ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

মাহফুজ ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৬ কোটি টাকার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ২৯ ১২:২৭:৫৭
মাহফুজ ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৬ কোটি টাকার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং তার ভাই, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম মাহির বিরুদ্ধে সাড়ে ৬ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তুলেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট বনি আমিন।

সোমবার (২৮ জুলাই) বনি আমিন একটি ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, অস্ট্রেলিয়ার ব্যাংকে মাহবুব আলম মাহির নামে থাকা একাউন্টে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার একটি লেনদেন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা (AUSTRAC) তদন্ত শুরু করেছে। বনি আমিন আরও বলেন, এই অর্থ লবিং ও ফাইলিংয়ের মাধ্যমে পাওয়া ‘কমিশন ভিত্তিক’ এবং মাহফুজ আলম রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে প্রভাব খাটিয়ে ভাইয়ের মাধ্যমে এই টাকা পাচার করছেন।

তবে মাহবুব আলম মাহি এই অভিযোগকে ‘গুজব’ হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি রাতেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে বলেন, তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এখনো সচল এবং ২০২৩ সাল থেকে এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন। মাহি আরও জানান, তিনি অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে কোনো আর্থিক অনিয়ম বা তদবিরের প্রমাণ কেউ দিতে পারেনি।

মাহবুব আলম মাহি বলেন, “আমার ভাইয়ের নামে কোনো তদবিরের কাজ আমি করিনি, করতেও দিইনি। আমাদের পরিবার দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ব্যবসায় নিয়োজিত। বাবার ও মাহফুজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা আইন সম্মত এবং সব তথ্য জনসমক্ষে। আমরা দুর্নীতি করি না এবং কেউ প্রমাণও দিতে পারেনি।”

তিনি বনি আমিনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছেন এবং প্রয়োজন হলে অস্ট্রেলিয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন।

অন্যদিকে, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিজেও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, “একজন বন্ধু বিটিভির একটি টেন্ডার ফাইল করাতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি তা নিষিদ্ধ করেছি। এই কারণে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”

মাহফুজ আরও বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে, তার পেছনে বিভিন্ন দলের প্রভাবশালী মহল জড়িত আছে। দুর্নীতি বা আর্থিক অসঙ্গতির কোনো প্রমাণ নেই। আমাদের জন্য রাষ্ট্রের ইজ্জত ও আমানত হাজার কোটি টাকার চেয়েও মূল্যবান।”

এ ঘটনাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেউ অভিযোগকারীর বক্তব্যের সত্যতা যাচাইয়ের দাবি জানাচ্ছেন, আবার অনেকে একে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন।

জামিরুল ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ