ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২

পাকিস্তানকে নিয়ে টুইটারে সমালোচনার ঝড়

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৩ মার্চ ২৫ ১২:১৫:০৩
পাকিস্তানকে নিয়ে টুইটারে সমালোচনার ঝড়

বিশেষ করে ভারতের মতো দেশ, যাদের হাতে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটারদের একটা বড় পুল রয়েছে, তারা দ্বিতীয় সারির দল নামিমেও যে কোনও প্রতিপক্ষকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। সেকারণেই তুলনায় লো প্রোফাইল বিদেশ সফরেও দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়ে সিরিজ জিতে নেয় বিসিসিআই।

কিন্তু পাকিস্তানের হাতে আন্তর্জাতিক মানের পর্যাপ্ত ক্রিকেটারের পুল যে নেই, সেটা স্বীকার করে নেন ওদেশের সাবেক ক্রিকেটাররাই। ভারতের মতো একসঙ্গে ২টি দল গড়া বা দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়ে বাজিমাত করার মতো রসদ না থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইকে অনুকরণ করার চেষ্টা করে। ভারতকে নকল করতে গিয়ে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে পাকিস্তান।

চলছে আফগানিস্তান বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই দল। প্রথম টি-২০ ম্যাচে বাজে ভাবে হেরেছে শক্তিশালী পাকিস্তান। দলে নেই বাবর ও রিজওয়ান। তার অভাবটা ভালোভাবেই টের পেল পাকিস্তান। শাদাব খানের দল শারজায় বোলিং সহায়ক কন্ডিশনে আগে ব্যাট করে গুটিয়ে গেল মাত্র ৯২ রানে। এত কম পুঁজি নিয়ে পাকিস্তানের বোলাররা লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত হেরেছে ৬ উইকেটে।

টি–টোয়েন্টি তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি আফগানিস্তানের প্রথম জয়। এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফগানরা।

৯৩ রানের লক্ষ্য দিয়েও ম্যাচ অনেকটা জমিয়েই তুলেছিল পাকিস্তানের বোলাররা। ৪৫ রানেই আফগানদের প্রথম ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিল পাকিস্তান। তবে এরপর মোহাম্মদ নবী ও নজিবউল্লাহ জাদরানের ৫৩ রানের জুটি আফগানিস্তানকে জয় এনে দেয়। বল হাতে দুই উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩৮ রান করে ম্যাচসেরা নবী।

নজিবউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ১৭ রান করে। পাকিস্তানের অভিষিক্ত পেসার এহসানউল্লাহ নেন ২ উইকেট।

এর আগে শারজায় টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামে। যার শুরুটা হয় মোহাম্মদ হারিসকে দিয়ে। দলীয় ১৭ রানে ব্যক্তিগত ৬ রান করে ফজলহক ফারুকির বলে আউট হন হারিস।

তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা আব্দুল্লাহ শফিক আউট হয় শূন্য রানেই। অভিষিক্ত সাইম আইয়ুব বড় ইনিংস খেলার স্বপ্ন দেখালেও ১৫ বলে ১৭ রান করে নাভিন–উল–হকের বলে বোল্ড হয়েছেন। আরেক অভিষিক্ত তায়েব তাহির করেছেন ১৬ রান। এরপর আজম খানও বিদায় নিলে ৪১ রানেই ৫ উইকেট হারায় শাদাব খানের দল।

শাদাব আর দলে ফেরা ইমাদ ওয়াসিম জুটি গড়ার চেষ্টা করেও সফল হননি। মুজিব উর রেহমানের বলে ১২ রান করে আউট হন শাদাব। ইমাদ আউট হয়েছেন ১৮ রান করে। ফজলহক ফারুকি ও মুজিব উর রেহমান দুটি করে উইকেট নেন।

‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের’ দোহাই দিয়ে আফগানিস্তান সিরিজে পাক বোর্ড বিশ্রাম দিয়েছে বাবর রিজওয়ানদের মত খেলোয়াড়দের। আফগানদের হারাতে সিনিয়র খেলোয়াড়দের দরকার নেই বলেই মনে করেছিলেন নাজম শেঠিরা। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে প্রথম ম্যাচেই। তরুণ খেলোয়াড়দের নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে রশিদ, মুজিব্দের সামনে। গতকালের হারের পর সমাজমাধ্যমে তীব্র কটাক্ষের শিকার হয়েছেন বাবর, রিজওয়ানরা।

দেশের হয়ে খেলার সময় বিশ্রাম প্রয়োজন, PSL খেলার সময় বিশ্রাম নিলে কি ক্ষতি হত? জানতে চেয়েছেন অনেকে। ইংল্যান্ডের ‘দ্য হান্ড্রেড’ প্রতিযোগিতার নিলামে নাম দিয়েও অবিক্রিত থেকে পাকিস্তানের দুই তারকাই। সেই ঘটনার সূত্র ধরেও অনেকে কটাক্ষ হেনেছেন বাবর এবং মহম্মদ রিজওয়ানের দিকে।

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আজম খান, ইনসানুল্লাহ-র মত পাকিস্তান সুপার লীগ কাঁপানো বেশ কয়েক তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দিয়েছিলো পাক দল। ছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত হয়ে ওঠা নাসিম শাহ’ও। শারজার মাঠে তাঁদের অসহায়তা দেখে পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগকেও বিদ্রুপে ভরিয়েছেন নেটিজেনরা। পিএসএলের মান নিয়ে বরাবর গর্ব করতে শোনা যায় পাকিস্তানীদের। কখনও কখনও আইপিএলের থেকেও পিএসএলকে এগিয়ে রাখেন তাঁরা। সেই পিএসএল-এর খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় বারবার কেনো এমন নাস্তানাবুদ হন? রসিকতা মাখা প্রশ্ন ছুঁড়েছে নেটজনতা।

দেখে নিন ট্যুইটার চিত্র-

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ