ঢাকা, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

আত্মবিশ্বাসেই জয়! স্মিথ বললেন—মনে যা ঠিক মনে হয়, সেটাই করো

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ২৯ ০০:১৭:২৪
আত্মবিশ্বাসেই জয়! স্মিথ বললেন—মনে যা ঠিক মনে হয়, সেটাই করো

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের বিপক্ষে ৩৭১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। আর সেই জয়ের শেষ মুহূর্তে ব্যাট হাতে ঝলসে উঠেছেন অভিষিক্ত জেমি স্মিথ। রাভীন্দ্র জাদেজার ওভারে ছক্কা-চার-ছক্কার টানা তিনটি শটে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ম্যাচের পরে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে স্মিথ জানালেন, "মনে যা ঠিক মনে হয়, সেটাই করো"—এই নীতিতেই এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

লন্ডনে রথেসে আয়োজিত এক মিডিয়া ইভেন্টে স্মিথ বলেন, "ড্রিংকস ব্রেকে রুটের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করেছিলাম, নতুন বল আসার আগেই শেষ করে ফেলতে হবে। কারণ ভারত যেকোনো সময় বুমরাহকে নিয়ে এসে খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে। আমরা চাচ্ছিলাম, সুযোগ থাকতেই জিততে।"

স্মিথের এই আগ্রাসী মেজাজ অবশ্য হঠাৎ করে আসেনি। আগেই ইংল্যান্ড দল জানিয়ে দিয়েছে—তাদের ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের স্বাধীনতা দেওয়া হয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে। সে কারণে ম্যাচ হারলেও কেউ ব্যাটসম্যানকে দোষ দেয় না।

"আমরা জানি, যদি কেউ ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়ে, তাকে কেউ ধমক দেবে না। বলা হবে—‘ভালো অপশন ছিল, বাতাসও সেই দিকেই ছিল।’ এই বিশ্বাসই আমাদের খেলাটা আরও সহজ করে তোলে,"—বলেছেন স্মিথ।

তৃতীয় দিনের ইনিংসে যখন তিনি ৪০ রানে ছিলেন, তখনও একবার ছয় মারতে গিয়ে আউট হন। কিন্তু সে ব্যর্থতা তাকে দমাতে পারেনি। বরং দ্বিতীয় ইনিংসে একই স্কোরে আবার ঝাঁপিয়ে পড়ে ম্যাচ শেষ করে দেন।

"নতুন বল আসছিল, তাই যদি আমি তখন আরও দুইটা ছয় মারতাম, তাহলে নতুন বলের চাপ আসার আগেই খেলা শেষ হয়ে যেত। মাঝে মাঝে ঝুঁকি নিতে হয়, তবে সেটাও পরিকল্পনার অংশ,"—ব্যাখ্যা দেন স্মিথ।

ইংল্যান্ড দলের এই মানসিকতা—অতিবেশি বিশ্লেষণ নয়, বরং বাস্তব পরিস্থিতিতে সহজ সিদ্ধান্ত নেওয়াই—তাদের খেলার ধরনে বড় ভূমিকা রাখছে। অধিনায়ক বেন স্টোকসও বারবার বলেছেন, তারা ও কোচ ম্যাককালাম ‘সোজাসাপ্টা’ মানুষ। টেস্ট ম্যাচ জেতার জন্য দরকার শুধু প্রতিপক্ষের চেয়ে বেশি রান তোলা—এই সহজ যুক্তিতেই এগিয়ে যাচ্ছেন তারা।

আর সেই নীতির ছায়াতেই গড়া দলটির এক নতুন সদস্য, জেমি স্মিথ, অভিষেকেই বুঝিয়ে দিলেন—আত্মবিশ্বাস আর আক্রমণাত্মক মানসিকতা থাকলেই রেকর্ড গড়া যায়। ভারতের বিপক্ষে জয়ের পথে তার ছক্কা-চার-ছক্কার সেই মুহূর্ত শুধু একটি ম্যাচের পরিসমাপ্তি নয়, বরং ইংল্যান্ডের নতুন ক্রিকেট দর্শনেরই প্রতীক হয়ে রইল।

আল-আমিন ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ