ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর লুট: প্রশাসনের ত্রুটি উন্মোচন করলো দুদক

সারাদেশ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ২৩:০৯:০১
ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর লুট: প্রশাসনের ত্রুটি উন্মোচন করলো দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের ভোলাগঞ্জ এলাকায় সাদা পাথরের নজিরবিহীন লুটপাট নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রশাসনের গাফিলতি সামনে এনেছে। স্থানীয় প্রশাসনের যথাযথ সতর্কতা না থাকায় হাজার কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট হয়েছে বলে মনে করছেন দুদক কর্মকর্তারা।

বুধবার দুপুরে দুদকের সিলেট কার্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পরে দুদক সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাত সাংবাদিকদের জানান—

“এটা মূলত স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্ব। প্রশাসন আরও সতর্ক থাকলে এই লুটপাট রোধ করা যেত। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগেরও কার্যকর ভূমিকা থাকা প্রয়োজন ছিল।”

তিনি আরও বলেন,

“এখানে কয়েকশ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ পাথর আত্মসাত হয়েছে। পর্যটকরা সাদাপাথরে এসে হতাশ হচ্ছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে, যা দর্শনার্থীদের আফসোস করাচ্ছে।”

কেউ জড়িত কি?

দুদকের উপপরিচালক জানান—

“ভোলাগঞ্জের আশপাশে অনেক স্টোন ক্র্যাশার মিল রয়েছে, যেখানে পাথর ভাঙা হয়। শোনা যাচ্ছে, এখানে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী ও উচ্চপর্যায়ের কিছু মহলও লুটের সঙ্গে জড়িত। আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আরও তদন্ত করব।”

দেরিতে পরিদর্শনের কারণ

যখন জিজ্ঞাসা করা হয় কেন লুটপাটের পর পরিদর্শনে এলেন, তিনি জানান—

“আমরা প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় কাজ করি। নির্দেশনা পাওয়ার পরই এখানে এসেছি। সিলেট কার্যালয় থেকে ভোলাগঞ্জের দূরত্ব অনেক বেশি এবং আমাদের জনবল সীমিত।”

প্রশাসনের বক্তব্য

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার ফোনে পাওয়া যায়নি।তবে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের মাহমুদ আদনান বলেন—

“সাদা পাথর লুট ঠেকাতে আমরা ইতোমধ্যেই ২০টি মামলা করেছি। খবর পেলেই ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্পেশাল টাস্কফোর্স অভিযান চালাচ্ছি। নিয়মিত ওই এলাকায় টহলও দেওয়া হয়।”

ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরের লুটপাট প্রশাসনের ত্রুটি, স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও অপর্যাপ্ত নিরাপত্তার কারণে ঘটেছে। দুদক বিষয়টি সামনে এনেছে এবং তদন্ত চলছে।

FAQ:

প্রশ্ন: ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর লুটে কারা জড়িত?

উত্তর: স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী ও কিছু উচ্চপর্যায়ের মহল জড়িত থাকতে পারে বলে দুদক জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।

প্রশ্ন: দুদক কেন পরিদর্শনে দেরি করলো?

উত্তর: প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে এবং সিলেট থেকে দূরত্ব ও সীমিত জনবল থাকার কারণে পরিদর্শনে দেরি হয়েছে।

প্রশ্ন: প্রশাসন কি পদক্ষেপ নিয়েছে?

উত্তর: কোম্পানীগঞ্জ থানার ২০টি মামলা হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্পেশাল টাস্কফোর্স অভিযান চালানো হচ্ছে এবং নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে।

মো: রাজিব আলী/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ