ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২

সিএসই’র ৩৫% শেয়ার বিক্রি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির পথে

শেয়ারনিউজ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১৬:৪০:০৮
সিএসই’র ৩৫% শেয়ার বিক্রি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির পথে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) তাদের মালিকানাধীন ৩৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-র কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে। এই পদক্ষেপ দীর্ঘদিন আটকে থাকা ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সিএসই বোর্ডের ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত ১৪৩তম সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, শেয়ার বিক্রির কার্যক্রম ‘এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট, ২০১৩’ এর বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৩৫ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ২০ শতাংশ বিক্রি হবে চার থেকে পাঁচটি স্থানীয় ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে, যারা বর্তমানে সিএসইর শেয়ারহোল্ডার নন। বাকি ১৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করা হবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ বুক-বিল্ডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার জানান, বিএসইসির অনুমোদন পাওয়ার পর তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন অনুসারে প্রতিটি স্টক এক্সচেঞ্জকে নিজস্ব বোর্ডে অথবা অন্য কোনো এক্সচেঞ্জের বোর্ডে তালিকাভুক্ত হতে হবে, যদিও এর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত নয়।

২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সিএসইতে ৬২৩টি সিকিউরিটিজ তালিকাভুক্ত ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ১৮৯ কোটি ১৭ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৫.১৮ শতাংশ বৃদ্ধি। একই সময়ে লেনদেনের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ২৩.২৮ শতাংশ বেড়েছে।

বর্তমান মালিকানা কাঠামো অনুসারে, সিএসইর ৪০ শতাংশ শেয়ার প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারদের হাতে রয়েছে। অধিকাংশ স্থানীয় প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত শেয়ার কেনার জন্য যোগ্য না হওয়ায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রতি প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ মালিকানা রাখতে পারবে।

ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের প্রাথমিক পর্যায়ে সিএসই ২৫ শতাংশ শেয়ার বসুন্ধরা গ্রুপের এবিজি লিমিটেডকে শেয়ারপ্রতি ১৫ টাকায় বিক্রি করেছিল। এই প্রস্তাবিত শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন হলে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে সিএসইর বাজারে অবস্থান শক্তিশালী হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

এই উদ্যোগ দেশের শেয়ারবাজারে সিএসইর কার্যক্রমের স্থিতিশীলতা ও সম্প্রসারণে সহায়ক হবে বলে বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

আল-আমিন ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ