ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২

নাসিরের ঝড়ো সেঞ্চুরি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৩ এপ্রিল ১৬ ১৯:১০:৩১
নাসিরের ঝড়ো সেঞ্চুরি

শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে অগ্রণী ব্যাংককে ব্যাটিংয়ে পাঠায় প্রাইম ব্যাংক। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ওপেনার আজমির আহমেদের উইকেট হারিয়ে ফেলে অগ্রণী ব্যাংক। সাজঘরে ফেরার আগে ১৬ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলেন আজমির। এরপর তিনে নেমে দলের হাল ধরেন সাদমান ইসলাম। টিকে থাকা ওপেনার উসমান খানকে সাথে নিয়ে এগোতে থাকেন তিনি।

দুজনে মিলে কাটিয়ে উঠতে থাকেন শুরুর ধাক্কাটা। কিছুটা ধীরগতিতে আগালেও উইকেট পড়তে দেননি তারা। যার ফলে বোর্ডে রান উঠছিল, চাঙ্গা হয়ে ওঠে দলের ইনিংস। দ্বিতীয় উইকেটে ১০৩ রানের জুটি গড়েন সাদমান এবং উসমান। ফিফটি হাঁকান দুজনই। দলীয় ১২২ রানের মাথায় আউট হয়ে যান উসমান। সাজঘরে ফেরার আগে ৯১ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। পরে সাদমান আরও কিছুক্ষণ টিকে ছিলেন। তবে তিনিও আউট হয়েছেন ফিফটি ছোঁয়ার পরই। ৯৫ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে দলের ১৭৪ রানের মাথায় আউট হন সাদমান।

শুরুর দিকে ধীরগতিতে আগালেও শেষ দিকে এসে ঝড়ো গতিতে রান তুলেছে অগ্রণী ব্যাংক। জহুরুল ইসলাম, মার্শাল আইয়ুব এবং আবু হায়দার রনিদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে চড়েই গতি পায় তাদের ইনিংস। ফিফটি পান জহুরুল, খেলেন ৫৬ বলে ৫৮ রানের ইনিংস। মার্শাল আর রনি ফিফটি না হাঁকালেও রান তুলেছেন রকেটের গতিতে। ২৭ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন মার্শাল এবং ১৫ বলে ৩৬ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলে শেষপর্যন্ত টিকে ছিলেন রনি। ৫০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করাতে সক্ষম হয় অগ্রণী ব্যাংক।

প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেন অ্যালিস আল ইসলাম এবং করিম জানাত। দারুণ কিপটে বোলিং করেন নাসির হোসেন। ১০ ওভারে উইকেটশুন্য থাকলেও রান দিয়েছেন মাত্র ২০।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় প্রাইম ব্যাংক। দলের ৭ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। আউট হওয়ার আগে ৪ বলে ১ রান করেন তিনি। এরপর অন্য ওপেনার শাহাদাত দীপুকে সাথে নিয়ে এগোতে থাকেন দলীয় অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ব্যাট হাতে দুজনই ছিলেন বেশ সাবলীল। শুরুর ধাক্কাটা তাই প্রাইম ব্যাংক সামলে ওঠে বেশ সহজেই।

দ্বিতীয় উইকেটে মিঠুন এবং দীপু মিলে যোগ করেন ৭৮ রান। ৪০ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলের ৮৫ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন দীপু। এরপর মিঠুনও আর বেশিক্ষণ টেকেননি। ফিফটি ছুঁয়ে ৫৩ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে দলের ১০৩ রানের মাথায় আউট হয়ে যান অধিনায়ক।

এরপরই ব্যাট হাতে নিজের কারিশমা দেখাতে শুরু করেন নাসির। অন্য প্রান্তে ক্রিজে থাকা মুশফিকুর রহিমও জমে যান বেশ ভালোভাবে। দুজন মিলে দারুণভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন দলের ইনিংস। সাবলীল ব্যাটিংয়ে দলকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন নাসির-মুশফিক। দ্রুতই ফিফটি হাঁকিয়ে ফেলেন নাসির। কিছুক্ষণ পরে ফিফটির দেখা পান মুশফিকও। ফিফটি পেরিয়ে অবশ্য বেশি দূর আগাতে পারেননি তিনি। দলের ২১৪ রানের মাথায় ৬১ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন মুশফিক, ভেঙ্গে যায় তাদের ১১১ রানের দারুণ জুটি।

এরপর বাকি কাজটা ইয়াসির আলী চৌধুরীকে সাথে নিয়ে সারেন নাসির। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ছুঁয়ে ফেলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। অন্য প্রান্ত থেকে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ইয়াসিরও। ২০ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখে বেশ সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় প্রাইম ব্যাংক। ৯৮ বলে ১১২ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন নাসির। অন্যদিকে ২৫ বলে ১৬ রান করে টিকে ছিলেন ইয়াসির।

অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ১টি করে উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ শরিফুল্লাহ, এনামুল হক, মোহাম্মদ ইলিয়াস এবং আসাদউজ্জামান পায়েল।

এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলের ৪ নম্বরে অবস্থান করছে প্রাইম ব্যাংক। অন্যদিকে সমান ম্যাচ খেলে অগ্রণী ব্যাংক আছে নিচের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে, অর্থাৎ ১০ নম্বরে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ