Alamin Islam
Senior Reporter
সাবধান! ৩ বছর খাজনা না দিলেই নিলাম হবে জমি, জানুন নতুন নিয়ম
আপনার কেনা বা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমি নিয়ে কি আপনি নিশ্চিন্ত? আধুনিক ভূমি ব্যবস্থাপনায় এই নিশ্চিন্ত থাকাটা আপনার জন্য বড় বিপদের কারণ হতে পারে যদি আপনি নিয়মিত ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ বা খাজনা পরিশোধ না করেন। সাম্প্রতিক আইনি ব্যাখ্যা ও প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, টানা তিন বছর খাজনা অনাদায়ী থাকলে নিজের জমির ওপর অধিকার হারানোর এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন দেশের ভূমি মালিকরা।
নিলামে উঠতে পারে আপনার প্রিয় জমি
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রেগান ভূমি মালিকদের সতর্ক করে জানিয়েছেন, খাজনা কেবল একটি বাৎসরিক কর নয়, এটি জমির মালিকানার অন্যতম ভিত্তি। যারা নিয়মিত এই কর দিচ্ছেন না, তাদের কেবল মূল বকেয়াই নয়, বরং বড় অংকের সুদসহ তা পরিশোধ করতে হবে। সরকার যদি মনে করে, তবে টানা তিন বছরের অনাদায়ী খাজনা আদায়ের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট ভূমিটি নিলামে তুলে অর্থ সংগ্রহের আইনি ক্ষমতা রাখে। এমনকি দীর্ঘস্থায়ী অবহেলার ফলে ব্যক্তিগত জমিটি ব্যক্তিগত মালিকানা থেকে চ্যুত হয়ে সরকারি 'খাস খতিয়ানে' চলে যাওয়ার প্রবল ঝুঁকি তৈরি হয়।
জালিয়াতি ও দখলের শাস্তিতে নতুন কঠোরতা
ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ দমনে সরকার আরও কঠোর হচ্ছে। প্রস্তাবিত ‘ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন, ২০২৩’-এর খসড়া অনুযায়ী, যদি কেউ অবৈধভাবে বা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অন্যের জমি দখল করে, তবে তাকে কেবল জমিই ছাড়তে হবে না, বরং গুনতে হবে ৫ লাখ টাকা জরিমানা। এছাড়া অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড উভয় শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
আইনি সুরক্ষা ও রেকর্ড অব রাইটস
খাজনা পরিশোধের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রথিতযশা আইনজীবী ব্যারিস্টার মঈন ঘোছ বলেন, রাষ্ট্রের নির্ধারিত এই বার্ষিক অর্থ নিয়মিত না দিলে ‘রেকর্ড অব রাইটস’ বা খতিয়ানে মালিকের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যায়। ২০০২ সালের ভূমি সংস্কার আইনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, খাজনা বকেয়া থাকলে ভূমি অফিস থেকে নিয়মমাফিক নোটিশ পাঠানো হয়। বারবার এই নোটিশ উপেক্ষা করা হলে চূড়ান্ত পর্যায়ে জমিটি সরকারের খাস দখলে চলে যেতে পারে।
মালিকানা রক্ষায় আপনার করণীয়
যেকোনো আইনি জটিলতা বা মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধে ‘খাজনার রশিদ’ বা দাখিলা সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই বিশেষজ্ঞরা ভূমি মালিকদের জন্য কিছু বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন:
নিয়মিত যাচাই: বছরে অন্তত একবার স্থানীয় ভূমি অফিসে গিয়ে বা অনলাইনে খাজনার বর্তমান স্থিতি পরীক্ষা করুন।
রশিদ সংগ্রহ: খাজনা পরিশোধের পর প্রাপ্ত রশিদটি অতি সযত্নে সংরক্ষণ করুন, কারণ এটিই আপনার জমি নিষ্কণ্টক রাখার প্রধান সনদ।
বকেয়া মুক্তি: যদি খাজনা কয়েক বছর বকেয়া থেকে থাকে, তবে আইনি জটিলতা এড়াতে দ্রুত তা সুদসহ পরিশোধ করুন।
পরিশেষে, জমির মালিকানা ধরে রাখা কেবল ক্রয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; নিয়মিত সরকারি নিয়ম মেনে খাজনা পরিশোধ করাই হলো আপনার সম্পত্তিকে সুরক্ষিত রাখার শ্রেষ্ঠ উপায়।
আল-মামুন/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- খালেদা জিয়াকে নিয়ে করা মাশরাফির ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল, দেশ জুড়ে আলোচনার ঝড়
- ৩টি পাপ করলে মানুষ দ্রুত মারা যায়
- আরও ১৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন, বাদ পড়লেন যারা, দেখুন তালিকা
- খালেদা জিয়াকে নিয়ে করা সাকিবের ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল, দেশ জুড়ে আলোচনার ঝড়
- শেষ মুহূর্তে ১৫ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করল বিএনপি, দেখুন তালিকা
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত, জানুন কবে হবে?
- খালেদা জিয়ার ৩ আসনে প্রার্থীহলেনযারা
- খালেদা জিয়ার ৩ আসনে নাটকীয়তা: বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন যারা
- বিপিএল লাইভ-চট্টগ্রাম বনাম রংপুর: চলছে ম্যাচ, সরাসরি দেখুন Live
- এ' থেকে 'বি' ক্যাটাগরিতে অবনমন হলো তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- রুমিন ফারহানা ও ৮ নেতাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার
- খালেদা জিয়ার বিদায়, অবিশ্বাস্য ভাবে যা বললেন শেখ হাসিনা
- চলছে নোয়াখালী বনাম রাজশাহী ম্যাচ: খেলাটি সরাসরি Live দেখুন এখানে
- হুহু করে কমল সোনা-রুপার দাম: ২২ ক্যারেট মিলছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকায়
- চট্টগ্রাম রয়্যালস বনাম রংপুর রাইডার্স: সরাসরি Live দেখবেন যেভাবে