একসাথে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ দলে দুই ভাই, ফোনের অপেক্ষায় বাবা

১৮ বছর পরে ফ্রান্স ম্যাগাজিন ‘ফুটবল’ জেন ফ্রান্সিসকোর খোঁজ দিয়েছে। যিনি শুধু সাবেক ডিফেন্ডার নন। ফ্রান্সের কাতার বিশ্বকাপ দলে ডাক পাওয়া থিও হার্নান্দেজ ও লুকাস হার্নান্দেজের বাবা। পরিবারের সূত্রে ম্যাগাজিনটি জানিয়েছে যে, দীর্ঘদিন দুই ছেলের ফোনের অপেক্ষায় আছেন এই বাবা।
সংবাদ মাধ্যমের মতে, পারিবারিক কলহে থিও ও লুকসের মায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় ফ্রান্সিকোর। তিনি খুব পারিবারিক লোক ছিলেন। সন্তানদের অধিকারে রাখতে আদালতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি। সাবেক সঙ্গী সন্তানদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ বন্ধ করে দেন। এরপরই ২০০৪ সালে নিরুদ্দেশ হয়ে যান তিনি।
থাইল্যান্ডেই ছিলেন ফ্রান্সিসকো। সেখানে বার পরিচালনা করতেন। হয়তো কখনও কখনও ভেবেছেন হুট করে হাজির হবেন দুই সন্তানের কাছে। কিন্তু ২০১৯ সালে বায়ার্ন মিউনিখে খেলা তার ছেলে লুকাস এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, ‘জানি না, আমার বাবা বেঁচে আছেন কিনা। একদিন তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। আর কোনদিন তার নামও শুনিনি।’
ততদিনে ফ্রান্সিসকো থাইল্যান্ডে আছেন বলে টুকটাক খবর বেরুচ্ছে। সেখান থেকে আবার ফিরে আসেন ফ্রান্সে। বর্তমান পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফার গালতিয়ের ছিলেন ফ্রান্সিসকোর তুলুজ সতীর্থ। তিনি বলেছেন যে, ‘তার ব্যাপারে তো অনেক নেতিবাচক কথা শুনি এবং পড়ি। কিন্তু আসলে তিনি ছিলেন অসাধারণ একজন মানুষ। খুবই পারিবারিক। যার কাছে পরিবারই ছিল সব। যিনি তার বাচ্চাদের খুবই ভালোবাসতেন।’
সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে থাইল্যান্ডে চাচাতো ভাই ব্রুনো সালিবার সঙ্গে ব্যবসা করতেন ফ্রান্সিসকো। তিনিও ভিন্ন কথা বলেছেন, ‘জেন ফ্রান্সিসকোর বিষয়ে সত্য একদিন বেরিয়ে আসবেই। বছরের পর বছর ধরে লোকজন তার ব্যাপারে যা ইচ্ছে বলে যাচ্ছে। সত্য না বলে তার দুর্নাম করছে। তিনি কখনই তার সন্তানদের ত্যাগ করেননি। লুকাস- ও থিও’র মা (লওরেন্স) বাচ্চাদের থেকে বাবাকে দূরে সরিয়েছেন।’
অন্য সঙ্গীর সংসারে জেন ফ্রান্সিসকোর একটা মেয়ে আছে। নাম লওরেন্স হার্নান্দেজ। তারও দাবি, তার বাবাকে ছোট করা হচ্ছে বছরের পর বছর। জেন ফ্রান্সিসকোর অন্য সঙ্গী সনিয়া মডলেস বলেছেন, ‘আমরা আদালতে গেছি, লড়াই করেছি যা বিষয়টি আরও খারাপ করেছে। যে কারণে হতাশায় থাইল্যান্ডে চলে যায় ফ্রান্সিসকো। আমি জানি, কতবার ছেলেদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু ওদের মা কখনও ছেলেদের কাছে ফোন দেননি। সন্তানদের জীবনের চেয়ে ভালো বাসতেন ফ্রান্সিসকো। এটা লুকাস ও থিও’র জানা দরকার।’
ফ্রান্সিসকোর মেয়ে এবং হার্নান্দেজ ভাইদের সৎ বোন লউরিস হার্নান্দেজ জানিয়েছেন, ছেলেদের দেখতে কোন ম্যাচই মিস করেন না ফ্রান্সিসকো, ‘তিনি একাকি বসে ছেলেদের খেলা দেখেন, কারণ খেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার চোখের পানি ফুরায় না। তিনি তার ছেলেদের মিস করেন। এমন নয় বিষয়টি ছেলেদের অর্থের জন্য।’
লউরিস বলেছেন, ‘আমি জানি, বাবা মনে মনে আশা করেন যে, একদিন তার ছেলেরা তাকে ফোন করবে। তিনি তার ছেলেদের খুবই ভালোবাসেন। এটা যদি সত্যিই ঘটে, তিনি যে কত খুশি হবেন তা আমি বলে বোঝাতে পারবো না। আমি বিশ্বাস করি এটা সত্যিই একদিন ঘটবে। তারা একদিন একত্রিত হবেন।’
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- শেষ হলো মেলবোর্ন স্টার্স বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড জায়গা পেলেন যারা
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বড় চমক, বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড চূড়ান্ত
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- মালয়েশিয়া প্রবাস: যেভাবে আবেদন করবেন সম্পূর্ণ বিনা খরচে
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: প্রথমার্ধের খেলা শেষ, জানুন সর্বশেষ ফলাফল
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি