ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

নতুন পে স্কেল: চিকিৎসা ভাতা বেড়ে যত টাকা হতে পারে

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৬ ১৭:০০:২৩
নতুন পে স্কেল: চিকিৎসা ভাতা বেড়ে যত টাকা হতে পারে

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আসছে সুখবর! দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত নবম জাতীয় পে স্কেলের বাস্তবায়নে জোরেশোরে কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত 'পে কমিশন'। মূল্যস্ফীতির (দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি) চাপ মোকাবিলার কথা মাথায় রেখে, নতুন বেতন কাঠামোতে চিকিৎসা ভাতা এবং শিক্ষা ভাতার মতো মৌলিক সুযোগ-সুবিধাগুলির পুনর্বিন্যাসে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

চিকিৎসা ভাতা: তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা

বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা মাসিক মাত্র ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। পে কমিশনের কাছে বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আসা সুপারিশগুলি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, নতুন স্কেলে এই অঙ্কটি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে চলেছে।

চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির জন্য তিনটি ভিন্ন সুপারিশ পেশ করা হয়েছে:

১. প্রথম সুপারিশ: এই সুবিধাটিকে বর্তমানের ১,৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সরাসরি ২,৫০০ টাকা নির্ধারণ করা।

২. দ্বিতীয় সুপারিশ: দ্রব্যমূল্যের চাপ বিবেচনা করে ভাতাটি বাড়িয়ে ৫,০০০ টাকা অথবা কিছু নির্দিষ্ট গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য ৬,০০০ টাকা করার জন্য জোরাল প্রস্তাব এসেছে।

৩. সর্বোচ্চ সুপারিশ: চিকিৎসা সুবিধার পরিমাণকে কর্মচারীর মূল বেতনের ১০ শতাংশ হিসাবে বেঁধে দেওয়া।

অবসরকালীন সুবিধার সম্প্রসারণ

কমিশন শুধু চাকুরিকালীন সময়ের জন্য ভাতা বৃদ্ধি নয়, বরং অবসর-পরবর্তী জীবনের জন্যও চিকিৎসা সুবিধার পরিমাণ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।

বেতনের নতুন মানদণ্ড: ৩৫,০০০ টাকা সর্বনিম্ন

নবম পে স্কেল সম্পর্কিত আলোচনা অনুযায়ী, সর্বনিম্ন (২০তম গ্রেডের) মূল বেতনকে একটি নতুন বেঞ্চমার্কে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৩৫,০০০ টাকা করার একটি শক্ত প্রস্তাব রয়েছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন ফেডারেশন সর্বোচ্চ বেতনের সিলিং ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বা তারও বেশি করার দাবি জানিয়েছে।

শিক্ষা ও টিফিন ভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ

চিকিৎসা সুবিধার পাশাপাশি, সন্তানের শিক্ষা ভাতা এবং টিফিন ভাতার অঙ্কেও বড় ধরনের পরিবর্তনের সুপারিশ আসতে চলেছে। কমিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো বর্তমান বেতন কাঠামোর অসঙ্গতিগুলি দূর করে একটি সুষম এবং ন্যায্য কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা।

চূড়ান্ত ঘোষণার সময়সীমা

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পে কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ডিসেম্বর মাস। এই প্রতিবেদন জমা হওয়ার পরই দ্রুত সরকারি গেজেটের মাধ্যমে নতুন পে স্কেলটি প্রকাশিত ও কার্যকর করা হবে।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ