ঢাকা, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্ত: আরও ৬ প্রতিষ্ঠানের প্রভিশনে বাড়তি সময়

শেয়ারনিউজ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ২০:১৩:১৩
বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্ত: আরও ৬ প্রতিষ্ঠানের প্রভিশনে বাড়তি সময়

পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক চাপ কমাতে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নেগেটিভ ইক্যুইটি এবং আনরিয়েলাইজড বা অবাস্তবায়িত লোকসানের বিপরীতে প্রভিশন রাখার সময়সীমা আরও বাড়িয়েছে কমিশন। নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে ৫টি ব্রোকারেজ হাউজ এবং ১টি মার্চেন্ট ব্যাংক বিশেষ এই সুযোগের আওতায় এল।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিএসইসি কার্যালয়ে আয়োজিত ৯৮৯তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে সভায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে সময় বাড়ানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। সভা পরবর্তী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনের পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যে ৬ প্রতিষ্ঠান পেল বিশেষ সুযোগ

বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্তের আওতায় আসা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—

১. লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড

২. এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড

৩. ইউনিক্যাপ সিকিউরিটিজ লিমিটেড

৪. কবির সিকিউরিটিজ লিমিটেড

৫. নিউ ইরা সিকিউরিটিজ লিমিটেড

৬. এনবিএল ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড

৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ জমা দেওয়ার তাগিদ

কমিশন সূত্র জানিয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠান এখনো তাদের বোর্ড অনুমোদিত কর্মপরিকল্পনা বা ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ বিএসইসিতে জমা দেয়নি, তাদের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিকল্পনা জমা দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে কোনো ছাড় ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর কমিশনের এক সভায় এসব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ঘাটতি মেটাতে সময় বাড়ানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় এখন নিট সম্পদের ঘাটতি সংক্রান্ত বিধানে সাময়িক শিথিলতা কার্যকর থাকবে।

ধারাবাহিক ছাড়ের তালিকায় বিএসইসি

বাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় বিএসইসি গত নভেম্বর মাস থেকেই পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এই সুবিধা দিয়ে আসছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়:

১৪ নভেম্বর: ৯৮৪তম সভায় ২৮টি প্রতিষ্ঠান।

২৫ নভেম্বর: আরও ৮টি প্রতিষ্ঠান।

২ ডিসেম্বর: ১১টি প্রতিষ্ঠান।

১৭ ডিসেম্বর: ৯৮৮তম সভায় ৭টি প্রতিষ্ঠানকে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছিল।

সর্বশেষ আজকের সভার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আরও ৬টি প্রতিষ্ঠান তাদের আর্থিক সমন্বয়ের জন্য অতিরিক্ত সময় পেল। মূলত বাজারের তারল্য সংকট এবং ব্রোকারেজ হাউজগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ