শেয়ারবাজারে ঝড়: লাইসেন্স স্থগিত এক ব্রোকারেজ হাউজের, শঙ্কায় আরও একটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে আবারও আলোচনায় এসেছে নতুন প্রজন্মের দুটি ব্রোকারেজ হাউজ। মোনার্ক হোল্ডিংস ও কলম্বিয়া শেয়ারস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ—দুটিরই আর্থিক অবস্থায় গুরুতর মূলধন ঘাটতি চিহ্নিত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিষয়টি ডিএসইকে জানিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
এরই মধ্যে মোনার্ক হোল্ডিংসের সব ধরনের ট্রেডিং কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। অন্যদিকে কলম্বিয়া সিকিউরিটিজ কার্যক্রম চালালেও মূলধনের ঘাটতির কারণে প্রতিষ্ঠানটি এখন কড়া নজরদারিতে রয়েছে।
আট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুইটির বড় সমস্যা
চলতি মাসের শুরুতে মোট আটটি ব্রোকারেজ হাউজের আর্থিক অবস্থার ওপর তদন্ত শুরু করে বিএসইসি। তদন্তে দেখা যায়, এদের মধ্যে ছয়টি প্রতিষ্ঠান মূলধন ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে মোনার্ক হোল্ডিংস ও কলম্বিয়া সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে সমস্যাটি গুরুতর রূপ নেয়।
বিএসইসি মুখপাত্র মো. আবুল কালাম বলেন,
“রুটিন পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে আমরা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর আর্থিক দুর্বলতা যাচাই করি। মোনার্ক ও কলম্বিয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা ধরা পড়েছে। সে কারণেই ডিএসইকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
মূলধনের শর্ত ও আইনি বাধ্যবাধকতা
সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী, প্রতিটি ব্রোকার বা স্টক ডিলারের জন্য তাদের পরিশোধিত মূলধনের কমপক্ষে ৭৫ শতাংশের সমপরিমাণ নিট মূলধন (সম্পদ থেকে দায় বাদ দিয়ে) রাখা বাধ্যতামূলক।এই নিয়ম না মানলে প্রতিষ্ঠানটির ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করা যায়।
এছাড়া নতুন ব্রোকারেজ হাউজ খোলার জন্য—
ন্যূনতম ৫০ মিলিয়ন টাকা মূলধন
যৌথ উদ্যোগে ৮০ মিলিয়ন টাকা
বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০০ মিলিয়ন টাকা মূলধন থাকা বাধ্যতামূলক।
মোনার্ক হোল্ডিংস: বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু
মোনার্ক হোল্ডিংসের প্রতিষ্ঠাতা আবুল খায়ের হিরু—যার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই একাধিক শেয়ার কারসাজির অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে বিএসইসি তাদের ওপর বিলিয়ন টাকার জরিমানা আরোপ করেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, জাতীয় ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানও এই প্রতিষ্ঠানের একজন শেয়ারহোল্ডার। ফলে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক সংকট নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ধাক্কা
শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলধন ঘাটতি শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের জন্যই নয়, গোটা বাজারের জন্য বড় ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি করে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যায় এবং বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তাদের মতে, সময়মতো কঠোর পদক্ষেপ না নিলে ক্ষতির ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- মার্জিন বিধিমালা ২০২৫ খসড়া প্রকাশ, বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় ঘোষণা
- আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের বড় ঘোষণা, শেয়ারে হঠাৎ চাহিদার ঝড়
- সরকারি ছুটি: চাকরিজীবীদের সুখবর, মিলছে টানা তিন দিনের ছুটি
- বাংলাদেশ বনাম নেপাল: লস টাইমে গোল, শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কবার্তা: বিমা খাত এখন ঝুঁকির মধ্যে
- আট ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে বিএসইসির পদক্ষেপ, তালিকায় সাকিবের প্রতিষ্ঠান
- মার্জিন রুলস নিয়ে বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্ত
- আপনার মতামতেই চূড়ান্ত হবে শেয়ারবাজারের মার্জিন রুলস
- বাংলাদেশ বনাম নেপাল: ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ৫ কোম্পানির শেয়ার
- বিনিয়োগকারীরা সাবধান: ডিএসইর গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা
- বিক্রেতা সংকটে হল্টেড ৫ কোম্পানির শেয়ার
- ঢাকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল ঠেকালো পুলিশ-জনতা
- বিসিবি নির্বাচন: বিএনপিপন্থী সংগঠকরা তামিমকে নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে
- বিনিয়োগকারীরা সাবধান: তিন শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, ডিএসইর সতর্কবার্তা