ঢাকা, রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২

কাতার বিশ্বকাপ: ইকুয়েডরের সর্বনাস, চিলির পৌষ মাস

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ সেপ্টেম্বর ১৩ ১৬:২৬:৫৮
কাতার বিশ্বকাপ: ইকুয়েডরের সর্বনাস, চিলির পৌষ মাস

তবে গত জুনে কাস্তিলোকে ইকুয়েডরের নাগরিক তথা খেলোয়াড় হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ফিফা। যার ফলে চিলির আবেদন হয়ে পড়ে ভিত্তিহীন ও বিশ্বকাপ খেলতে ইকুয়েডরের আর কোনো বাধা থাকে না। কিন্তু নতুন তদন্তে বেরিয়ে এসেছে আরও শক্ত প্রমাণ, যার ফলে এখন বিশ্বকাপ থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কায় ইকুয়েডর।

এবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আরও শক্ত প্রমাণ। তাদের দাবি, ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশন কাস্তিলোকে নিজেদের দলে খেলানোর জন্য সত্যকে ধামাচাপা দিয়েছে এবং বেআইনিভাবেই তাকে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোতে খেলিয়েছে।

লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে বাছাইপর্বে সেরা চারে থেকে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে ইকুয়েডর। এই বাছাইয়ে মোট আটটি ম্যাচ খেলেছেন কাস্তিলো। কিন্তু তিনি কলম্বিয়ার নাগরিক হওয়ার পরেও সনদ জালিয়াতি করে ইকুয়েডরের হয়ে খেলেছেন বলে অভিযোগ করে আসছে চিলি।

এই অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে বাছাইয়ে সাত নম্বরে থেকে শেষ করা চিলিই পেয়ে যেতো বিশ্বকাপের টিকিট। কেননা কাস্তিলোর খেলা আট ম্যাচের সবগুলোতে পয়েন্ট পেতো প্রতিপক্ষ দল। যা এগিয়ে দিতো চিলিকে। কিন্তু জুনে চিলির আবেদন নাকচ করে রায় দিয়েছিল ফিফা।

এখন সেই তদন্ত চলাকালে বায়রন কাস্তিয়ার দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের অডিও হাতে পেয়েছে ডেইলি মেইল। যেখানে স্পষ্টত জালিয়াতির প্রমাণ রয়েছে। কলম্বিয়ার নাগরিক হওয়ার পরেও কীভাবে ইকুয়েডরের হয়ে খেলছেন এবং এজন্য কী কী করতে হয়েছে সবই স্বীকার করেছেন কাস্তিলো।

তার দেওয়া তথ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো

> কাস্তিলো জানিয়েছেন, তার জন্মসাল ১৯৯৫; কিন্তু ইকুয়েডরিয়ান জন্ম সনদে তার জন্ম ১৯৯৮ সালে।

> কাস্তিলোর কলম্বিয়ান জন্ম সনদে নাম দেওয়া রয়েছে বায়রন হাভিয়ের কাস্তিলো সেগুরা। কিন্তু ইকুয়েডরিয়ান জন্ম সনদে নাম বায়রন ডেভিড কাস্তিলো সেগুরা।

> ফুটবল ক্যারিয়ার গড়তে কলম্বিয়ার টুমাকো ছেড়ে ইকুয়েডরের সান লরেঞ্জোয় যাওয়ার বিষয়েও অনেক কথা বলেছেন কাস্তিলো।

> ইকুয়েডরে যে ব্যবসায়ী তাকে নতুন নাম দিয়েছিলেন, তাকে চেনার কথা সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন কাস্তিলো।

কাস্তিলোর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রথম প্রশ্ন উঠেছিল ২০১৫ সালে। সেবারই প্রথম ইকুয়েডরের ঘরোয়া ফুটবলে খেলেন কাস্তিলো। জাল সনদ ব্যবহার করে কাস্তিলোকে মাঠে নামানোয় তখন তার ক্লাব নর্থামেরিকাকে নিষিদ্ধ করে এবং স্বতন্ত্র তদন্ত কমিটি গঠন করে কাস্তিলোর ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে।

সেই তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছেই সবকিছু স্বীকার করেছিলেন কাস্তিলো। সেই অডিওই এখন ফিফার সামনে উপস্থাপন করবে ডেইলি মেইল। যা দেখে বৃহস্পতিবার নতুন সিদ্ধান্ত জানাতে পারে ফিফা। সবকিছু বিবেচনা করে জুনে দেওয়া সিদ্ধান্ত যদি বদলাতে হয়, তাহলে বিশ্বকাপের আগে ফিফার জন্য এটি বিব্রতকর অবস্থাই হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে একই ঘটনার জন্ম দিয়েছিল বলিভিয়া। প্যারাগুয়ের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা ডিফেন্ডার নেলসনকে খেলিয়েছিল তারা। ফিফার নিয়মানুযায়ী নতুন দেশের হয়ে খেলার জন্য সেই দেশে কমপক্ষে পাঁচ বছর থাকতে হবে। কিন্তু চার বছর বসবাসের পরই মাঠে নেমে যাওয়ায় বলিভিয়াকে বাছাই থেকে সরিয়ে নিয়েছিল ফিফা।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ