Alamin Islam
Senior Reporter
ড. ইউনূসকে না বলে দিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড
বিগত ১৬ বছরে দেশ থেকে পাচার হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের তৎপরতা এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। বিদেশে পাচার হওয়া কালো টাকার খোঁজে আন্তর্জাতিক আইনগত সহায়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে প্রভাবশালী তিন রাষ্ট্র—যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড—বাংলাদেশের প্রস্তাবিত পারস্পরিক আইনগত সহায়তা চুক্তিতে আপাতত ‘না’ বলে দিয়েছে।
তিন রাষ্ট্রের অনীহা ও বিকল্প প্রস্তাব
অর্থপাচার মামলার প্রমাণ সংগ্রহ এবং টাকা ফেরত আনার প্রক্রিয়া সহজ করতে বাংলাদেশ এই দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে চেয়েছিল। তবে দেশ তিনটি সরাসরি চুক্তিতে না গিয়ে বিকল্প পদ্ধতি অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিকল্প পদ্ধতি অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ এবং জটিল, যা পাচার করা অর্থ উদ্ধারের পুরো প্রক্রিয়াকে দীর্ঘসূত্রতায় ফেলতে পারে।
পাচার হওয়া অর্থের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
সরকারি শ্বেতপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের শত শত সম্পদের সন্ধান মিলেছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যে সাবেক মন্ত্রীদের নামে শতাধিক সম্পত্তির অভিযোগ উঠেছে, যার একটি অংশ ইতোমধ্যে ব্রিটিশ সংস্থা এনসিএ (NCA) জব্দ করেছে।
১৯ দেশে দুদকের চিঠি: কার কী অবস্থা?
মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত ওয়ার্কিং কমিটির তথ্যমতে, ১৯টি দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়েছে।
সহমত জানিয়েছে: সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও হংকং।
নীরব রয়েছে: কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড।
ড. ইউনূসের লন্ডন সফর ও উচ্চপর্যায়ের তৎপরতা
পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে গত জুনে লন্ডন সফর করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর সাথে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান। ব্রিটিশ সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হলেও এখন পর্যন্ত দেশটির পক্ষ থেকে চূড়ান্ত সম্মতি মেলেনি।
টিআইবি’র পর্যবেক্ষণ
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) মনে করছে, আইনি চুক্তিতে এই অনীহা হয়তো ইচ্ছাকৃত বিলম্ব বা অন্য কোনো স্বার্থের ইঙ্গিত হতে পারে। তবে চুক্তি না হলেও বিকল্প পথে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়াই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ।
দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে এই পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আল-মামুন/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশকে না বলে দিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড
- তারেক রহমানের নির্দেশ বিএনপির মনোনয়নে বড় রদবদল: বাদ পড়লেন যারা
- হাদিকে যে প্রস্তাব দিয়েছিল ফয়সাল, সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- বিপিএল: এক নজরে জানুন ৬ দলের স্কোয়াড, সময়সূচি ও লাইভ দেখার উপায়
- নির্বাচনের আগেই বিএনপির তিন নেতার বিদ্রোহে উত্তাল রাজনীতি
- আজকের সোনার দাম: (বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫)
- নায়ক রিয়াজ মারা গেছেন না বেঁচে আছেন কি ঘটেছে জানা গেল আসল সত্য
- bpl 2026: এক নজরে জেনে নিন বিপিএলের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি
- নতুন পে স্কেল আপডেট: সরকারি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার
- তারেক রহমানের দেশে ফেরা: ১৮ বছর পর বিএনপির সামনে ৫টি কঠিন চ্যালেঞ্জ
- ৩ দিনের লম্বা ছুটি: বন্ধ থাকবে দেশের যেসব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান
- BPL 2026: বিপিএল শুরুর আগে এক নজরে জেনে নিন ৬ দলের পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
- আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না
- সাকিবের ফেরা নিয়ে বিসিবির সবুজ সংকেত? বিসিবি পরিচালকের মন্তব্যে নতুন মোড়
- বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্ত: আরও ৬ প্রতিষ্ঠানের প্রভিশনে বাড়তি সময়