ঢাকা, শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২

চরম নাটকীয় ম্যাচে ভারতের জয়

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ অক্টোবর ২৩ ২০:২৯:৪৩
চরম নাটকীয় ম্যাচে ভারতের জয়

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের শেষ ওভার করতে আসেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ। যেখানে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ৬ বলে ১৬ রান। কিন্তু শেষ ওভারে মোট বল করা হয় ৯টি।

এই ৯ বলের মধ্যে কী ছিল না। নো বল, ওয়াইড, উইকেট, ছক্কা, বিতর্ক কী ছিল না সেই ওভারে!

ম্যাচের সমাপ্তি টানা ৪০তম ওভারের প্রথম বলেই হার্দিক পান্ডিয়াকে ক্যাচের ফাঁদে ফেলে ফেরান নওয়াজ। ছয় হাঁকানোর লক্ষ্যে সজোরে ব্যাট হাঁকান হার্দিক। তবে বলটি সরাসরি উপরে উঠে গেলে সহজেই তালুবন্দী করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর।

পরের বলে সিঙেল নিয়ে কোহলিকে স্ট্রাইক এনে দেন দিনেশ কার্তিক। তৃতীয় বলে ডাবল নিয়ে নিজের কাছেই স্ট্রাইক রাখেন ‘কিং কোহলি’। ৩ বল থেকে তখন রান লাগে ১৩।

পরের বলে শুরু হয় বিতর্কের সূত্রপাত। নওয়াজের ফুলটস বলে লেগ সাইডে সজোরে হাঁকান কোহলি। বাউন্ডারি লাইন থেকে যেটি বাঁচানোর চেষ্টা চালান আসিফ আলী। কিন্তু তার চেষ্টা ব্যর্থ করে সেটি ছয় হয়ে যায়। তখন উপস্থিত আম্পায়ারদের উচ্চতার জন্য নো বল দাবি করেন কোহলি।

কিছুক্ষণ পরে নো বলের সিগন্যালও দেন আম্পায়াররা। আর তাতেই আপত্তি জানান বাবরসহ পাকিস্তানের সকল ক্রিকেটার। যদিও শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারের সিদ্ধান্তটা মেনে নেন তারা। ততক্ষণে সমীকরণ দাঁড়ায় জিততে হলে ভারতকে করতে হবে ৬ রান।

পরের বলে কোহলিকে বিভ্রান্ত করতে কিনা ওয়াইড বল করেন নওয়াজ। প্রয়োজন ৩ বলে ৫ রান।পরের বলে ১০০ এর বেশি গতিতে ইয়র্কার লেন্থে বল ছোঁড়েন নওয়াজ। স্পিনের এত দ্রুত বল ব্যাটে কানেক্টই করতে পারেননি কোহলি।

বরং বোল্ড হয়ে যান। তবে ফ্রি হিটের সুবিধা থাকায় বল স্টাম্পে আঘাত হেনে পেছনে ছুটতেই কোহলিও রানের জন্য দৌড় লাগান। শেষ পর্যন্ত বাই থেকে ৩ রান আদায় করেন নেন কোহলি এবং কার্তিক। ফলে ২ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ রান।

পরের বলে স্ট্রাইক পাওয়া কার্তিক স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফেরেন। ফলে সমীকরণ দাঁড়ায় এক বলে জিততে হলে ভারতকে করতে হবে ২ রান।

নতুন ব্যাটসম্যান রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে শেষ বলটা লেগ সাইডে করেন নওয়াজ। বুঝতে পেরে সরে গিয়ে ওয়াইড আদায় করে নেন অশ্বিন। শেষ বলে তখন প্রয়োজন কেবল ১ রান। আর শেষ বল থেকে সেটি নিতে কোনো ভুলই করেননি অশ্বিন।

আর তাতেই ৪ উইকেটের জয় আদায় করে নেয় ভারত। ম্যাচে কোহলি ৫৩ বলে করেন অপরাজিত ৮২ রান। ইমপ্যাক্ট বিবেচনায় যা ছিল ১১৬ রেটিং পয়েন্টেরও বেশি। ফলে স্বাভাবিকভাবে ম্যাচসেরা হয়ে মাঠ ছাড়েন কোহলি।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ