ঢাকা, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২

MD Zamirul Islam

Senior Reporter

বাংলাদেশকে না বলে দিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ১৯:৩২:৫৯
বাংলাদেশকে না বলে দিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড

বিগত ১৬ বছরে দেশ থেকে পাচার হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের তৎপরতা এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। বিদেশে পাচার হওয়া কালো টাকার খোঁজে আন্তর্জাতিক আইনগত সহায়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে প্রভাবশালী তিন রাষ্ট্র—যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড—বাংলাদেশের প্রস্তাবিত পারস্পরিক আইনগত সহায়তা চুক্তিতে আপাতত ‘না’ বলে দিয়েছে।

তিন রাষ্ট্রের অনীহা ও বিকল্প প্রস্তাব

অর্থপাচার মামলার প্রমাণ সংগ্রহ এবং টাকা ফেরত আনার প্রক্রিয়া সহজ করতে বাংলাদেশ এই দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে চেয়েছিল। তবে দেশ তিনটি সরাসরি চুক্তিতে না গিয়ে বিকল্প পদ্ধতি অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিকল্প পদ্ধতি অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ এবং জটিল, যা পাচার করা অর্থ উদ্ধারের পুরো প্রক্রিয়াকে দীর্ঘসূত্রতায় ফেলতে পারে।

পাচার হওয়া অর্থের ভয়াবহ পরিসংখ্যান

সরকারি শ্বেতপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের শত শত সম্পদের সন্ধান মিলেছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যে সাবেক মন্ত্রীদের নামে শতাধিক সম্পত্তির অভিযোগ উঠেছে, যার একটি অংশ ইতোমধ্যে ব্রিটিশ সংস্থা এনসিএ (NCA) জব্দ করেছে।

১৯ দেশে দুদকের চিঠি: কার কী অবস্থা?

মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত ওয়ার্কিং কমিটির তথ্যমতে, ১৯টি দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়েছে।

সহমত জানিয়েছে: সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও হংকং।

নীরব রয়েছে: কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড।

ড. ইউনূসের লন্ডন সফর ও উচ্চপর্যায়ের তৎপরতা

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে গত জুনে লন্ডন সফর করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর সাথে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান। ব্রিটিশ সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হলেও এখন পর্যন্ত দেশটির পক্ষ থেকে চূড়ান্ত সম্মতি মেলেনি।

টিআইবি’র পর্যবেক্ষণ

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) মনে করছে, আইনি চুক্তিতে এই অনীহা হয়তো ইচ্ছাকৃত বিলম্ব বা অন্য কোনো স্বার্থের ইঙ্গিত হতে পারে। তবে চুক্তি না হলেও বিকল্প পথে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়াই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ।

দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে এই পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আল-মামুন/

ট্যাগ: অর্থপাচার bangladesh news পাচারকৃত টাকা ফেরত পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বাধা পাচার করা টাকা ফেরানোর খবর কালো টাকা উদ্ধার মানি লন্ডারিং বাংলাদেশ ড. ইউনূস অর্থপাচার উদ্ধার অন্তর্বর্তী সরকারের পাচার হওয়া টাকা ফেরত দুদক অর্থপাচার মামলা বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থপাচার টিআইবি অর্থপাচার রিপোর্ট যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য সুইজারল্যান্ড টাকা ফেরত দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের সম্পদ লন্ডনে সাবেক মন্ত্রীদের সম্পদ যুক্তরাজ্যে জব্দ করা সম্পদ NCA ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার পাচার শ্বেতপত্র অর্থপাচার মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স MLAR অর্থপাচার ফেরানোর আন্তর্জাতিক আইন Money laundering recovery Bangladesh Smuggled money recovery update Laundering money back to Bangladesh Recovering stolen assets from abroad Bangladesh interim government money laundering Dr. Yunus money laundering recovery ACC money laundering investigation Bangladesh Bank asset recovery TIB on money laundering recovery US UK Switzerland reject money recovery treaty Bangladeshi properties in Dubai Laundering money in UK former ministers NCA UK asset seizure Bangladesh Why is it hard to bring back laundered money Bangladesh $234 billion money laundering Challenges in recovering laundered money from abroad International legal assistance for money laundering Asset Recovery US Rejection Stolen Wealth Recovery

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ