
Alamin Islam
Senior Reporter
উদ্যোক্তা পরিচালকের ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার বিক্রি: বিনিয়োগকারীদের আস্থা কি ঝুঁকিতে?

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এনআরবিসি ব্যাংকের অন্যতম উদ্যোক্তা পরিচালক, মো. সৈয়দ মুনসিফ আলী, সম্প্রতি তার ধারণ করা বিশাল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। চার দফায় তিনি ব্যাংকটির মোট ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার বিক্রি করেছেন, যা পুঁজিবাজারের আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। এই বিক্রির পর তার হাতে এখন এনআরবিসি ব্যাংকের মাত্র ১৩ লাখ ৫৪ হাজার ৬৪৫টি শেয়ার অবশিষ্ট রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
শেয়ার বিক্রির ক্রমিক ধাপসমূহ:
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সৈয়দ মুনসিফ আলীর শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়াটি সুপরিকল্পিতভাবে কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়েছে:
প্রথম পর্যায়ের বিক্রি:
ঘোষণা: ২৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখে প্রথম দফায় ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়।
সম্পন্ন: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে এই ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ের বিক্রি:
ঘোষণা: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে দ্বিতীয় দফায় আরও ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা আসে।
সম্পন্ন: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে এই ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রিও সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
তৃতীয় পর্যায়ের বিক্রি:
ঘোষণা: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে তৃতীয় দফায় পুনরায় ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা করা হয়।
সম্পন্ন: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে (রবিবার, সকাল ১০:১৩ মিনিটে) এই ধাপের ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রি শেষ হয়।
চতুর্থ পর্যায়ের বিক্রি (চলমান):
ঘোষণা: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে (সোমবার, দুপুর ২:২৯ মিনিটে) সর্বশেষ অর্থাৎ চতুর্থ দফায় আরও ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা আসে।
সময়সীমা: এই দফায় শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করার জন্য ৩০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শেয়ার ধারণের বর্তমান অবস্থা:
এই ধারাবাহিক বিক্রির আগে, সৈয়দ মুনসিফ আলীর কাছে এনআরবিসি ব্যাংকের মোট ১ কোটি ৪৩ লাখ ৪ হাজার ৬৪৫টি শেয়ার ছিল। চার দফায় মোট ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার বিক্রির পর, তার বর্তমান ধারণ করা শেয়ারের পরিমাণ নাটকীয়ভাবে কমে ১৩ লাখ ৫৪ হাজার ৬৪৫টিতে দাঁড়িয়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্টদের বিশ্লেষণ ও সম্ভাব্য প্রভাব:
বাজার বিশ্লেষকরা এই ঘটনাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। তাদের মতে, একজন উদ্যোক্তা পরিচালকের পক্ষ থেকে এমন বিপুল পরিমাণ শেয়ারের ধারাবাহিক বিক্রি সাধারণত বিনিয়োগকারীদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি বাজারে একটি বার্তা দিতে পারে যে উদ্যোক্তারা হয়তো কোম্পানির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে ততটা আশাবাদী নন।
তবে, সংশ্লিষ্ট মহল থেকে জানানো হয়েছে যে এই শেয়ার বিক্রি সম্পূর্ণরূপে আইনসিদ্ধ এবং ডিএসই-এর বিদ্যমান নিয়মাবলী মেনেই সম্পন্ন হচ্ছে। এটি ব্যক্তিগত বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের অংশ হতে পারে, এবং এর পেছনে বিভিন্ন ব্যক্তিগত বা আর্থিক কারণ থাকতে পারে।
এনআরবিসি ব্যাংকের সামনে চ্যালেঞ্জ:
বিনিয়োগকারীরা এখন এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ারের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। উদ্যোক্তা পরিচালকের এই বৃহৎ আকারের শেয়ার বিক্রি ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য এবং সামগ্রিক বাজার স্থিতিশীলতার ওপর স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদে কী ধরনের প্রভাব ফেলে, তা দেখতে আগামী দিনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
আল-মামুন/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- নকল অ্যাপ, ভুয়া ব্রোকারেজ: শেয়ারবাজারের বড় প্রতারণা উন্মোচন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬৪% ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা: ৩,০০০ সদস্যের প্রতারক চক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
- শেয়ারবাজারে আলোড়ন: ৯ স্টকে বাই সিগন্যাল, নতুন সুযোগ?
- বিনিয়োগকারীদের চিন্তা দুর করলো ৯ কোম্পানির শেয়ার
- ২,৩০০ কোটি টাকার বন্ডে শেয়ারবাজারে আলোড়ন: বিএসইসি'র অনুমোদন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করলো ৮ কোম্পানি
- সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর: নতুন পে-স্কেল, কার কত বেতন বাড়বে
- পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- রেকর্ড চাহিদা: বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ২৪ কোম্পানির শেয়ার
- পুঁজি সংগ্রহে ব্যর্থ শেয়ারবাজার: দায়ী কারা? ফাঁস করলেন বিশেষজ্ঞরা
- ইন্টার মায়ামি বনাম শিকাগো ফায়ার: শেষ ৮ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচ
- আগামীকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে ৪ পরিবর্তন
- সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা নিয়মে যুগান্তকারী পরিবর্তন
- শেয়ারবাজারে নতুন মোড়: ফিরছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা!