ঢাকা, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

পিএসজি বনাম চেলসি- ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল: ৩০ মিনিটেই দুই গোল

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ১৪ ০১:৪৪:৪০
পিএসজি বনাম চেলসি- ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল: ৩০ মিনিটেই দুই গোল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে আজ মাঠে নামে ইউরোপের দুই ফুটবল পরাশক্তি চেলসি এবং প্যারিস সেন্ট-জার্মেইন (পিএসজি)। প্রথমার্ধের ৩২ মিনিট পর্যন্তই খেলার চিত্র বলছে—চেলসি ম্যাচে পুরোপুরি প্রভাব বিস্তার করেছে। তরুণ ইংলিশ মিডফিল্ডার কোল পামার একাই দুইটি গোল করে ব্লুজদের ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়েছেন। দুই দলের মধ্যকার উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে গোলসংখ্যা কম হলেও, মাঠে ছিল তীব্র প্রতিযোগিতা।

চেলসি শুরু থেকেই দ্রুতগতির ফুটবল খেলেছে এবং প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করেছে। ২২ মিনিটে প্রথম গোলটি আসে, যেখানে পামার ডান দিক থেকে বল পেয়ে দক্ষতার সাথে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। এরপর ৩০ মিনিটে আবারও নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জালে বল জড়ান তিনি। দুই গোলেই চেলসির মিডফিল্ড ও উইং-চালিত আক্রমণের সফল প্রতিফলন দেখা গেছে।

ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান (৩২ মিনিট পর্যন্ত):

গোল: চেলসি ২ - ০ পিএসজি

শট: চেলসি ৫টি, পিএসজি ১টি

লক্ষ্যে শট: চেলসি ২টি, পিএসজি ১টি

বল দখল: চেলসি ৩৬%, পিএসজি ৬৪%

পাস সংখ্যা: চেলসি ১১১, পিএসজি ১৯৬

পাস সফলতা: চেলসি ৭৯%, পিএসজি ৯১%

ফাউল: চেলসি ৩, পিএসজি ১

অফসাইড: চেলসি ১, পিএসজি ০

কর্ণার: চেলসি ১, পিএসজি ০

হলুদ/লাল কার্ড: কোনো দলই এখনো কার্ড দেখেনি

চেলসির ডিফেন্সিভ লাইন এদিন ছিল অত্যন্ত গোছানো। পিএসজি বেশ কিছু পাস এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে মাঝমাঠে আধিপত্য বিস্তার করলেও, গোলপোস্টের সামনে কার্যকর আক্রমণ তৈরি করতে পারেনি। কিলিয়ান এমবাপে সহ দলের মূল স্ট্রাইকাররা চেলসির শক্ত রক্ষণভাগ ভেদ করতে ব্যর্থ হন।

কোল পামার: প্রতিশ্রুতিশীল তারকা থেকে মূল ভরসা

এই ম্যাচে কোল পামারের পারফরম্যান্স তার পেশাদার ক্যারিয়ারে এক নতুন মাইলফলক। মাত্র ২২ ও ৩০ মিনিটে করা তার জোড়া গোল প্রমাণ করে দিয়েছে, কেন তাকে ক্লাবের ভবিষ্যতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি যেমন মিডফিল্ড থেকে বল বিতরণে পারদর্শী, তেমনি সামনে উঠে এসে গোল করার ক্ষেত্রেও কার্যকর।

পিএসজি রক্ষণে ঘাটতি, আক্রমণে ধারহীনতা

পিএসজির মূল সমস্যা ছিল রক্ষণভাগে সমন্বয়ের অভাব এবং মাঝমাঠ থেকে আক্রমণে দ্রুত ট্রানজিশন না করা। দলের পাসিং পরিসংখ্যান ভালো হলেও, সেগুলোর বেশিরভাগই ছিল ডিফেন্সিভ জোনে। সেইসঙ্গে বলের দখলে এগিয়ে থেকেও তারা সেভাবে গোলমুখী আক্রমণ গঠন করতে পারেনি।

মাঠ ও দর্শকদের চিত্র

ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত মেটলাইফ স্টেডিয়ামে। গ্যালারিভর্তি দর্শকরা উপভোগ করছেন ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের লড়াই। চেলসি সমর্থকরা এরই মধ্যে উল্লাসে মেতে উঠেছে পামারের জোড়া গোলের জন্য। ম্যাচের বাকি সময়ের জন্য পিএসজি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও তাদের রক্ষণ ও আক্রমণ উভয় দিকেই উন্নতির দরকার।

সামনের চ্যালেঞ্জ

এই ম্যাচের ফলাফল চূড়ান্ত না হলেও এখন পর্যন্ত চেলসির পারফরম্যান্স ভবিষ্যতের ম্যাচগুলোতে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। অন্যদিকে পিএসজির কোচিং স্টাফকে চিন্তা করতে হবে, কিভাবে প্রতিপক্ষের হাই প্রেস মোকাবিলা করে মাঠে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা যায়।

মো: রাজিব আলী

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ