MD. Razib Ali
Senior Reporter
কাফালা প্রথার অবসান: ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি প্রবাসীদের সুখবর দিল সৌদি আরব
কাফালা প্রথার অবসান: চাকরি বদল, দেশত্যাগে ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি প্রবাসীর স্বাধীনতা
দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে কঠোরভাবে কার্যকর থাকা কাফালা বা পৃষ্ঠপোষকতা প্রথার অবসান ঘটিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরব এক ঐতিহাসিক ও প্রগতিশীল পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। এই যুগান্তকারী সংস্কারের ফলস্বরূপ, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নাগরিকসহ প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি বিদেশি শ্রমজীবী মানুষ সরাসরি স্বস্তি লাভ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চুক্তিনির্ভর মডেলের সূচনা, স্বাধীনতা পেলেন কর্মীরা
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাতিল হওয়া কাফালা ব্যবস্থার পরিবর্তে সৌদি আরব এখন চুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান মডেলকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই নয়া কাঠামো প্রবাসীদের জন্য শ্রমবাজারে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
নতুন এই ব্যবস্থার আওতায় অভিবাসী শ্রমিকরা যে সমস্ত মূল স্বাধীনতাগুলো অর্জন করেছেন:
নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়াই চাকরি পরিবর্তন: কর্মীরা এখন তাদের নিয়োগকর্তার (কাফিল) কড়া অনুমতির বেড়াজাল থেকে মুক্ত হয়ে অন্য কোনো চাকরিতে পরিবর্তন আনতে পারবেন।
নিয়ন্ত্রণমুক্ত দেশত্যাগ: কিংডম ত্যাগ করার জন্য কর্মীদের আর এক্সিট ভিসার (দেশ ছাড়ার অনুমতি) বাধ্যবাধকতা থাকছে না।
আইনি সুরক্ষা বৃদ্ধি: আগের কাফালা কাঠামোর অধীনে আইনি সহায়তা ও সুরক্ষা সীমিত ছিল, কিন্তু নতুন নিয়মে তা আরও বিস্তৃত ও সুদৃঢ় হবে।
সহজ ভিসা নবায়ন: ভিসা নবায়ন এবং দেশত্যাগ সংক্রান্ত কঠোর নিয়মগুলোও এখন শিথিল করা হয়েছে, ফলে প্রবাসীরা কম নিয়ন্ত্রণের মুখে পড়বেন।
ভিশন ২০৩০-এর সাথে সংগতি এবং মানবাধিকারের দৃষ্টিতে
এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগটি মূলত সৌদি আরবের জাতীয় কর্মসূচি ‘ভিশন ২০৩০’-এর সাথে সংগতিপূর্ণ, যার অন্যতম লক্ষ্য হলো দেশটির অর্থনীতিকে আধুনিকীকরণ করা এবং একই সাথে শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা ও অধিকারকে জোরদার করা।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই সিদ্ধান্তকে ‘সৌদি শ্রমক্ষেত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে। তবে তারা একইসাথে এই বিষয়ে জোর দিয়েছে যে, এই সংস্কারের কার্যকর সুফল নিশ্চিত করতে হলে এর প্রয়োগ এবং পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়াকে আরও সুদৃঢ় ও শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
৫০ বছরের কাফালা কী ছিল?
‘কাফালা’ শব্দটি আরবিতে 'স্পন্সরশিপ' বা পৃষ্ঠপোষকতা বোঝায়। ১৯৫০-এর দশকে উপসাগরীয় অঞ্চলে চালু হওয়া এই নিয়মের অধীনে, অভিবাসী শ্রমিকদের আইনি অবস্থান এবং কর্মসংস্থান পুরোপুরি 'কাফিল' বা নিয়োগকর্তার ওপর নির্ভরশীল ছিল। এই নির্ভরশীলতার কারণে নিয়োগকর্তার হাতেই কাজ পরিবর্তন, দেশত্যাগ বা আইনি সহায়তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকত, যা শ্রমিকদের স্বাধীনতাকে মারাত্মকভাবে সীমিত করে দিত।
আল-মামুন/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আর্জেন্টিনা বনাম অ্যাঙ্গোলা: ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- অ্যাঙ্গোলা বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ: খেলাটি সরাসরি দেখুন Live
- ১২ হাজার টাকা বাড়লো স্বর্ণের দাম, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি কত
- আজ অ্যাঙ্গোলা বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ: খেলাটি লাইভ দেখার উপায় ও সময়সূচি
- আইএমএফের কড়া বার্তা: ঝুঁকিতে দেশের ১৬ ব্যাংক
- আজ ব্রাজিল বনাম সেনেগাল ম্যাচ: একাদশ ফাঁস, জানুন হেড-টু হেড পরিসংখ্যান
- বাংলাদেশ বনাম নেপাল: ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- কিছুক্ষণ পর অ্যাঙ্গোলা বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ: খেলাটি সরাসরি Live দেখবেন যেভাবে
- বাংলাদেশ বনাম নেপাল: লস টাইমে গোল, অবিশ্বাস্য ভাবে শেষ ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- আর্জেন্টিনা বনাম অ্যাঙ্গোলা: ৮০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- আজ রাতে মুখোমুখি ব্রাজিল বনাম সেনেগাল: কখন, কোথায় ও কিভাবে দেখবেন লাইভ
- আজ রাতে মুখোমুখি ব্রাজিল বনাম সেনেগাল: লাইভ দেখার উপায় ও সময়সূচি
- আজ অ্যাঙ্গোলা বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ: খেলাটি কখন, কোথায় ও কিভাবে দেখবেন লাইভ
- চলছে অ্যাঙ্গোলা বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ: খেলাটি সরাসরি দেখুন Live
- আজ রাতে মুখোমুখি ব্রাজিল বনাম সেনেগাল: খেলাটি লাইভ দেখার সহজ উপায়