শেষ হলো আর্জেন্টিনা, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রের ম্যাচ, দেখেনিন ফলাফল

উয়েফা নেশনস লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হয় পর্তুগাল। ঘরের মাঠে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জোড়া গোল আর এক অ্যাসিস্টে সুইজারল্যান্ডকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে পর্তুগিজরা। নেশনস লিগের এবারের আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয় পেল রোনালদোরা। অন্যদিকে চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে শেষ মুহূর্তে গোল করে ২-২ গোলে ড্র করেছে স্পেন।

নেশনস লিগের এবারের মৌসুমে স্পেনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র দিয়ে যাত্রা শুরু করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা। যদিও সে ম্যাচে বেঞ্চে থেকে শুরু করেছিলেন রোনালদো। পরবর্তীতেপর্তুগাল কোচ জানিয়েছিলেন কৌশলগত কারণেই রোনালদোকে সে ম্যাচে বেঞ্চে রাখা হয়েছিল। এক ম্যাচ পরে প্রধান একাদশে ফিরেছেন রোনালদো। আর ফিরেই দুই গোল করার পাশাপাশি সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছেন আরও একটি গোল। এতেই পর্তুগাল ৪-০ গোলের জয়ের দেখা পেয়েছে।

ঘরের মাঠে অবশ্য ম্যাচের ছয় মিনিটেই গোল হজম করেছিল পর্তুগাল তবে সে যাত্রায় তাদের রক্ষা করে ভিএআর। এরপর ঘুরে দাঁড়ায় রোনালদোরা। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে এসে রোনালদোর শট রুখে দেন সুইস গোলরক্ষক, ফিরতি বল পেয়ে তা জালে জড়ান উইলয়াম কার্ভালহো। পর্তুগাল পেয়ে যায় ১-০ গোলের লিড। ৩৫তম মিনিটে ডিয়েগো জোটার পাস থেকে স্কোরশিটে নাম লেখা রোনালদো।

মিনিট চারেক পরে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন রোনালদো। ব্রুনো ফার্নান্দেজের কাছ থেকে বল পেয়ে নুনো মেন্দেজ আক্রমণে ওঠেন এরপর ডিবক্সে ডিয়েগো জোটার উদ্দেশ্যে বল বাড়ান। জোটার শট গোলরক্ষক রুখে দিলে ফিরতি বল গোলমুখে পেয়ে হালকা টোকায় জালে জড়ান রোনালদো। পর্তুগাল এগিয়ে যায় ৩-০ গোলের ব্যবধানে।

প্রথমার্ধের শেষের আগে পেয়ে যেতে পারতেন হ্যাটট্রিকও। ক্যান্সেলোর কাছ থেকে পাওয়া বল লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন রোনালদো এতেই হাতছাড়া হয় হ্যাটট্রিক। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে সুইজারল্যান্ড বেশকিছু আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি। উল্টো ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে বার্নার্দো সিলভার পাস থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে ব্যবধান ৪-০ করেন জাও ক্যান্সেলো।

শেষ দিকে রোনালদোর ফ্রিকিক ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন সুইস গোলরক্ষক। এতেই আর ব্যবধান বাড়েনি পর্তুগালের আর পূরণ হয়নি রোনালদোর হ্যাটট্রিকও।

অন্যদিকে পর্তুগালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে নেশনস লিগ শুরু করা স্পেন হোঁচট খেয়েছে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও। চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে দুই বার পিছিয়ে পড়েও পাবলো গাভিরার রেকর্ড গড়া গোল এবং ইনিগো মার্টিনেজের শেষ মুহূর্তের গোলে ২-২ গোলে ড্র করে মাঠ ছাড়ে স্পেন।