শেয়ারবাজারে চাহিদার শীর্ষে ১১ কোম্পানি শেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ও সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি ১১টি কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতা সংকটে পড়ায় অস্থায়ীভাবে হল্টেড হয়েছে। স্টকনাও সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিক্রেতা সংকটে লেনদেন স্থগিত হওয়া কোম্পানিগুলো হলো—ড্রাগন সোয়েটার, এসকে ট্রিমস, দেশ গার্মেন্টস, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স, ইয়াকিন পলিমার, প্যাসিফিক ডেনিমস, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, নিউলাইন ক্লোথিংস এবং এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
মূল্যবৃদ্ধিতে এগিয়ে ড্রাগন সোয়েটার
আজ সবচেয়ে বেশি দরবৃদ্ধি হয়েছে ড্রাগন সোয়েটারের শেয়ারে। শেয়ারটির দাম ৯০ পয়সা বা ১০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৯০ পয়সায়। সর্বমোট ৬০ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫৪টি শেয়ার ৫ কোটি ৮১ লাখ টাকায় লেনদেন হয়।
দ্বিতীয় স্থানে এসকে ট্রিমস
এসকে ট্রিমসের শেয়ারও ৯০ পয়সা বা ১০ শতাংশ বেড়ে ৯ টাকা ৯০ পয়সায় পৌঁছায়। লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ১০৩টি শেয়ার, যার মোট মূল্য ১৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি দেশ গার্মেন্টসে
দেশ গার্মেন্টসের শেয়ার দর ৯ টাকা ৮০ পয়সা বা ৯.৯৪ শতাংশ বেড়ে ১০৮ টাকা ৪০ পয়সায় পৌঁছেছে। দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪৯৬টি শেয়ার, যার মোট মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।
অন্যান্য কোম্পানির দরবৃদ্ধি
লিগ্যাসি ফুটওয়্যার: ৫ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯.৯৪%
বাংলাদেশ ফাইন্যান্স: ৭০ পয়সা বা ৯.৭২%
ইয়াকিন পলিমার: ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৯.৬৮%
প্যাসিফিক ডেনিমস: ৫০ পয়সা বা ৯.৬২%
ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: ৪০ পয়সা বা ৯.৩০%
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড: ৭০ পয়সা বা ৮.৯৭%
নিউলাইন ক্লোথিংস: ৬০ পয়সা বা ৮.৮২%
এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: ৩০ পয়সা বা ৮.১১%
বাজার বিশ্লেষণ
দিনের শুরু থেকেই এসব কোম্পানির শেয়ারে ক্রয়চাপ দেখা যায়, যার ফলে নির্ধারিত সীমার মধ্যে বিক্রেতা না থাকায় লেনদেন সাময়িকভাবে স্থগিত হয়। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বল্পমূল্যের শেয়ারে আগ্রহ ও স্বল্পমেয়াদি মুনাফা প্রত্যাশাই মূলত এসব কোম্পানির দরবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর মৌলিক আর্থিক তথ্য যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
এদিন সামগ্রিকভাবে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ও সূচক—দুই-ই ঊর্ধ্বমুখী ছিল, যা বাজারে ক্রয়চাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। বাজারের গতি ও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ধরে রাখতে নীতিনির্ধারকদের পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬৪% ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- নকল অ্যাপ, ভুয়া ব্রোকারেজ: শেয়ারবাজারের বড় প্রতারণা উন্মোচন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা: ৩,০০০ সদস্যের প্রতারক চক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
- শেয়ার কারসাজি: বিএসইসি’র কড়া তদন্তের নির্দেশ, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক
- শেয়ারবাজারে আলোড়ন: ৯ স্টকে বাই সিগন্যাল, নতুন সুযোগ?
- বিনিয়োগকারীদের চিন্তা দুর করলো ৯ কোম্পানির শেয়ার
- ২,৩০০ কোটি টাকার বন্ডে শেয়ারবাজারে আলোড়ন: বিএসইসি'র অনুমোদন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করলো ৮ কোম্পানি
- পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর: নতুন পে-স্কেল, কার কত বেতন বাড়বে
- রেকর্ড চাহিদা: বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ২৪ কোম্পানির শেয়ার
- পুঁজি সংগ্রহে ব্যর্থ শেয়ারবাজার: দায়ী কারা? ফাঁস করলেন বিশেষজ্ঞরা
- ইন্টার মায়ামি বনাম শিকাগো ফায়ার: শেষ ৮ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচ
- আগামীকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে ৪ পরিবর্তন
- সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা নিয়মে যুগান্তকারী পরিবর্তন