তা পরিচালকদের মালিকানা ২ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩৮.৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

রেনেটা

রেনেটা লিমিটেডে বিদেশি বিনিয়োগ ০.১৭ শতাংশ বেড়ে ২০.০৪ শতাংশ হয়েছে। একই সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশ ২১.৭৭ শতাংশে উন্নীত হয়। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিক্রির প্রবণতা ছিল ০.৪৫ শতাংশ।

সোনারগাঁও টেক্সটাইল

এই কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ এখনো তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও মে মাসে ০.১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে তা ০.২৯ শতাংশে পৌঁছেছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশ ৭.৫৩ শতাংশ বেড়ে ১১.১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যেখানে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৭.৬৮ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, মে মাসে বিদেশি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে, যা বাজারের স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকে নির্দেশ করে। বিনিয়োগকারীদের সিদ্ধান্তে ব্যাংক ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাত বিশেষভাবে প্রাধান্য পেয়েছে। এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি ইতিবাচক দিকচিহ্ন হয়ে থাকতে পারে।

জামিরুল ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ