ঢাকা, রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২

আইপিএলের মাঝেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন ভারতের তারকা ক্রিকেটার

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৩ এপ্রিল ০২ ১০:৩০:১৫
আইপিএলের মাঝেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন ভারতের তারকা ক্রিকেটার

সেলিম দুরানি রবিবার সকালে তার জামনগরের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। পারিবারিক সূত্র খবরটি নিশ্চিত করেছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮। তিনি বহু দিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। সেলিম এর আগে জানুয়ারিতে তাঁর উরুর হাড় ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তখন তাঁর অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছিল।

সেলিম দুরানির জন্ম আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে। তিনি ১৯৩৪ সালের ১১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তবে তাঁর বেড়ে ওঠা মূলত গুজরাটের জামনগরেই। এখানেই তাঁর ক্রিকেটে হাতেখড়ি। ১৯৬০ সালে ভারতের হয়ে অভিষেক হয় সেলিম দুরানির। জাতীয় দলের হয়ে ১৯৭৩ পর্যন্ত খেলেন তিনি।

বর্ণময় ক্রিকেট জীবন তাঁর। ১৯৬০ সালে মুম্বইয়ে টেস্ট অভিষেক। ১৯৬১-৬২ মরশুমে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ে অবদান ছিল বাঁ-হাতি স্পিনারের। শেষ ২ টেস্টে নিয়েছিলেন ১৮ উইকেট। ১৯৭১ সালে পোর্ট অফ স্পেনে ভারতের জয়েও রেখেছিলেন অবদান। আউট করেছিলেন ক্লাইভ লয়েড ও গ্যারি সোবার্সকে। তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের হাত ধরে পরের বছর মধ্যাঞ্চল দলীপ ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। পশ্চিমাঞ্চলের বিরুদ্ধে ফাইনালে বল হাতে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট। আর ব্যাট হাতে রান তাড়া করার সময়ে নেতৃত্ব দিয়ে অপরাজিত থেকেছিলেন ৮৩ রানে। চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল, এটা দলীপ ট্রফি, নাকি দুরানি ট্রফি!

টেস্ট দলে একবার তাঁকে বাদ দেওয়ায় স্লোগান উঠেছিল, ‘নো দুরানি, নো টেস্ট’। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরের টেস্টে তাঁকে ডাকতে বাধ্য হয়েছিলেন নির্বাচকেরা। এমনই ছিল তাঁর জনপ্রিয়তা। আর ছিল গ্ল্যামার। জনতার দাবিতে, ৬-৭ বার ছক্কা হাঁকানোর কথা অতীতে বহু বার বলেছিলেন দুরানি নিজেই। যা তাঁকে করে তুলেছিল বিখ্যাত। তবে তার অনেক আগে, ছয়ের দশকের গোড়াতেই প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে পেয়েছিলেন অর্জুন সম্মান।

২৯ টেস্টে এক সেঞ্চুরি সহ ১২০২ রান আর ৭৫ উইকেটের পরিসংখ্যানে তাই তাঁকে মাপা শুধু কঠিনই নয়, আদতে অসম্ভবই। ক্রিকেট-চেতনায় প্রভাব ফেলার ব্যাপারটাই যে পরিসংখ্যানে অনুপস্থিত!

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ