ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২

এনসিপিতে পদত্যাগের সুনামি: ২৬ নেতা বিদায়

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৫ ১৭:০৮:৫২
এনসিপিতে পদত্যাগের সুনামি: ২৬ নেতা বিদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে জন্ম নেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-তে যেন চলছে পদত্যাগের সুনামি। মাত্র আড়াই মাসের ব্যবধানে একে একে ২৬ জন নেতা দল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

পদত্যাগের পেছনে কারণ হিসেবে উঠে এসেছে—দলের কর্মকাণ্ডে অনিয়ম, দায়িত্ব বণ্টনে স্বচ্ছতার অভাব, পূর্ব অবহিত না করেই পদায়ন, আদর্শ থেকে সরে যাওয়া এবং অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা। অভিযোগ আছে, এতে ত্যাগী ও যোগ্য কর্মীরা যথাযথ মর্যাদা পাচ্ছেন না।

কখন, কে, কেন দল ছাড়লেন

১০ আগস্ট: ফরিদপুর সমন্বয় কমিটির সদস্য মো. রুবেল মিয়া (হৃদয়) বিদায় জানান। তার ভাষায়, দলের অবস্থান জুলাই বিপ্লবের নীতির বিপরীত এবং ব্যক্তিগত আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

৯ আগস্ট: শিবচর উপজেলা সমন্বয়ক কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী শাকিল খান, সদস্য মো. রিয়াজ রহমান, মহিউদ্দিন ও কাজী রফিক পদত্যাগ করেন। অভিযোগ—শিবচর থানার দায়িত্ব অযোগ্য ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

৮ আগস্ট: চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক এ ইউ মাসুদ (আরফান উদ্দিন) দাবি করেন, কমিটি গঠনে এক ব্যক্তির একক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

১ আগস্ট: শরীয়তপুর জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম ও সদস্য মো. পলাশ খান ব্যক্তিগত কারণে দল ছাড়েন।

২০ জুলাই: সিলেটের বিশ্বনাথ ও গোয়াইনঘাট উপজেলা কমিটি থেকে যুগ্ম সমন্বয়কারী এনামুল হক মারুফ, সদস্য তারিকুল ইসলাম, কিবরিয়া আহমদ ও কামরুল হাসান সরে দাঁড়ান।

১৮ জুলাই: ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা কমিটি থেকে ইসমাইল হোসাইন ও ইঞ্জিনিয়ার আলাউদ্দিন পদত্যাগ করেন।

১২-১৪ জুলাই: সিলেটের দুই উপজেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী রুহুল আমিন, নাদিম মাহমুদ এবং সদস্য মো. শাহেদ আহম্মেদ, ফাহিম আহমদ দল ছাড়েন।

২৯ জুন: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দিন পদত্যাগ করেন।

২৫ জুন: রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা কমিটি থেকে তৌফিক হাসান, মোক্তাদি কেমি ও জাহাঙ্গীর আলম জাকির দল ত্যাগ করেন।

১৯ জুন: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা কমিটি থেকে হাফিজুর রহমান পদত্যাগ করেন। এর আগের রাতেই বিদায় নেন হাদিউজ্জামান (রাফি), ফুয়াদ হাসান ও রাফিউল ইসলাম।

দল ছাড়াদের ভাষায়, এই ধারা চলতে থাকলে এনসিপির সাংগঠনিক ভিত্তি ভয়াবহভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। ত্যাগী কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়বেন, আর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।

আল-আমিন ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ