ঢাকা, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের উপার্জন নিয়ে চরম মিথ্যাচার করলেন রমিজ রাজা

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২১ ডিসেম্বর ২৫ ২২:১৩:০৪
পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের উপার্জন নিয়ে চরম মিথ্যাচার করলেন রমিজ রাজা

তবে ড্রপ-ইন পিচসহ বেশ কিছু বিষয়ে রমিজের সমালোচনায়ও মেতেছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। এরই মাঝে এবার নতুন আলোচনার জন্ম দিলেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক ও তারকা ওপেনার সালমান বাট। তার মতে, ক্রিকেটারদের বাৎসরিক আয় নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন পিসিবির বর্তমান চেয়ারম্যান।

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে রমিজ জানিয়েছেন, দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটাররা বর্তমানে বছরে ৫০ থেকে ৬০ লাখ রুপি উপার্জন করে থাকেন। যা আগে কখনও ভাবা যায়নি। তবে সালমান বাট রীতিমতো ঐকিক নিয়মের হিসেব করে ধরিয়ে দিয়েছেন, এতো বেশি উপার্জন সম্ভব নয় কোনো ক্রিকেটারের।

এক ভিডিওবার্তায় বাট বলেছেন, ‘আপনি যখন কোনো ডিপার্টমেন্টের প্রধান হন, তখন কি সেই ডিপার্টমেন্ট আপনার নিজের অবসেশনগুলোতে জ্বালানি দিতে থাকে? নাকি সেই ডিপার্টমেন্টের একটা পলিসি থাকা উচিত, যা সবসময় অনুসরণ করা হবে? কেউ কেনো তার ব্যক্তিগত ইচ্ছায় জোর দেবে? এখানে পলিসিটা কোথায়?’’

এসময় রমিজের মন্তব্যের খণ্ডন করে তিনি বলেন, ‘উদাহরণ হিসেবে এ+ ক্যাটাগরির কথাই ধরি, অন্যদের হিসেব বাদই রাখলাম। তাদের এক বছরের চুক্তিতে মাসিক পারিশ্রমিক আড়াই লাখ রুপি। যা বছরে দাঁড়ায় ৩০ লাখ রুপি। এমন কোনো ম্যাচ নেই যেখানে ১ লাখ রুপি ম্যাচ ফি দেওয়া হয়। কখনও ৬০ হাজার, কখনও ৭০ হাজার পাওয়া যায়।’

একজন ক্রিকেটারের কেনো বছর ৬০ লাখ রুপি আয় সম্ভব নয় তা বুঝিয়ে বাট বলেন, ‘কোনো খেলোয়াড় যদি তিন ফরম্যাটের সব ম্যাচ খেলে, তাহলে বছরে ১০টি প্রথম শ্রেণি, ১০টি ওয়ানডে ও ১০টি টেস্ট ম্যাচ। এর বাইরে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল, ফাইনাল যোগ করে বছরে ৩৩-৩৪ ম্যাচ হয়। আর তা হলে এ+ ক্যাটাগরির ক্রিকেটে ৬০ লাখ আয় করতে পারবে না।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘শুধু তাই নয়, এ+ ক্যাটাগরির সব খেলোয়াড় তিন ফরম্যাট খেলে না এবং তাদের দল সবসময় ফাইনালে ওঠে না। এক-দুইজন হয়তো ফাইনাল পর্যন্ত থাকে। তবু এমন মন্তব্য করা আসলে ব্যবসায়ীদের প্রতারণাপূর্ণ কৌশল অবলম্বনের মতো।’

বাটের এমন প্রতিক্রিয়ার পেছনে অবশ্য অনেকে অন্য কারণও খুঁজছেন। রমিজ রাজা দায়িত্ব পাওয়ার পর সরাসরিই বলেছেন, যারা দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাদের কখনও ক্রিকেট খেলতে দেখতে চান না। যে কারণে স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকা সালমান বাট, মোহাম্মদ আমিররা প্রায়ই রমিজের বিপক্ষে সরব থাকেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ