ঢাকা, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

দেশের বাজারে আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম

অর্থনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ২১:৩৮:৪৯
দেশের বাজারে আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম

দেশের বাজারে বহুমূল্য ধাতু সোনা ও রুপার দামে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে। অতীতের সব রেকর্ড চূর্ণ করে প্রথমবারের মতো ভালোমানের প্রতি ভরি সোনার দাম ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৬ টাকায় পৌঁছেছে। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে আবারও দামের এই ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন গয়না বাজারে নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে ‘তেজাবি’ বা খাঁটি সোনার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সমন্বয় করা হয়েছে। আগামী রোববার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে সারা দেশে নতুন এই মূল্য তালিকা কার্যকর হবে।

সোনার দামে নতুন উচ্চতা

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাজুস জানায়, সবশেষ সংশোধনে সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৫৭৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে আগামীকাল থেকে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা কিনতে গ্রাহককে গুণতে হবে ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৬ টাকা।

অন্যান্য ক্যারেটের সোনার দামও সমহারে বেড়েছে:

২১ ক্যারেট: প্রতি ভরি ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৩৪ টাকা।

১৮ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪৪৯ টাকা।

সনাতন পদ্ধতি: প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪২৩ টাকা।

রুপার বাজারেও রেকর্ড ভাঙা দাম

সোনার সাথে পাল্লা দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে রুপার দাম। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি ভরি রুপার দাম ৯৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৬ হাজার ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

ক্যাটাগরি অনুযায়ী রুপার নতুন দর:

২২ ক্যারেট: ৬ হাজার ৬৫ টাকা।

২১ ক্যারেট: ৫ হাজার ৭৭৪ টাকা।

১৮ ক্যারেট: ৪ হাজার ৯৫৭ টাকা।

সনাতন পদ্ধতি: ৩ হাজার ৭৩২ টাকা।

বাড়তি খরচ হিসেবে যুক্ত হবে ভ্যাট ও মজুরি

ক্রেতাদের সুবিধার্থে বাজুস জানিয়েছে, কেবল নির্ধারিত মূল্যে গয়না পাওয়া যাবে না। সোনার গয়না কেনার ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি বাধ্যতামূলকভাবে যোগ করতে হবে। অর্থাৎ, ভরিপ্রতি চূড়ান্ত দাম আরও কিছুটা বেশি পড়বে।

অস্থিরতার নেপথ্যে

উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বরও সোনা ও রুপার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে পুনরায় এই মূল্যবৃদ্ধি নির্দেশ করছে যে বাজার পরিস্থিতি বর্তমানে অত্যন্ত অস্থির। আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব এবং স্থানীয় সংকটের কারণে বারবার দামের এই পরিবর্তন ঘটছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ