ঢাকা, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

ফেসবুক পোস্টে গোপালগঞ্জের সর্বশেষ অবস্থা জানালেন আসিফ মাহমুদ

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ১৬ ১৭:২৬:০৩
ফেসবুক পোস্টে গোপালগঞ্জের সর্বশেষ অবস্থা জানালেন আসিফ মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: গোপালগঞ্জের বাতাস যেন হঠাৎ করেই ভারী হয়ে উঠেছিল সেদিন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিকে ঘিরে শহরের রাজপথে যে গণজোয়ার উঠেছিল, তা সহিংসতার এক নির্মম অধ্যায়ে গিয়ে ঠেকে। রাজনীতির মাঠে গণতন্ত্রের চর্চার বদলে দেখা গেল ককটেলের বিস্ফোরণ, রাবার বুলেট, ভাঙচুর আর আতঙ্কিত মানুষের ছুটোছুটি।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে এই নাটকীয় ও সহিংস ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা দ্রুত অভিযান চালিয়ে এনসিপি নেতাকর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়।এই তথ্য নিশ্চিত করেন এনসিপি নেতা আসিফ মাহমুদ। নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন,“এনসিপি নেতাকর্মীদের রেসকিউ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

এই পোস্টটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুকজুড়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—এটাই কি এখন দেশের রাজনীতির চেহারা?

সেদিন গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে যেন উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। কিন্তু হঠাৎ এক দল মুখোশধারীর হামলায় সেই উৎসব রূপ নেয় তাণ্ডবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন বলছে, হামলার সময় ককটেল বিস্ফোরণের পাশাপাশি সমাবেশস্থলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এনসিপির পক্ষ থেকে এই বর্বরোচিত ঘটনার জন্য নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগকে দায়ী করা হয়েছে।

হামলার ভয়াবহতায় সমাবেশস্থলে হুলুস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায়। ছত্রভঙ্গ হতে থাকে কর্মীরা। রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড, আর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। তখনই সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এনসিপির চেয়ারম্যান হাসনাত আব্দুল্লাহসহ শীর্ষ নেতাদের উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেয়।

এর আগে গোপালগঞ্জ সদর থানা এলাকা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িবহর, এমনকি পুলিশের গাড়িও হামলার শিকার হয়। এসব হামলার পর প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং পুরো এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,“এই হামলা শুধু একটি রাজনৈতিক দলের ওপর নয়, বরং গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত। দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।”

অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্টজনরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গোপালগঞ্জের ঘটনায়। অনেকেই মনে করছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে রক্তাক্ত করে রাজনৈতিক বিভাজন আরও গভীর করা হয়েছে।

একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যখন এভাবে দমন করা হয়, তখন প্রশ্ন ওঠে—আমরা আসলে কোন পথে হাঁটছি?

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ